নওগাঁ ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নিয়ামতপুরে সরকারি আমগাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৮ মার্চ ২০২৩ :

নওগাঁর নিয়ামতপুরে সরকারি খাস জমিতে ওপর পুকুর খননের সময় চারটি আমগাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই গাছগুলোতে আমের মুকুল ছিল।

বুধবার (৮ মার্চ) উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের রাওতাল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত খাসজমির ওপর একটি পুকুর পাড়ে আমসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে। পুকুরের খনন কাজের সময় পূর্ব পাড়ের তিনটি আমগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকি একটি গাছ কাটার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়রা জানান, পুকুরের পাড়ে বসবাসকারী আব্দুস সাত্তার খাস পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরটি বর্ধিত করতে গিয়ে কোনো অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো রাওতাল গ্রামের কাশেম আলীর নিকট ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। কাশেম আলী গাছগুলো শ্রমিক দিয়ে কেটে নিচ্ছেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাটা গাছের গুঁড়ি, কাঠ, ডালপালা নিয়ে যাওয়া হয়নি।

ঘটনাস্থলে কাশেম আলী ও আব্দুস সাত্তার কাউকে পাওয়া যায়নি। গাছ কাটা শ্রমিক সোবহান আলী বলেন, ‘কার গাছ কে কাটছে আমরা বলতে পারবোনা। কাশেম আলী গাছ কাটার জন্য আমাদের ডেকে এনেছেন।’

আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি। তবে জায়গাটি সরকারের। এখানে পুকুর খনন করা হবে। তাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশ নিয়ে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছি।’
পাড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা বলেন, ‘তাদের কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ামতপুরে সরকারি আমগাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৩:০২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৮ মার্চ ২০২৩ :

নওগাঁর নিয়ামতপুরে সরকারি খাস জমিতে ওপর পুকুর খননের সময় চারটি আমগাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই গাছগুলোতে আমের মুকুল ছিল।

বুধবার (৮ মার্চ) উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের রাওতাল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত খাসজমির ওপর একটি পুকুর পাড়ে আমসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে। পুকুরের খনন কাজের সময় পূর্ব পাড়ের তিনটি আমগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকি একটি গাছ কাটার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়রা জানান, পুকুরের পাড়ে বসবাসকারী আব্দুস সাত্তার খাস পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরটি বর্ধিত করতে গিয়ে কোনো অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো রাওতাল গ্রামের কাশেম আলীর নিকট ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। কাশেম আলী গাছগুলো শ্রমিক দিয়ে কেটে নিচ্ছেন। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাটা গাছের গুঁড়ি, কাঠ, ডালপালা নিয়ে যাওয়া হয়নি।

ঘটনাস্থলে কাশেম আলী ও আব্দুস সাত্তার কাউকে পাওয়া যায়নি। গাছ কাটা শ্রমিক সোবহান আলী বলেন, ‘কার গাছ কে কাটছে আমরা বলতে পারবোনা। কাশেম আলী গাছ কাটার জন্য আমাদের ডেকে এনেছেন।’

আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছি। তবে জায়গাটি সরকারের। এখানে পুকুর খনন করা হবে। তাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশ নিয়ে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছি।’
পাড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা বলেন, ‘তাদের কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’#