নওগাঁ ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সাপাহারে ৪শ’ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ), ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ :

সারা দেশে বাংলা ও বাঙালীর প্রতিটি পরিবারে রন্ধন শিল্পে মসলাদির মধ্যে পিয়াজ অন্যতম মসলা। ইতোমেধ্যেই সেই মসলার পিয়াজ তার ঝাঁজ জানান দিয়েছে সবার কাছে।

প্রতিটি পরিবারে রন্ধন প্রক্রিয়ায় কমবেশী পিয়াজের ব্যবহার হয়েই থাকে। তাই এবছরে পিয়াজ তার আপন ঝাঁজে ব্যাস্ত থাকায় অনেক পরিবারের গৃহিনীরা বিনা পিয়াজে তাদের রন্ধন প্রক্রিয়া চালিয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরে।

অদুর ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি এড়াতে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার কৃষক কিষানীরা বর্তমানে সর্বস্ব দিয়ে পিয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। তারই বস্তব চিত্র নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় দেখা গেছে।

এ উপজেলার কৃষক কিষানীদের কথা ভবিষ্যতে পিয়াজ বাজারজাত করতে না পারলেও অন্তত সারা বছর ধরে খাবার পিয়াজ টুকু নিজকে আবাদ করতে হবে। তাই তারা নিজের জমি হোক আর অন্যের জমি হোক সকলেই কম বেশী পিয়াজের চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে।

উপজেলার পিছলডাঙ্গ গ্রামের আব্দুল হাকিম, মদনশিং গ্রামের মফিজ উদ্দীন, কাশিতাড়ার আনারুলসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান যে, তারা প্রত্যকেই দেড় থেকে দু’বিঘা পরিমান করে পিয়াজের চষাবাদ করেছে।

উপজেলা কৃষিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র মতে এবারে উপজেলায় পিয়াজ থেকে পিয়াজ (কন্দ) পিয়াজের চাষাবাদ হয়েছে ৫৫ হেক্টর জমিতে যা বর্তমানে ক্ষেত থেকে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া এবছর নতুন আমবাগানে সাথী ফসল হিসেবে ও অন্যন্য জমি সহ ৪শ’হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমিতে পিয়াজের চারা রোপন শেষ হয়েছে।

এবছরের পিয়াজের চাষাবাদ অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষন কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলিম জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে এবছর সাপাহারে কৃষক কুল কোমর বেঁধে পিয়াজের চাষাবাদে মনোনিবেশন করেছেন বলে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ জানিয়েছেন। #

আপলোডকারীর তথ্য

সাপাহারে ৪শ’ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশের সময় : ০৯:১৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ), ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ :

সারা দেশে বাংলা ও বাঙালীর প্রতিটি পরিবারে রন্ধন শিল্পে মসলাদির মধ্যে পিয়াজ অন্যতম মসলা। ইতোমেধ্যেই সেই মসলার পিয়াজ তার ঝাঁজ জানান দিয়েছে সবার কাছে।

প্রতিটি পরিবারে রন্ধন প্রক্রিয়ায় কমবেশী পিয়াজের ব্যবহার হয়েই থাকে। তাই এবছরে পিয়াজ তার আপন ঝাঁজে ব্যাস্ত থাকায় অনেক পরিবারের গৃহিনীরা বিনা পিয়াজে তাদের রন্ধন প্রক্রিয়া চালিয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরে।

অদুর ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি এড়াতে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার কৃষক কিষানীরা বর্তমানে সর্বস্ব দিয়ে পিয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। তারই বস্তব চিত্র নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় দেখা গেছে।

এ উপজেলার কৃষক কিষানীদের কথা ভবিষ্যতে পিয়াজ বাজারজাত করতে না পারলেও অন্তত সারা বছর ধরে খাবার পিয়াজ টুকু নিজকে আবাদ করতে হবে। তাই তারা নিজের জমি হোক আর অন্যের জমি হোক সকলেই কম বেশী পিয়াজের চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে।

উপজেলার পিছলডাঙ্গ গ্রামের আব্দুল হাকিম, মদনশিং গ্রামের মফিজ উদ্দীন, কাশিতাড়ার আনারুলসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান যে, তারা প্রত্যকেই দেড় থেকে দু’বিঘা পরিমান করে পিয়াজের চষাবাদ করেছে।

উপজেলা কৃষিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র মতে এবারে উপজেলায় পিয়াজ থেকে পিয়াজ (কন্দ) পিয়াজের চাষাবাদ হয়েছে ৫৫ হেক্টর জমিতে যা বর্তমানে ক্ষেত থেকে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া এবছর নতুন আমবাগানে সাথী ফসল হিসেবে ও অন্যন্য জমি সহ ৪শ’হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমিতে পিয়াজের চারা রোপন শেষ হয়েছে।

এবছরের পিয়াজের চাষাবাদ অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষন কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলিম জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে এবছর সাপাহারে কৃষক কুল কোমর বেঁধে পিয়াজের চাষাবাদে মনোনিবেশন করেছেন বলে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ জানিয়েছেন। #