নওগাঁ ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

আমের নতুন রাজধানী নওগাঁর সাপাহারে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ), ১৮ জানুয়ারী ২০২০ :

আমের নতুন রাজধানী নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় বাগানে বাগানে আমচাষীরা এখন পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে তারা অতিরিক্ত মজুরী দিয়ে আমের গাছে গাছে কিটনাশক স্প্রে-করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

আগের দিনে দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছিল আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত। পর পর কয়েক বছর ধরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আম বহির্বিশ্বসহ দেশের রাজধানী এবং প্রায় প্রতিটি জেলায় সুনামের সঙ্গে স্থান করে নেয়ায় দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ এক নামে এখন সাপাহার উপজেলাকে চেনেন ও জানেন।

আমের সিজন আসলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা সাপাহারে এসে ভিড় জমান। গতবছর আমের মৌসুমে শুধু সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থিত আড়াই শতাধিক আমের আড়ত হতে প্রায় ৩০ কোটি টাকার আম বিক্রি হয়েছে বলে আম আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহা জানিয়েছেন।

উপজেলা সদরের আমবাগানের মালিক সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন, পিছল ডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, জবই গ্রামের শাহজাহান আলীসহ একাধীক আমবাগান মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান যে, সাপাহার উপজেলার সব জায়গার মাটি আম চাষের উপযোগী। এজন্য এখানকার কৃষককুল ধানের বদলে আমচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বর্তমানে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করতে পারা যায়। পক্ষান্তরে ওই এক বিঘা জমিতে আম চাষ করে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকার আম বিক্রি করা যায়। তফাৎটি আকাশ পাতাল ব্যবধান হওয়ায় এখানকার কৃষককুল এখন আম চাষে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলায় যে লোকের ১০ শতাংশ জমি রয়েছে, তিনিও তার ওইটুকু জমিতে কয়েকটি আম গাছ লাগিয়েছেন।

বর্তমানে সাপাহারে কোন অচেনা ব্যক্তি আসলে চারিদিকে চোখে পড়বে শুধু আমের বাগান আর বাগান। গতবছর উপজেলায় ৬ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন হয়েছিল। এবছর এর পরিধি আরও ব্যপকতা লাভ করে এখন ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে উন্নীত হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে জানা গেছে।

পর পর কয়েক বছর ধরে উপজেলায় আম চাষে এক বিপ্লব ঘটায় এলাকার এমপি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ইতোমধ্যেই এই উপজেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা নির্ধারণসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

উপজেলাসহ আশেপাশের আমচাষীরা অচিরেই এখানে একটি অত্যাধুনিক আম সংরক্ষণাগার ও জুস জেলি তৈরীর কারখানা স্থাপনের জন্য সরকার ও দেশের বিত্তবানদের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। #

আপলোডকারীর তথ্য

আমের নতুন রাজধানী নওগাঁর সাপাহারে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা

প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ), ১৮ জানুয়ারী ২০২০ :

আমের নতুন রাজধানী নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় বাগানে বাগানে আমচাষীরা এখন পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে তারা অতিরিক্ত মজুরী দিয়ে আমের গাছে গাছে কিটনাশক স্প্রে-করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

আগের দিনে দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছিল আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত। পর পর কয়েক বছর ধরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আম বহির্বিশ্বসহ দেশের রাজধানী এবং প্রায় প্রতিটি জেলায় সুনামের সঙ্গে স্থান করে নেয়ায় দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ এক নামে এখন সাপাহার উপজেলাকে চেনেন ও জানেন।

আমের সিজন আসলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা সাপাহারে এসে ভিড় জমান। গতবছর আমের মৌসুমে শুধু সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থিত আড়াই শতাধিক আমের আড়ত হতে প্রায় ৩০ কোটি টাকার আম বিক্রি হয়েছে বলে আম আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহা জানিয়েছেন।

উপজেলা সদরের আমবাগানের মালিক সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন, পিছল ডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, জবই গ্রামের শাহজাহান আলীসহ একাধীক আমবাগান মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান যে, সাপাহার উপজেলার সব জায়গার মাটি আম চাষের উপযোগী। এজন্য এখানকার কৃষককুল ধানের বদলে আমচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বর্তমানে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করতে পারা যায়। পক্ষান্তরে ওই এক বিঘা জমিতে আম চাষ করে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকার আম বিক্রি করা যায়। তফাৎটি আকাশ পাতাল ব্যবধান হওয়ায় এখানকার কৃষককুল এখন আম চাষে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলায় যে লোকের ১০ শতাংশ জমি রয়েছে, তিনিও তার ওইটুকু জমিতে কয়েকটি আম গাছ লাগিয়েছেন।

বর্তমানে সাপাহারে কোন অচেনা ব্যক্তি আসলে চারিদিকে চোখে পড়বে শুধু আমের বাগান আর বাগান। গতবছর উপজেলায় ৬ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন হয়েছিল। এবছর এর পরিধি আরও ব্যপকতা লাভ করে এখন ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে উন্নীত হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে জানা গেছে।

পর পর কয়েক বছর ধরে উপজেলায় আম চাষে এক বিপ্লব ঘটায় এলাকার এমপি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ইতোমধ্যেই এই উপজেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা নির্ধারণসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

উপজেলাসহ আশেপাশের আমচাষীরা অচিরেই এখানে একটি অত্যাধুনিক আম সংরক্ষণাগার ও জুস জেলি তৈরীর কারখানা স্থাপনের জন্য সরকার ও দেশের বিত্তবানদের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। #