নওগাঁ ০৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

করোনাবিধি মানছেননা ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৬ জুন ২০২১ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র মোটেও মানছেননা করোনাবিধি। নওগাঁ জেলা প্রশাসনের জারী করা নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি নিজে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তার দেখাদেখি ইউনিয়নের অন্য সাধারণ মানুষও মানছেননা। সেসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেননি। বরং জেলা প্রশাসকের জারী করা নির্দেশ তার প্রতি প্রযোজ্য নয় বলে দাবী করেছেন। নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভূয়া বলেও দাবি করেছেন এই চেয়ারম্যান।

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ১৭ জুন ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্রের ছেলে আপন ভদ্রের (৩০) করোনাভাইরাস পজিটিভ রেজাল্ট আসে। সেসময় ওই চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, কিছুদিন আগে তার অটোরাইস মিলের একজন লেবার অসুস্থ হলে তার ছেলে ওই লেবারকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ হাসপাতালে যান। সেখানে তার টাইফয়েড ধরা পড়ে। কৌতুহলবশত: তারা উভয়েই করোনাভাইরাস টেস্ট করান। টেস্টে ওই লেবারের করোনা নিগেটিভ আসলেও তার ছেলের পজিটিভ আসে। তবে তার ছেলের কোন উপসর্গ নেই। তাই তিনি সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছেন। বিষয়টি ভূলও হতে পারে বলে আবারও পরীক্ষা করাবেন। কিন্তু গত ১২ দিনেও নতুন করে তার টেস্ট করাননি। নিয়মানুযায়ী চেয়ারম্যান নিজে বা তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কারও টেস্ট করাননি। তিনি কোয়ারেন্টাইনে না থেকে তখন থেকে নিয়মিত তার এজলাশে বসে বিচার করছেন। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে শালিস দরবার, মরা বাড়ি, নানান অনুষ্ঠান ও তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে স্বাভাবিকভাবেই অংশ নিচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের অন্য সদস্যরা তাকে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেননি।

গত ২ জুন নওগাঁ জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত কঠোর বিধিনিষেধের গণবিজ্ঞপ্তির ১১নং দফায় বলা হয়, ‘‘নওগাঁ জেলাধীন কোন বাড়িতে কোভিড আক্রান্ত রোগী থাকলে উক্ত বাড়ি পুরোপুরি লকডাউন করতে হবে এবং ঐ বাড়ির সকল সদস্য লকডাউনে থাকবেন। সেক্ষেত্রে এধরনের বাড়ি বড় স্টিকার বা লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে। একই পাড়া/মহল্লায় একাধিক বাড়িতে সংক্রমণ চিহ্নিত হলে উক্ত পাড়া/মহল্লা লকডাউন থাকবে।’’ কিন্তু ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসকের এই সরকারি নির্দেশকে পুরোপুরি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। না তার বাড়ি লকডাউন করেছেন, না চিহ্নিত করেছেন, না তিনি নিজে লকডাউনে থেকেছেন।

জানতে চাইলে শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র জানান, তার ছেলের করোনা টেস্টের রিপোর্ট সঠিক নয়। তাই লকডাউনের প্রশ্নই ওঠেনা। তিনি স্বাভাবিকভাবে সব কাজে অংশ নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে ও দূরত্ব বজায় রেখেই করছেন। জেলা প্রশাসকের জারী করা বিধিনিষেধ তার জন্য প্রযোজ্য নয় বলেও তিনি জানান।

যোগাযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন বলেন,‘ওই চেয়ারম্যানকে অবশ্যই লকডাউনে থাকতে হবে। আমি তাকে শক্তভাবে বলে দিয়েছি যে, তার ছেলের করোনা পজিটিভ হওয়ায় চেয়ারম্যানের বাড়ির বাইরে আসার কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কাজগুলো প্যানেল চেয়ারম্যান করবেন।’#

আপলোডকারীর তথ্য

করোনাবিধি মানছেননা ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৬ জুন ২০২১ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র মোটেও মানছেননা করোনাবিধি। নওগাঁ জেলা প্রশাসনের জারী করা নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি নিজে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তার দেখাদেখি ইউনিয়নের অন্য সাধারণ মানুষও মানছেননা। সেসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেননি। বরং জেলা প্রশাসকের জারী করা নির্দেশ তার প্রতি প্রযোজ্য নয় বলে দাবী করেছেন। নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভূয়া বলেও দাবি করেছেন এই চেয়ারম্যান।

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ১৭ জুন ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্রের ছেলে আপন ভদ্রের (৩০) করোনাভাইরাস পজিটিভ রেজাল্ট আসে। সেসময় ওই চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, কিছুদিন আগে তার অটোরাইস মিলের একজন লেবার অসুস্থ হলে তার ছেলে ওই লেবারকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ হাসপাতালে যান। সেখানে তার টাইফয়েড ধরা পড়ে। কৌতুহলবশত: তারা উভয়েই করোনাভাইরাস টেস্ট করান। টেস্টে ওই লেবারের করোনা নিগেটিভ আসলেও তার ছেলের পজিটিভ আসে। তবে তার ছেলের কোন উপসর্গ নেই। তাই তিনি সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছেন। বিষয়টি ভূলও হতে পারে বলে আবারও পরীক্ষা করাবেন। কিন্তু গত ১২ দিনেও নতুন করে তার টেস্ট করাননি। নিয়মানুযায়ী চেয়ারম্যান নিজে বা তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কারও টেস্ট করাননি। তিনি কোয়ারেন্টাইনে না থেকে তখন থেকে নিয়মিত তার এজলাশে বসে বিচার করছেন। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে শালিস দরবার, মরা বাড়ি, নানান অনুষ্ঠান ও তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে স্বাভাবিকভাবেই অংশ নিচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের অন্য সদস্যরা তাকে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেননি।

গত ২ জুন নওগাঁ জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত কঠোর বিধিনিষেধের গণবিজ্ঞপ্তির ১১নং দফায় বলা হয়, ‘‘নওগাঁ জেলাধীন কোন বাড়িতে কোভিড আক্রান্ত রোগী থাকলে উক্ত বাড়ি পুরোপুরি লকডাউন করতে হবে এবং ঐ বাড়ির সকল সদস্য লকডাউনে থাকবেন। সেক্ষেত্রে এধরনের বাড়ি বড় স্টিকার বা লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে। একই পাড়া/মহল্লায় একাধিক বাড়িতে সংক্রমণ চিহ্নিত হলে উক্ত পাড়া/মহল্লা লকডাউন থাকবে।’’ কিন্তু ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসকের এই সরকারি নির্দেশকে পুরোপুরি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন। না তার বাড়ি লকডাউন করেছেন, না চিহ্নিত করেছেন, না তিনি নিজে লকডাউনে থেকেছেন।

জানতে চাইলে শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র জানান, তার ছেলের করোনা টেস্টের রিপোর্ট সঠিক নয়। তাই লকডাউনের প্রশ্নই ওঠেনা। তিনি স্বাভাবিকভাবে সব কাজে অংশ নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে ও দূরত্ব বজায় রেখেই করছেন। জেলা প্রশাসকের জারী করা বিধিনিষেধ তার জন্য প্রযোজ্য নয় বলেও তিনি জানান।

যোগাযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন বলেন,‘ওই চেয়ারম্যানকে অবশ্যই লকডাউনে থাকতে হবে। আমি তাকে শক্তভাবে বলে দিয়েছি যে, তার ছেলের করোনা পজিটিভ হওয়ায় চেয়ারম্যানের বাড়ির বাইরে আসার কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কাজগুলো প্যানেল চেয়ারম্যান করবেন।’#