বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘এত দিন যারা অত্যাচার করেছে, যতই আমরা সংস্কারের কথা বলি না কেন, তাঁদের কি মাফ করা যাবে? বাংলার মানুষ তাদেরকে মাফ করবে না। জনতার আদালতে আজকের সরকার প্রধান শেখ হাসিনাসহ সেই সব জুলুমকারীদের বিচার করা হবে।’
সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ‘আজকে যারা আমার কর্মীদের অত্যাচার করেছে, যারা আমার হাত ভেঙে দিয়েছে, মাথা ফাটিয়েছে, আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের কোনো মাফ হবে না। তাদের বিচার জনতার আদালতে আমরা করতে চাই। কেউ ছাড় পাবে না।’
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি নওগাঁ শহরের পিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা বিষয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালে কথাগুলো বলেন।
এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু এতে সভাপতিত্ব করেন।
সদস্য সচিব বায়েজিদ পলাশের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, শেখ রেজাউল ইসলাম, মামুনুর রহমান রিপন, শফিউল আজম প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা ২৭ দফা উপস্থাপন করে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ‘জনগণের মতামত নিয়েই বিএনপি ১০ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। এতে দেশের মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। পরপর অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে এই সরকার রাষ্ট্রের সকল অঙ্গকে কলুষিত করেছে, বিতর্কিত করে ফেলেছে। তাই রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য বিএনপি ২৭ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। ২৭ দফার রূপরেখা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।’
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা জনতার সাথে থাকুন। এ দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে। আপনারা ভোট দিয়ে গতবার আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। এ দেশের জনগণ আর এই অবৈধ সরকারকে চায় না। আপনারা দয়া করে আর এই অবৈধ সরকারকে সহযোগিতা করবেন না। গত ১৫ বছরে যে সমস্ত পুলিশ সদস্য সততার সাথে কাজ করার জন্য এবং আওয়ামী লীগ না করার জন্য চাকরি চলে গেছে, তাঁদের চাকরি ফেরত দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণসহ যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের মূল্যায়ন করা হবে।’#