খেতজুড়ে ছেয়ে আছে লালশাক। পাশাপাশি খেতে আগাছাও একেবারে কম জন্মায়নি। তাই খেতের মধ্যেই বসেছিলেন কৃষক হজরত আলী। সেই কাকডাকা ভোরে জমিতে পা ফেলেন। এরপর থেকেই খেতের সবজি গাছগুলো ঠিকঠাক রেখে আগাছা পরিষ্কার করেন। শীতকালীন আগাম সবজি চাষে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের কৃষকরা। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের আবর্তে গরু দিয়ে হালচাষ পদ্ধতি হারিয়ে যেতে বসেছে। শীতের সবজির বর্ণিল সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।
শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতের সবজি। নওগাঁ জেলার কয়েকটি উপজেলার একাধিক সবজিখ্যাত গ্রাম ঘুরে শীতের সবজি নিয়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য ওঠে আসে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামশুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শাকসবজির ভাল উৎপাদন হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরা বেশি পরিমাণে শাকসবজির চাষ করেছেন। আগাম জাতের শাকসবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ভাল দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর বন্যা ও দুর্যোগ না হওয়ায় কৃষকরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছেন। তেমন কোন রোগবালাই নেই। এখন অল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি।’#