নওগাঁ ০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় বেড়েছে শীতকালীন সবজিচাষ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৯ নভেম্বর ২০২১ :

এবার নওগাঁয় বেড়েছে শীতকালন সবজি চাষ। জেলার ১১ উপজেলার চাষিরা এখন সবজি খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাম জাতের সবজির ভাল দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

মাঠে মাঠে চাষিরা এখন কেউ শীতকালিন সবজির চারা তৈরি করছেন, কেউ চারা লাগাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ খেতের আগাছা দমন করতে নিড়ানি দিচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি শীত মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৫৪০ হেক্টর, রাণীনগর উপজেলায় ৮০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৮০ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ৮০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৬০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ২৪৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ৪৭৫ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ২০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ৫২০ হেক্টর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ২০০ হেক্টর।

এরমধ্যে শিম ৫২০ হেক্টর, মুলা ১৩০ হেক্টর, বেগুন ২৮০ হেক্টর, ফুল কপি ৮৫ হেক্টর, বাঁধা কপি ৩০ হেক্টর, পালংশাক ১০৫ হেক্টর ও লালশাক ৭৫ হেক্টর শীতকালীন শাকসবজি।

খেতজুড়ে ছেয়ে আছে লালশাক। পাশাপাশি খেতে আগাছাও একেবারে কম জন্মায়নি। তাই খেতের মধ্যেই বসেছিলেন কৃষক হজরত আলী। সেই কাকডাকা ভোরে জমিতে পা ফেলেন। এরপর থেকেই খেতের সবজি গাছগুলো ঠিকঠাক রেখে আগাছা পরিষ্কার করেন। শীতকালীন আগাম সবজি চাষে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের কৃষকরা। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের আবর্তে গরু দিয়ে হালচাষ পদ্ধতি হারিয়ে যেতে বসেছে। শীতের সবজির বর্ণিল সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।

শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতের সবজি। নওগাঁ জেলার কয়েকটি উপজেলার একাধিক সবজিখ্যাত গ্রাম ঘুরে শীতের সবজি নিয়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য ওঠে আসে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামশুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শাকসবজির ভাল উৎপাদন হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরা বেশি পরিমাণে শাকসবজির চাষ করেছেন। আগাম জাতের শাকসবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ভাল দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর বন্যা ও দুর্যোগ না হওয়ায় কৃষকরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছেন। তেমন কোন রোগবালাই নেই। এখন অল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি।’#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় বেড়েছে শীতকালীন সবজিচাষ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১০:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৯ নভেম্বর ২০২১ :

এবার নওগাঁয় বেড়েছে শীতকালন সবজি চাষ। জেলার ১১ উপজেলার চাষিরা এখন সবজি খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাম জাতের সবজির ভাল দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

মাঠে মাঠে চাষিরা এখন কেউ শীতকালিন সবজির চারা তৈরি করছেন, কেউ চারা লাগাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ খেতের আগাছা দমন করতে নিড়ানি দিচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি শীত মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৫৪০ হেক্টর, রাণীনগর উপজেলায় ৮০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৮০ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ৮০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৬০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ২৪৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ৪৭৫ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ২০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ৫২০ হেক্টর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ২০০ হেক্টর।

এরমধ্যে শিম ৫২০ হেক্টর, মুলা ১৩০ হেক্টর, বেগুন ২৮০ হেক্টর, ফুল কপি ৮৫ হেক্টর, বাঁধা কপি ৩০ হেক্টর, পালংশাক ১০৫ হেক্টর ও লালশাক ৭৫ হেক্টর শীতকালীন শাকসবজি।

খেতজুড়ে ছেয়ে আছে লালশাক। পাশাপাশি খেতে আগাছাও একেবারে কম জন্মায়নি। তাই খেতের মধ্যেই বসেছিলেন কৃষক হজরত আলী। সেই কাকডাকা ভোরে জমিতে পা ফেলেন। এরপর থেকেই খেতের সবজি গাছগুলো ঠিকঠাক রেখে আগাছা পরিষ্কার করেন। শীতকালীন আগাম সবজি চাষে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের কৃষকরা। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের আবর্তে গরু দিয়ে হালচাষ পদ্ধতি হারিয়ে যেতে বসেছে। শীতের সবজির বর্ণিল সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।

শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতের সবজি। নওগাঁ জেলার কয়েকটি উপজেলার একাধিক সবজিখ্যাত গ্রাম ঘুরে শীতের সবজি নিয়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য ওঠে আসে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামশুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শাকসবজির ভাল উৎপাদন হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরা বেশি পরিমাণে শাকসবজির চাষ করেছেন। আগাম জাতের শাকসবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ভাল দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর বন্যা ও দুর্যোগ না হওয়ায় কৃষকরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছেন। তেমন কোন রোগবালাই নেই। এখন অল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি।’#