মহাদেবপুর দর্পণ, এম,এ,মালেক, ধামইরহাট (নওগাঁ), ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ :
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ৬ নং উত্তর জাহানপুর ইউনিয়নের মৃত ইয়াদ আলী মন্ডলের বড় ছেলে ইসমাইল হোসেন বাবার হাত ধরে জমি চাষে অল্প সময়ে বেশ দ হয়ে ওঠেন।
অর্থের অভাবে গৃহস্থালী পরিবারে কাজকর্ম করেই নিজের জীবিকা নির্বাহ করাটাকে ইসমাইল হোসেন প্রধান পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি ৪-৫ বছর ধরে নিজ গ্রামে পরিচিত মামুন নামের একজন ভদ্রলোকের কাছ থেকে ৩০ শতক আবাদি জমি বর্গা নিয়ে বছরে বিভিন্ন সময় মৌসুমী চাষ করা শুরু করেন এবং তাতে তিনি বেশ সফলতাও অর্জন করেন।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পুর্বে ৬ নং উত্তর জাহানপুর ইউনিয়নের মৃত ইয়াদ আলী মন্ডলের বড় ছেলে ইসমাইল হোসেন যিনি ৫৫ বছর বয়সেও মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চোখে মুখে তারুণ্যের একগুচ্ছ স্বপ্ন নিয়ে বছরের পর বছর ধান, শসা, গম, ভুট্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি আবাদ করে নিজেকে একজন দ কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সম হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহানপুর স্কুলের পেছনে ভাদ্র মাসের প্রথম সপ্তাহে ইসমাইল হোসেন মোট ৩০ শতাংশ জমির উপর সারিবদ্ধ ভাবে বাঁশের ঝাংলার ভেতরে লাগিয়েছেন কয়েক হাজার করলার গাছ। লকলকে করলা গাছের ডগায় মৃদুল হাওয়ায় যেনো দুলছিল ইসমাইল হোসেনের একগুচ্ছ স্বপ্ন।
মাটির কাজ করে মাটির শেকড়েই তিনি জীবিকার্জনের অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধির সোদাগন্ধ খুঁজে পান। আর সে কারনেই ৫৫ বছর বয়সেও তিনি একচুল পিছুপা হননি। একের পর এক সফলতার সাথে বিভিন্ন মৌসুমে কৃষিকাজ করে সংসার চালিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
তিনি বলেন, পরপর দুই বছর ধানের দাম না পেয়ে আর্থিক ভাবে তিগ্রস্ত হয়ে ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। এখন আমি অফ সিজিনে করলা, শসা, তরমুজ এবং ভুট্টা চাষ বেশি লাভজনক বলে মনে করছি।
ইসমাইল হোসেন বলেন, পরপর ধানের সঠিক দাম না পেয়ে দু’বছর ধরে করলার চাষ করে আলোর মুখ দেখতে পেয়েছি। ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক বছরে এই তিন মাস প্রতি সপ্তাহে ১ বার করে মোট ৫ বার করলা ফলন পাওয়া যায়। লেবার, সার, বাঁশের খুটি সহ সপ্তাহে ৩-৪ দিন বিষ দিয়ে বছরে আনুমানিক ১৫-১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বর্তমান ১ হাজার ৬শ টাকা মন দরে বাজার মুল্যে ৩০ শতক জমিতে করলা চাষ করে সিজিনে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৪০-৪৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেলে এলাকায় বেকার যুবকদের নিয়ে ধামইরহাটকে বেকার মুক্ত কৃষি নির্ভর একটি উপজেলা গড়ে তোলা সম্ভব। #