আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সারা দেশে খ্যাতি অর্জন করেছে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা। এছাড়াও দেশের সর্ববৃহৎ আমের মোকামও এই উপজেলায়। যার ফলস্বরূপ চলতি মৌসুমে পরিপক্ক আম বিক্রয় করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আমচাষীরা এই মোকামে আসেন। এখানে রাস্তার দুপাশের বিস্তর এলাকাজুড়ে বসে আমের হাট। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আম ক্রয়ের জন্য ব্যাপারীদের আনাগোনা শুরু হয় এই মধুমাসে।
সোমবার (২১ জুন) ভোর থেকে সাপাহার আম বাজারকে ছাড়িয়ে চার দিকের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন যানবহনের ভীড়েই কেনা-বেচা হচ্ছে আম। উপজেলার জয়পুর হতে পত্নীতলা উপজেলার দিবর এলাকা পর্যন্ত আম বিক্রির জন্য নানান যানবহন অপেক্ষারত দেখা গেছে। এই বছরে সবচেয়ে বেশি আম আমদানী হয়েছে এই দিনে।স্থানীয় আমচাষীরা বলছেন, এই অঞ্চলের সেরা আম আম্রপালী বাজারে আসায় আমদানী বেড়েছে। যেভাবে আমের উৎপাদন বেড়েছে সেভাবে বাড়েনি আমের চাহিদা। ফলে আমদানী বাড়লেও আমের সন্তোষজনক দাম নাই আমের বাজারে। আমের সঠিক মূল্য না পেয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন আমচাষীরা। জাত অনুপাতে প্রতিমণ আম বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। করোনাকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন চলছে। তাই বাইরের অঞ্চলে আমের চাহিদা অনেকটাই কম। ফলে আমের বাজারমূল্য কমে যাচ্ছে বলে জানান আম ব্যাপারীরা।
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মজিবুর রহমান বলেন,‘এ পর্যন্ত আমের বাজার মূল্য ভালো আছে। এ ধারা অব্যহত থাকলে আমচাষীরা লাভবান হবেন। এছাড়াও আমরা সাপাহারের আম বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর জন্য নানাবিধ ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছি। বাজারে অন্যান্য জাতের আম শেষের পথে। এ মূহুর্তে আম্রপালির উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।#