নওগাঁ ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সড়ক দূর্ঘটনা রোধে পত্নীতলার ক্ষুদে বিজ্ঞানী অপূর্ব’র রোবট আবিষ্কার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৪ আগস্ট ২০২২ :

সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও সড়ক বিষয়ক আরো অন্যান্য সেবার লক্ষ্যে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদরের নজিপুর পৌরসভার এক তরুন আবিষ্কার করেছেন এক অভিনব রোবট। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বা অন্য কোন উৎস থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আর কোন সড়ক দুর্ঘটনাই ঘটবেনা দাবি করেন এই তরুন। রোবট আবিষ্কারক নাদিম শাহরিয়ার অপূর্ব নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার ছাত্র।

অপূর্ব বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে আমার এই প্রজেক্ট, যার নাম স্মার্ট কার ইউথ এক্সিডেন্ট এলার্ট সিস্টেম। এর সামনে যে কোন ধরনের বস্তু আসলে এটি তৎক্ষণাৎ থেমে যাবে। অর্থাৎ এই গাড়িটি দিয়ে কখনো সড়ক দুর্ঘটনা সম্ভব নয়। এই গাড়ি দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা সম্ভব না হলেও অন্য কোন গাড়ি এসে এটিকে ধাক্কা দিতে পারে বা অন্য কোন গাড়ি দিয়ে এই গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গাড়িতে লাগানো সেন্সরসমূহ সড়ক দুর্ঘটনা সনাক্ত করবে এবং আশেপাশের পুলিশ স্টেশন, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল ও তার আত্মীয়স্বজনকে গাড়ির লোকেশন এসএমএসের মাধ্যমে পাঠাবে। এসএমএস এর উপরে লেখা থাকবে “যানবাহন দুর্ঘটনা”। এর ফলে আহত ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধার করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। আহত ব্যক্তির বাঁচার আশা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। অন্যদিকে এটি বাস্তব জীবনে ব্যবহারের ফলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর সাথে সাথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমানো যাবে।’

এটি তারবিহীন ওয়ারলেসে নিয়ন্ত্রন করা যাবে। এটা যদি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি যানবাহনে লাগানো যায়, তাহলে সড়ক দুর্ঘটনার হার শূন্য়ে নেমে আসবে বলে দাবি করেন নাদিম শাহরিয়ার অপূর্ব।

তিনি বলেন, ‘এটা যানবাহনে ব্যবহারের উপর সড়ক দুর্ঘটনা রোধের পার্সেন্টেজ আসবে। তবে এটি যে যানবাহনে লাগানো থাকবে সেই যানবাহন দিয়ে কখনো এক্সিডেন্ট সম্ভব হবে না। কারন এটিতে আল্ট্রাসনিক ব্যবহার করা হয়েছে। যদি অন্য কোন গাড়ির কারণে এই গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয় বা অন্য কোন গাড়ি এসে এই গাড়িটিকে ধাক্কা দেয় সেক্ষেত্রে যে জায়গায় সড়ক দূর্যটনা ঘটবে সেই জায়গার লোকেশন আশেপাশের পুলিশ স্টেশন, হসপিটাল এবং ফায়ার সার্ভিস এ এসএমএস এর মাধ্যমে পাঠাবে।’

আবিষ্কারের চিন্তা, পরিকল্পনা, খরচাপাতি তথা আবিষ্কারের পিছনের ঘটনা ও এটা নিয়ে সামনের পরিকল্পনা, পৃষ্টপোষকতা সমন্ধে তরুণ এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী তার আবিষ্কারের গল্প জানান, ‘আমার নানা পল্লী বিদ্যুতের বোর্ড সভাপতি ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই দেখতাম তিনি নানা ধরনের ইলেকট্রিক্যাল কাজ করতেন। তখন থেকেই আমার এই ইলেকট্রিক্যাল কাজের প্রতি একটি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে যখন একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে তখন আমার মাথায় একটি বিষয়ে কাজ করে কিভাবে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যায়।

তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। যেহেতু তখন আমি একেবারে ছোট তাই এমন কোন রোবট বানানোর কথা আমার মাথায় আসেনি। আমি এখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। কিছুদিন আগে আমি আমার স্কুল নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে সাইন্স প্রজেক্ট প্রদর্শনী প্রতিযোগীতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রথম, জেলা পর্যায়ে প্রথম এবং বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছি। গত মাসে দীপ্ত টিভি আয়োজিত বিজ্ঞানী অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছি। তারপরে আমার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। সে আগ্রহের ওপর ভিত্তি করেই আমি আমার এই রোবটটি তৈরী করেছি।

আমি এ প্রজেক্ট তৈরিতে অর্থনৈতিক সাহায্য পাইনি। প্রজেক্ট তৈরির সম্পূর্ণ খরচ আমার পরিবার বহন করেছে। যদি আমাকে সরকারিভাবে বা বেসরকারিভাবে কোন প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করে তাহলে আমি আরো সামনে যেতে পারবো। বাজারে এই রোবট নিয়ে আসার স্বপ্নও পূরণ হতে পারে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

সর্বোচ্চ পঠিত

সড়ক দূর্ঘটনা রোধে পত্নীতলার ক্ষুদে বিজ্ঞানী অপূর্ব’র রোবট আবিষ্কার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৪ আগস্ট ২০২২ :

সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও সড়ক বিষয়ক আরো অন্যান্য সেবার লক্ষ্যে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদরের নজিপুর পৌরসভার এক তরুন আবিষ্কার করেছেন এক অভিনব রোবট। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বা অন্য কোন উৎস থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আর কোন সড়ক দুর্ঘটনাই ঘটবেনা দাবি করেন এই তরুন। রোবট আবিষ্কারক নাদিম শাহরিয়ার অপূর্ব নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার ছাত্র।

অপূর্ব বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে আমার এই প্রজেক্ট, যার নাম স্মার্ট কার ইউথ এক্সিডেন্ট এলার্ট সিস্টেম। এর সামনে যে কোন ধরনের বস্তু আসলে এটি তৎক্ষণাৎ থেমে যাবে। অর্থাৎ এই গাড়িটি দিয়ে কখনো সড়ক দুর্ঘটনা সম্ভব নয়। এই গাড়ি দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা সম্ভব না হলেও অন্য কোন গাড়ি এসে এটিকে ধাক্কা দিতে পারে বা অন্য কোন গাড়ি দিয়ে এই গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গাড়িতে লাগানো সেন্সরসমূহ সড়ক দুর্ঘটনা সনাক্ত করবে এবং আশেপাশের পুলিশ স্টেশন, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল ও তার আত্মীয়স্বজনকে গাড়ির লোকেশন এসএমএসের মাধ্যমে পাঠাবে। এসএমএস এর উপরে লেখা থাকবে “যানবাহন দুর্ঘটনা”। এর ফলে আহত ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধার করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। আহত ব্যক্তির বাঁচার আশা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। অন্যদিকে এটি বাস্তব জীবনে ব্যবহারের ফলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর সাথে সাথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমানো যাবে।’

এটি তারবিহীন ওয়ারলেসে নিয়ন্ত্রন করা যাবে। এটা যদি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি যানবাহনে লাগানো যায়, তাহলে সড়ক দুর্ঘটনার হার শূন্য়ে নেমে আসবে বলে দাবি করেন নাদিম শাহরিয়ার অপূর্ব।

তিনি বলেন, ‘এটা যানবাহনে ব্যবহারের উপর সড়ক দুর্ঘটনা রোধের পার্সেন্টেজ আসবে। তবে এটি যে যানবাহনে লাগানো থাকবে সেই যানবাহন দিয়ে কখনো এক্সিডেন্ট সম্ভব হবে না। কারন এটিতে আল্ট্রাসনিক ব্যবহার করা হয়েছে। যদি অন্য কোন গাড়ির কারণে এই গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয় বা অন্য কোন গাড়ি এসে এই গাড়িটিকে ধাক্কা দেয় সেক্ষেত্রে যে জায়গায় সড়ক দূর্যটনা ঘটবে সেই জায়গার লোকেশন আশেপাশের পুলিশ স্টেশন, হসপিটাল এবং ফায়ার সার্ভিস এ এসএমএস এর মাধ্যমে পাঠাবে।’

আবিষ্কারের চিন্তা, পরিকল্পনা, খরচাপাতি তথা আবিষ্কারের পিছনের ঘটনা ও এটা নিয়ে সামনের পরিকল্পনা, পৃষ্টপোষকতা সমন্ধে তরুণ এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী তার আবিষ্কারের গল্প জানান, ‘আমার নানা পল্লী বিদ্যুতের বোর্ড সভাপতি ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই দেখতাম তিনি নানা ধরনের ইলেকট্রিক্যাল কাজ করতেন। তখন থেকেই আমার এই ইলেকট্রিক্যাল কাজের প্রতি একটি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে যখন একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে তখন আমার মাথায় একটি বিষয়ে কাজ করে কিভাবে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যায়।

তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। যেহেতু তখন আমি একেবারে ছোট তাই এমন কোন রোবট বানানোর কথা আমার মাথায় আসেনি। আমি এখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। কিছুদিন আগে আমি আমার স্কুল নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে সাইন্স প্রজেক্ট প্রদর্শনী প্রতিযোগীতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রথম, জেলা পর্যায়ে প্রথম এবং বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছি। গত মাসে দীপ্ত টিভি আয়োজিত বিজ্ঞানী অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছি। তারপরে আমার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। সে আগ্রহের ওপর ভিত্তি করেই আমি আমার এই রোবটটি তৈরী করেছি।

আমি এ প্রজেক্ট তৈরিতে অর্থনৈতিক সাহায্য পাইনি। প্রজেক্ট তৈরির সম্পূর্ণ খরচ আমার পরিবার বহন করেছে। যদি আমাকে সরকারিভাবে বা বেসরকারিভাবে কোন প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করে তাহলে আমি আরো সামনে যেতে পারবো। বাজারে এই রোবট নিয়ে আসার স্বপ্নও পূরণ হতে পারে।’#