নওগাঁ ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে প্রথম দিন কঠোর লকডাউন চলছে<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, বার্তা সম্পাদক, ১ জুলাই ২০২১ :

সারাদেশে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন নওগাঁর মহাদেবপুরে সর্বাত্মকভাবে পালিত হয়েছে।

সারাদেশে বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। গত ৩০ জুন সন্ধ্যার পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মিলনের আহ্বানে উপজেলা সদরে প্রচারণা থেকে জানা গিয়েছিল, লকডাউন চলাকালে উপজেলার সকল সরকারী বেসরকারী,স্বায়ত্তশাসিত অফিস বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে। সকল দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া নিষেধ।

এমন ঘোষণা আসতে পারে জেনে এই উপজেলার আশেপাশে থেকে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আগামী সাত দিনের কেনাকাটার জন্য করোনাভাইরাসের কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে ছিলেন। হাটবার হওয়ায় সন্ধ্যার পরপরই অনেক দোকানের মালামাল শেষ হয়ে যায়।

উপজেলা সদরের দুলাল পাড়া গ্রামের রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান, কামরুজ্জামান হাটে এসে বলেছিলেন তারা প্রয়োজনে কেনাকাটা করতে বাজারে এসেছেন।

ব্যবসায়ী মঈন ও কুদ্দুস বলে ছিলেন ক্রেতা বেশি হওয়ায় অনেক আগেই তাদের সবজি শেষ হয়ে গিয়েছিল।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বকুল বলেছিলেন কঠোর লকডাউন এর কথা শুনে অনেকেই বাজারে এসেছেন। অনেক আগেই তার পেয়াঁজ শেষ হয়ে গিয়েছে।

শসা ব্যবসায়ী রবিউল বলেছিলেন, অনেক আগেই তার বিক্রি শেষ হয়েছে। পশুহাট বন্ধ ছিল।

বৃহস্পতিবার ১ জুলাই সকাল থেকে উপজেলা সদরের সকল দোকান পাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ, কাঁচা বাজার, বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচল নেই। মাঝে মাঝে পণ্যবাহী গাড়ি দেখা যায়। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে মানুষের পদচারণা নেই। অধিকাংশ অফিস বন্ধ থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ও উপজেলা খাদ্য অফিস খোলা ছিল।

উপজেলার সিদ্দিকপুর গ্রামের সালাম এর পুত্র রুবেল জানান, পরিবারের ওষুধ কিনতে তিনি মহাদেবপুরে এসেছেন। কিন্তু কোনো যানবাহন না থাকায় হেঁটে তাকে বাড়ি যেতে হচ্ছে। এটি দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছু নয়।

ব্যবসায়ী অমিয় জানান, তিনি তার দোকান বন্ধ রেখেছেন। সার্বিক পরিস্থিতি কি দেখার জন্য বাইরে এসেছেন।

উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও আদিবাসী নেতা অসিত দাস বলেন, শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। অবিলম্বে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের তদারকি কঠোর ছিল।#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে প্রথম দিন কঠোর লকডাউন চলছে<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১১:১০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, বার্তা সম্পাদক, ১ জুলাই ২০২১ :

সারাদেশে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন নওগাঁর মহাদেবপুরে সর্বাত্মকভাবে পালিত হয়েছে।

সারাদেশে বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। গত ৩০ জুন সন্ধ্যার পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মিলনের আহ্বানে উপজেলা সদরে প্রচারণা থেকে জানা গিয়েছিল, লকডাউন চলাকালে উপজেলার সকল সরকারী বেসরকারী,স্বায়ত্তশাসিত অফিস বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে। সকল দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া নিষেধ।

এমন ঘোষণা আসতে পারে জেনে এই উপজেলার আশেপাশে থেকে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আগামী সাত দিনের কেনাকাটার জন্য করোনাভাইরাসের কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে ছিলেন। হাটবার হওয়ায় সন্ধ্যার পরপরই অনেক দোকানের মালামাল শেষ হয়ে যায়।

উপজেলা সদরের দুলাল পাড়া গ্রামের রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান, কামরুজ্জামান হাটে এসে বলেছিলেন তারা প্রয়োজনে কেনাকাটা করতে বাজারে এসেছেন।

ব্যবসায়ী মঈন ও কুদ্দুস বলে ছিলেন ক্রেতা বেশি হওয়ায় অনেক আগেই তাদের সবজি শেষ হয়ে গিয়েছিল।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বকুল বলেছিলেন কঠোর লকডাউন এর কথা শুনে অনেকেই বাজারে এসেছেন। অনেক আগেই তার পেয়াঁজ শেষ হয়ে গিয়েছে।

শসা ব্যবসায়ী রবিউল বলেছিলেন, অনেক আগেই তার বিক্রি শেষ হয়েছে। পশুহাট বন্ধ ছিল।

বৃহস্পতিবার ১ জুলাই সকাল থেকে উপজেলা সদরের সকল দোকান পাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ, কাঁচা বাজার, বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচল নেই। মাঝে মাঝে পণ্যবাহী গাড়ি দেখা যায়। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে মানুষের পদচারণা নেই। অধিকাংশ অফিস বন্ধ থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ও উপজেলা খাদ্য অফিস খোলা ছিল।

উপজেলার সিদ্দিকপুর গ্রামের সালাম এর পুত্র রুবেল জানান, পরিবারের ওষুধ কিনতে তিনি মহাদেবপুরে এসেছেন। কিন্তু কোনো যানবাহন না থাকায় হেঁটে তাকে বাড়ি যেতে হচ্ছে। এটি দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছু নয়।

ব্যবসায়ী অমিয় জানান, তিনি তার দোকান বন্ধ রেখেছেন। সার্বিক পরিস্থিতি কি দেখার জন্য বাইরে এসেছেন।

উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও আদিবাসী নেতা অসিত দাস বলেন, শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। অবিলম্বে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের তদারকি কঠোর ছিল।#