নওগাঁ ১১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের বদান্যতা : দরিদ্র কিশোর পেল পড়ার টেবিল চেয়ার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ :

আজ নওগাঁ জেলা প্রশাসন, নওগাঁ এর ফেসবুক পেজে জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশিদের বদান্যতার বিষয়ে এক মর্মস্পর্শী পোষ্ট দেয়া হয়েছে। মহাদেবপুর দর্পণের অগণিত পাঠক পাঠিকার জন্য পোষ্টটি হুবহু পত্রস্থ করা হলো :

আশ্রয়নের কিশোরকে জেলা প্রশাসক, নওগাঁর

পক্ষ থেকে টেবিল-চেয়ার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।

প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগের কথা। জেলা প্রশাসক, নওগাঁ জনাব মোঃ হারুন অর রশীদ গিয়েছিলেন নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পারসমবাড়ি আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এখানে নয়টি ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতক করে জমি ও দুই রুমের একটি আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হয়। উপজেলার অনেক কিছু পরিদর্শন শেষ করে আশ্রয়নে যেতে যেতে সন্ধ্যে হয়ে যায়। তাঁর সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব মুহাম্মদ ইব্রাহিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জবাব আল্পনা ইয়াসমিন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ সুমন জিহাদী। আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব হারুন অল রশীদ, সাবেক কমান্ডার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নওগাঁ ও শ্রদ্ধেয় জনাব শরিফুল ইসলাম খান, সাবেক অধ্যক্ষ, নওগাঁ সরকারি কলেজ।

উপকারভোগীদের সুখ-দুখের খবর নিতে নিতে একটি অদ্ভুত দৃশ্যের সামনে পড়ে যান। তিনি দেখলেন আশ্রয়নের বারান্দার মেঝেতে এক কিশোর এক শিশুকে পড়াচ্ছে। আশ্রয়নে সচরাচর এমন সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ে না। কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সবাইকে। সকলেই তাদের দিকে এগিয়ে যান। ছেলেগুলোর সাথে আলাপে জানা গেলো যে ছেলেটি পড়াচ্ছে তার নাম গোলাপ হোসেন। তার বাবা সাইফুল ইসলামকে ঘর দিয়েছে সরকার। সে অনেক কষ্টে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে এখন ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি হয়েছে। দরিদ্র বাবার কাজে সাহায্য করার পাশাপাশি সে গ্রামের ছেলে মেয়েদের টিউশন করে থাকে। আশে পাশের অনেকেই তার কাছে পড়তে আসে। সেদিনের গল্পটি সেখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য ঘর বাড়ি দেখে পরিদর্শনকারী সেদিন চলে আসেন ওদিনের মত।

গতকাল ০৬.০৯.২১ তারিখ সকালে একটা পিকআপ গাড়ি এসে গোলাপের বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। দুজন লোক গাড়ি থেকে একটা টেবিল আর দুটো চেয়ার নামিয়ে গোলাপের ঘরের দিকে যায়। সেগুলো গোলাপের জন্যই ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক, নওগাঁ। আর শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য এক হাজার টাকাও পাঠিয়েছেন একটি খামে। সকালের স্নিগ্ধ আলোর মতোই এক পরিচ্ছন্ন আনন্দ গ্রাস করল তাকে। জীবনে চলার পথে হাজার হাজার উপেক্ষা ও অবহেলাকে জয় করার জন্য এমন একটি ভালবাসাই যেন যথেষ্ট।

জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে লেখক এক আলাপে এ কথা তুললে তিনি বলেন,”যারা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় অব্যহত তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা করবে সরকার। “এমন চমৎকার ভালো কাজটিকে পত্রিকায় প্রকাশ করা যায় এমন প্রস্তাব তাকে করা হলে তিনি বলেন, ততোটা প্রকাশ যোগ্যও নয় এ কাজ। আর খুব বেশি কিছুতো করিনি, বা অনেককে দেই নি। তবে আমি আশ্রয়ন গুলোতে বিদ্যুতের আলো ও শিক্ষার আলো উভয় জ্বালতে চাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণও এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে এগুলো আমাদের বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য। “

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের বদান্যতা : দরিদ্র কিশোর পেল পড়ার টেবিল চেয়ার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ :

আজ নওগাঁ জেলা প্রশাসন, নওগাঁ এর ফেসবুক পেজে জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশিদের বদান্যতার বিষয়ে এক মর্মস্পর্শী পোষ্ট দেয়া হয়েছে। মহাদেবপুর দর্পণের অগণিত পাঠক পাঠিকার জন্য পোষ্টটি হুবহু পত্রস্থ করা হলো :

আশ্রয়নের কিশোরকে জেলা প্রশাসক, নওগাঁর

পক্ষ থেকে টেবিল-চেয়ার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।

প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগের কথা। জেলা প্রশাসক, নওগাঁ জনাব মোঃ হারুন অর রশীদ গিয়েছিলেন নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পারসমবাড়ি আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এখানে নয়টি ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতক করে জমি ও দুই রুমের একটি আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হয়। উপজেলার অনেক কিছু পরিদর্শন শেষ করে আশ্রয়নে যেতে যেতে সন্ধ্যে হয়ে যায়। তাঁর সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব মুহাম্মদ ইব্রাহিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জবাব আল্পনা ইয়াসমিন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ সুমন জিহাদী। আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব হারুন অল রশীদ, সাবেক কমান্ডার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নওগাঁ ও শ্রদ্ধেয় জনাব শরিফুল ইসলাম খান, সাবেক অধ্যক্ষ, নওগাঁ সরকারি কলেজ।

উপকারভোগীদের সুখ-দুখের খবর নিতে নিতে একটি অদ্ভুত দৃশ্যের সামনে পড়ে যান। তিনি দেখলেন আশ্রয়নের বারান্দার মেঝেতে এক কিশোর এক শিশুকে পড়াচ্ছে। আশ্রয়নে সচরাচর এমন সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ে না। কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সবাইকে। সকলেই তাদের দিকে এগিয়ে যান। ছেলেগুলোর সাথে আলাপে জানা গেলো যে ছেলেটি পড়াচ্ছে তার নাম গোলাপ হোসেন। তার বাবা সাইফুল ইসলামকে ঘর দিয়েছে সরকার। সে অনেক কষ্টে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে এখন ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি হয়েছে। দরিদ্র বাবার কাজে সাহায্য করার পাশাপাশি সে গ্রামের ছেলে মেয়েদের টিউশন করে থাকে। আশে পাশের অনেকেই তার কাছে পড়তে আসে। সেদিনের গল্পটি সেখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য ঘর বাড়ি দেখে পরিদর্শনকারী সেদিন চলে আসেন ওদিনের মত।

গতকাল ০৬.০৯.২১ তারিখ সকালে একটা পিকআপ গাড়ি এসে গোলাপের বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। দুজন লোক গাড়ি থেকে একটা টেবিল আর দুটো চেয়ার নামিয়ে গোলাপের ঘরের দিকে যায়। সেগুলো গোলাপের জন্যই ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক, নওগাঁ। আর শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য এক হাজার টাকাও পাঠিয়েছেন একটি খামে। সকালের স্নিগ্ধ আলোর মতোই এক পরিচ্ছন্ন আনন্দ গ্রাস করল তাকে। জীবনে চলার পথে হাজার হাজার উপেক্ষা ও অবহেলাকে জয় করার জন্য এমন একটি ভালবাসাই যেন যথেষ্ট।

জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে লেখক এক আলাপে এ কথা তুললে তিনি বলেন,”যারা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় অব্যহত তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা করবে সরকার। “এমন চমৎকার ভালো কাজটিকে পত্রিকায় প্রকাশ করা যায় এমন প্রস্তাব তাকে করা হলে তিনি বলেন, ততোটা প্রকাশ যোগ্যও নয় এ কাজ। আর খুব বেশি কিছুতো করিনি, বা অনেককে দেই নি। তবে আমি আশ্রয়ন গুলোতে বিদ্যুতের আলো ও শিক্ষার আলো উভয় জ্বালতে চাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণও এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে এগুলো আমাদের বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য। “