নওগাঁ ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ নেতা কারাগারে (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৭ অক্টোবর ২০২১ :

সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন জানানো নওগাঁর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার কামাল চঞ্চল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, জেলা যুবদলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন মুক্তার, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা, যোগাযোগ সম্পাদক বকুল হোসেন ও সাদমান হক নিলয়।

ওই নেতারা রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। শুনানী শেষে ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাড আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নাশকতার মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তারা চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আনোয়ার হোসেন বলেন, এই, ছয় আসামির জামিনের কোনো সুযোগ ছিল না। বিএনপির এই ছয় নেতা পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মতো মামলার অন্যতম আসামি। আদালত তাঁদের জামিন না দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি সম্পত্তিসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। দুই মামলায় ৫৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

গত ৩০ মার্চ নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। হেফাজতকর্মী নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই দিন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ নেতা কারাগারে (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১১:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৭ অক্টোবর ২০২১ :

সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন জানানো নওগাঁর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার কামাল চঞ্চল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, জেলা যুবদলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন মুক্তার, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা, যোগাযোগ সম্পাদক বকুল হোসেন ও সাদমান হক নিলয়।

ওই নেতারা রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। শুনানী শেষে ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাড আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নাশকতার মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তারা চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আনোয়ার হোসেন বলেন, এই, ছয় আসামির জামিনের কোনো সুযোগ ছিল না। বিএনপির এই ছয় নেতা পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মতো মামলার অন্যতম আসামি। আদালত তাঁদের জামিন না দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি সম্পত্তিসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। দুই মামলায় ৫৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

গত ৩০ মার্চ নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। হেফাজতকর্মী নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই দিন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।#