মহাদেবপুর দর্পণ, সাইদুজ্জামান সাগর, রাণীনগর (নওগাঁ), ৩১ ডিসেম্বর :
নওগাঁর রাণীনগর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত ও আধুনিকায়ন কাজ চলছে সম্বুক গতিতে। ফলে এলাকার কয়েকশ গ্রামের লাখো মানুষ চরম দূর্ভোগে পরেছেন। ঢিলে ঢালা গতিহীন কাজে এলাকাবাসীর দূর্ভোগে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি ইসরাফিল আলম।
রাণীনগর সদর জিরো পয়েন্ট থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন আগে নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডি। নওগাঁ থেকে রাণীনগর হয়ে নাটোরে জেলার সিংড়া উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে নাটোরের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষে সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। এরপর রাস্তাটি প্রসস্ত, আধুনিকায়ন, মজবুত এবং ২৬টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু নির্মাণ করতে মোট ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার দেয়া হয়। ২০১৯ সালের শুরুতে শুধুমাত্র তিনটি সেতু ও ৫টি কালভার্টের কাজ শুরু করা হলেও এখন পর্যন্ত এসব কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
২২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে আবাদপুকুর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত মাত্র ১০ কিলোমিটার রাস্তার পাকা অংশ তুলে খোওয়া বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। রাণীনগর-আবাদপুকুর রাস্তার আমগ্রাম মোড় থেকে খানপুকুর মোড় পর্যন্ত রাস্তার এক পাশের পাকা অংশ তুলে খনন করে প্রায় দুই মাস ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ওই রাস্তার এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। অবশিষ্ট প্রায় ১০ কিলোমিটার খানা-খন্দকে ভরা রাস্তার কাজে এখনো হাত পড়েনি।
পথচারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না করায় এবং গত বর্ষায় রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে যে চলাচলের একদম অযোগ্য হয়ে পরেছে। এলাকার পূর্বাঞ্চল থেকে রাণীনগর এবং জেলা সদরে ব্যবসার জন্য ধান, চাল, সারসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহণ, চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পরেছে। প্রতিটি যানবাহন চলছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। ফলে চরম দূর্ভোগে পরেছেন এলাকার লাখো মানুষ।
এতে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় এমপি ইসরাফিল আলম বলেছেন, প্রতি বছর রাস্তা-ঘাট, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কারে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু ওই সব রাস্তা, সেতু, কালভার্টের কাজ যথাসময়ে না হওয়ায় এবং কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, রাণীনগর-কালীগঞ্জ রাস্তার কাজ শেষ করতে আগামী ৮ মে পর্যন্ত সময় রয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারদের কাজ জোরদার ও শেষ করতে বেশ কয়েকটি পত্র দেয়া হয়েছে। আসা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তারা কাজগুলো সমাপ্ত করবেন। #