নওগাঁ ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় ছাগলের চামড়া ফ্রি!<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২১ জুলাই ২০২১ :

এবারের কোরবানি ঈদে নওগাঁর ১১ উপজেলায় পানির দামে বিক্রি হয়েছে পশুর চামড়া। প্রত্যন্ত পল্লীগুলোতে ফরিয়াদেরকে ফ্রি দিতে হয়েছে ছালের চামড়া।

আগের বছরগুলোতে গরু-ছাগলের চামড়ার পাশাপাশি মাথার চামড়ার কদর ছিল। এবার ছাগলের চামড়ার কদর কম হলেও মাথার চামড়ার কোনো কদর মেলেনি। এ অবস্থায় নওগাঁ শহরের গোস্তহাটির মোড় আড়তে মাথার চামড়া ফেলে রেখে গেছেন অনেক কোরবানিদাতা।

প্রকারভেদে গরুর চামড়া ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। শহরের মুক্তির মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, গোস্তহাটির মোড়, কাজীর মোড়ে বিক্রেতারা গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও ছাগলের চামড়া ফ্রিতে দিয়েছেন।

শহরের চকএনায়েত মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ছাগল কিনে কোরবানি দিয়েছেন। চামড়া কিনতে আসা ফড়িয়ারা দাম বলেছে ৩০ টাকা। সে কারণে চামড়া ফড়িয়াদের না দিয়ে তিনি বাসার কাজের মহিলাকে দিয়ে দিয়েছেন।

শহরের লাটাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সৌরভ হোসেন জানান, ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে কোরবানি দিয়েছেন। বাজারে চামড়ার দাম খুবই কম। কোরবানি পশুর চামড়ার টাকা গরিবরা পেয়ে থাকে। চামড়ার দাম না থাকায় তারা বঞ্চিত হচ্ছে। চামড়ার দাম না পেয়ে পাশের এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হয়েছে।

শহরের বাঙাবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা শাহাদত বলেন, দেড় লাখ টাকার একটি ষাঁড় গরু ও ১০ হাজার টাকার একটি ছাগল কোরবানি দিয়েছেন। কোরবানি শেষে গরুর চামড়ার দাম ২০০ টাকা বললেও ছাগলের চামড়ার কোনো দাম বলেনি। গরুর চামড়ার সঙ্গে ছাগলের চামড়া ফ্রিতে দিয়ে দিয়েছেন।

শহরের মুক্তির মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ী হরেন বলেন, আড়তদার চামড়া নিতে চাচ্ছে না। ফলে গরু-ছাগলের চামড়া কিনে খরচ ওঠা দূরের কথা, চায়ের দামও হচ্ছে না। ফুটপাতে এখন এক কাপ চা খেতে ১৫ টাকা লাগে। আর একটি চামড়ার লাভ হচ্ছে মাত্র দুই টাকা। গরু-ছাগলের চামড়ার এমন করুণ পরিণতি গত দুই বছর ধরেই চলছে।

নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, চাহিদা না থাকায় গরুর চামড়া কিছুটা দাম দিয়ে এবং ছাগলের চামড়া ফ্রিতে নিয়েছি। গরুর ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দরে চামড়া কিনে স্থানীয় আড়তে নিয়ে বিক্রি করব। তবে পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে গরু-ছাগলের চামড়ায় তেমন কোনো লাভ থাকবে না।#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় ছাগলের চামড়া ফ্রি!<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২১ জুলাই ২০২১ :

এবারের কোরবানি ঈদে নওগাঁর ১১ উপজেলায় পানির দামে বিক্রি হয়েছে পশুর চামড়া। প্রত্যন্ত পল্লীগুলোতে ফরিয়াদেরকে ফ্রি দিতে হয়েছে ছালের চামড়া।

আগের বছরগুলোতে গরু-ছাগলের চামড়ার পাশাপাশি মাথার চামড়ার কদর ছিল। এবার ছাগলের চামড়ার কদর কম হলেও মাথার চামড়ার কোনো কদর মেলেনি। এ অবস্থায় নওগাঁ শহরের গোস্তহাটির মোড় আড়তে মাথার চামড়া ফেলে রেখে গেছেন অনেক কোরবানিদাতা।

প্রকারভেদে গরুর চামড়া ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। শহরের মুক্তির মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, গোস্তহাটির মোড়, কাজীর মোড়ে বিক্রেতারা গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও ছাগলের চামড়া ফ্রিতে দিয়েছেন।

শহরের চকএনায়েত মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ছাগল কিনে কোরবানি দিয়েছেন। চামড়া কিনতে আসা ফড়িয়ারা দাম বলেছে ৩০ টাকা। সে কারণে চামড়া ফড়িয়াদের না দিয়ে তিনি বাসার কাজের মহিলাকে দিয়ে দিয়েছেন।

শহরের লাটাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সৌরভ হোসেন জানান, ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে কোরবানি দিয়েছেন। বাজারে চামড়ার দাম খুবই কম। কোরবানি পশুর চামড়ার টাকা গরিবরা পেয়ে থাকে। চামড়ার দাম না থাকায় তারা বঞ্চিত হচ্ছে। চামড়ার দাম না পেয়ে পাশের এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হয়েছে।

শহরের বাঙাবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা শাহাদত বলেন, দেড় লাখ টাকার একটি ষাঁড় গরু ও ১০ হাজার টাকার একটি ছাগল কোরবানি দিয়েছেন। কোরবানি শেষে গরুর চামড়ার দাম ২০০ টাকা বললেও ছাগলের চামড়ার কোনো দাম বলেনি। গরুর চামড়ার সঙ্গে ছাগলের চামড়া ফ্রিতে দিয়ে দিয়েছেন।

শহরের মুক্তির মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ী হরেন বলেন, আড়তদার চামড়া নিতে চাচ্ছে না। ফলে গরু-ছাগলের চামড়া কিনে খরচ ওঠা দূরের কথা, চায়ের দামও হচ্ছে না। ফুটপাতে এখন এক কাপ চা খেতে ১৫ টাকা লাগে। আর একটি চামড়ার লাভ হচ্ছে মাত্র দুই টাকা। গরু-ছাগলের চামড়ার এমন করুণ পরিণতি গত দুই বছর ধরেই চলছে।

নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, চাহিদা না থাকায় গরুর চামড়া কিছুটা দাম দিয়ে এবং ছাগলের চামড়া ফ্রিতে নিয়েছি। গরুর ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দরে চামড়া কিনে স্থানীয় আড়তে নিয়ে বিক্রি করব। তবে পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে গরু-ছাগলের চামড়ায় তেমন কোনো লাভ থাকবে না।#