নওগাঁ ০১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁ, মহাদেবপুর, বদলগাছী, আত্রাইয়ে ধানে পোকার আক্রমণ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৯ নভেম্বর ২০২১ :

চলতি রোপা আমন মওসুমে নওগাঁর কয়েকটি উপজেলায় ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষকরা বলছেন, কৃষি অফিস থেকে কোনো পরামর্শ না পেয়ে বাজার থেকে ইচ্ছেমত কীটনাশক নিয়ে এসে স্প্রে করছেন। তারপরও মিলছে না প্রতিকার। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে পোকার আক্রমণ হলেও লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হবে না।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার জেলার ১১ উপজেলায় মোট এক লাখ ৯৭ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় নয় হাজার ৯২০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৮৯০ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ১৪ হাজার ৩২৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ছয় হাজার ৭০০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ২০ হাজার ৩২০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ২৭ হাজার ২০০ হেক্টর, নিয়ামতপুর উপজেলায় ২৯ হাজার ৯০৫ হেক্টর, রাণীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় নয় হাজার ৮০০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর ও মান্দা উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।

চাষিরা বলছেন, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় আবাদ করতে সুবিধা হয়েছে। কিন্তু শেষ সময়ে এসে পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় মাথায় হাত ওঠার উপক্রম। বদলগাছী উপজেলার গোয়ালভিটা গ্রামের কৃষক হিরো ও শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের ক্ষেতে প্রায় পাঁচ শতাংশ হারে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে পাওয়া যায় না। পোকার উপদ্রব ঠেকাতে দোকান থেকে কীটনাশক নিয়ে এসে স্প্রে করতে হয়। এতে অনেক সময় কাজ হয়, আবার হয় না। পোকার আক্রমণে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

মহাদেবপুর উপজেলার শালবাড়ি গ্রামের কৃষক নাজমুল হক জানান, তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের আমনের আবাদ করেছেন। এতে তার বিঘাপ্রতি ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে পোকার উপদ্রব ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামশুল ওয়াদুদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। পোকামাকড়ের তেমন আক্রমণ নেই। তবে কৃষকদের অসর্তকতায় কিছু সমস্যা হলে হতে পারে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ বছরও ফলন বিপর্যয় হবে না। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ, মহাদেবপুর, বদলগাছী, আত্রাইয়ে ধানে পোকার আক্রমণ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৯ নভেম্বর ২০২১ :

চলতি রোপা আমন মওসুমে নওগাঁর কয়েকটি উপজেলায় ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষকরা বলছেন, কৃষি অফিস থেকে কোনো পরামর্শ না পেয়ে বাজার থেকে ইচ্ছেমত কীটনাশক নিয়ে এসে স্প্রে করছেন। তারপরও মিলছে না প্রতিকার। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে পোকার আক্রমণ হলেও লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হবে না।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার জেলার ১১ উপজেলায় মোট এক লাখ ৯৭ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় নয় হাজার ৯২০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৮৯০ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ১৪ হাজার ৩২৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ছয় হাজার ৭০০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ২০ হাজার ৩২০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ২৭ হাজার ২০০ হেক্টর, নিয়ামতপুর উপজেলায় ২৯ হাজার ৯০৫ হেক্টর, রাণীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় নয় হাজার ৮০০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর ও মান্দা উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।

চাষিরা বলছেন, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় আবাদ করতে সুবিধা হয়েছে। কিন্তু শেষ সময়ে এসে পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় মাথায় হাত ওঠার উপক্রম। বদলগাছী উপজেলার গোয়ালভিটা গ্রামের কৃষক হিরো ও শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের ক্ষেতে প্রায় পাঁচ শতাংশ হারে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে পাওয়া যায় না। পোকার উপদ্রব ঠেকাতে দোকান থেকে কীটনাশক নিয়ে এসে স্প্রে করতে হয়। এতে অনেক সময় কাজ হয়, আবার হয় না। পোকার আক্রমণে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

মহাদেবপুর উপজেলার শালবাড়ি গ্রামের কৃষক নাজমুল হক জানান, তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের আমনের আবাদ করেছেন। এতে তার বিঘাপ্রতি ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে পোকার উপদ্রব ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামশুল ওয়াদুদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। পোকামাকড়ের তেমন আক্রমণ নেই। তবে কৃষকদের অসর্তকতায় কিছু সমস্যা হলে হতে পারে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ বছরও ফলন বিপর্যয় হবে না। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’#