মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ), ২০ জানুয়ারী ২০২০ :
কৃষিখাতে নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে নওগাঁর সাপাহারে একই জমিতে পেয়ারা ও মালটা চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন মাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ইসমাইল হোসেন।
একান্ত সাক্ষাতকারে কৃষক ইসমাইল হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, একই জমিতে পেয়ারা ও মালটা চাষের জন্য তিনি তার মামা রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি উপজেলার মাইপুর গ্রামে তার নিজস্ব ৭০ শতাংশ জমির উপর ৪০০ টি পেয়ারা গাছ ও ২০০ টি মালটা গাছের সমন্বয়ে তৈরী করেন পেয়ারা ও মালটার বাগান।
৬ মাস আগে রোপিত গাছগুলো বর্তমানে বেশ বড় হয়ে ফল ধরার উপযোগী হয়েছে। বেশ কিছু গাছে মালটা ও পেয়ারা দেখা গেছে।
এর আগে ওই কৃষক ২০ বিঘা জমিতে আম গাছ লাগিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে কৃষিখাতে নতুনত্ব আনার জন্য স্বল্প জায়গায় বিভিন্ন প্রকারের ফল ও ফসলাদী ফলাবার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পেয়ারা ও মালটা বাগানের পরিচর্যার জন্য তিনি নিয়মিত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দিন বদলের জন্য।
এই ধরণের সমন্বিত বাগানে কি ধরণের লাভবান হবেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যে জায়গা জুড়ে তিনি এই চাষ করেছেন সেটা যদি অন্য কোন একক ফলের গাছ চাষ করতেন তাহলে সে মুনাফাটা হতে পারতো একমুখী। কিন্তু এই ধরণের সমন্বিত চাষে দ্বিমুখী মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
ইসমাইল হোসেনের এই সমন্বিত চাষের বিষয়ে যদি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাকে উন্নত ফর্মুলা ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তাহলে তিনি কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে আশা করেন। #