নওগাঁ ০২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় আশ্রয়ণ প্রকল্প : নির্মাণের চার মাসের মাথায় ঘরে ফাটল!<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১২ জুন ২০২১ :

সারি সারি এসব নতুন ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র চার মাস আগে। এরইমধ্যে ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল ধরেছে। অল্প বাতাসেই উড়ে যায় ঘরের ছাওনি। আর নির্মাণের দুই মাসের মধ্যে বেশিরভাগ ঘরে খুলে পড়ে গেছে জানালা। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের উপহার দেওয়া হয় এসব ঘর। ভূমিহীনদের স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে নওগাঁ জেলাজুড়ে নির্মাণ করা হয় এসব বাড়ি। ঘরগুলোতে শোবার ঘর, রান্না ঘর, টয়লেটসহ রাখা হয় বেশকিছু সুবিধা। কষ্টের বিষয় হলেও সত্য এখনও এসব ঘরে বসবাস শুরু করেনি ভূমিহীন অনেক পরিবার।

জেলার সদর উপজেলার তেলিপুকুর নামক স্থানে ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয় ১২ টি ঘর। সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলোর অভিযোগ এরমধ্যেই টিন ফুটো হয়ে পানি পড়ছে ঘরের ভিতরে। ফেটে গেছে ঘরের সীমানা প্রাচীর, অল্প বাতাসেই উড়ে যায় ঘরের ছাওনি। ঘর পেয়েও খুব কষ্ট করে সেখানে থাকতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি ঘরগুলো মাঠের মাঝখানে হওয়ায় রাস্তা নেই যাতায়াতের জন্য। এসব সমস্যার জন্য এরইমধ্যে অনেকে ঘরে এসেও আবার চলে গেছেন।

সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের আবাদপুর গ্রামেও নির্মাণ করা হয় ৬৯ টি ঘর। এরমধ্যে এখনও ফাঁকা রয়েছে অধিকাংশ। কেউবা এসে দু-একদিন থেকে আবার চলে গেছেন। আবার অনেকেই সেই শুরু থেকেই একদিনের জন্যও আসেননি ঘরগুলোতে।

আবাদপুরে বসবাসকারীদের অভিযোগ অনেক পরিবার ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর আর আসেননি একবারও। এরমধ্যে বেশকিছু মধ্যবিত্ত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ঘর। এজন্য তারা চক্ষু লজ্জায় এসব ঘরে আসেননি।

হাপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফছার আলী বলেন, ‘ঘরগুলো নির্মাণে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে আসলে ভালো ঘর নির্মাণ করা যায় না। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ ভালো ঘর নির্মাণ করার। আর ঘর দেওয়ার বিষয়ে কোনো রকম অনিয়ম হয়নি। আমরা অনেক দরখাস্ত পেয়েছি। এরমধ্যে যাচাই-বাছাই করে যাদের আসলেই ঘর নেই তাদের ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দীন বলেন, ‘গত জানুয়ারি মাসে জেলার এক হাজার ৫৬ টি ভূমিহীন পরিবারকে এসব ঘর উপহার দেওয়া হয়। ঘরগুলো নির্মাণে আমাদের কমিটির সর্বোচ্চ সহযোগিতা ছিল। যেহেতু এর তালিকা অনেক আগের করা। তারপরও আবারো যাচাই-বাছাই করে যদি কোনো অনিয়ম থাকে তাহলে আমরা সে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।’#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় আশ্রয়ণ প্রকল্প : নির্মাণের চার মাসের মাথায় ঘরে ফাটল!<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১২ জুন ২০২১ :

সারি সারি এসব নতুন ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র চার মাস আগে। এরইমধ্যে ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল ধরেছে। অল্প বাতাসেই উড়ে যায় ঘরের ছাওনি। আর নির্মাণের দুই মাসের মধ্যে বেশিরভাগ ঘরে খুলে পড়ে গেছে জানালা। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের উপহার দেওয়া হয় এসব ঘর। ভূমিহীনদের স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে নওগাঁ জেলাজুড়ে নির্মাণ করা হয় এসব বাড়ি। ঘরগুলোতে শোবার ঘর, রান্না ঘর, টয়লেটসহ রাখা হয় বেশকিছু সুবিধা। কষ্টের বিষয় হলেও সত্য এখনও এসব ঘরে বসবাস শুরু করেনি ভূমিহীন অনেক পরিবার।

জেলার সদর উপজেলার তেলিপুকুর নামক স্থানে ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয় ১২ টি ঘর। সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলোর অভিযোগ এরমধ্যেই টিন ফুটো হয়ে পানি পড়ছে ঘরের ভিতরে। ফেটে গেছে ঘরের সীমানা প্রাচীর, অল্প বাতাসেই উড়ে যায় ঘরের ছাওনি। ঘর পেয়েও খুব কষ্ট করে সেখানে থাকতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি ঘরগুলো মাঠের মাঝখানে হওয়ায় রাস্তা নেই যাতায়াতের জন্য। এসব সমস্যার জন্য এরইমধ্যে অনেকে ঘরে এসেও আবার চলে গেছেন।

সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের আবাদপুর গ্রামেও নির্মাণ করা হয় ৬৯ টি ঘর। এরমধ্যে এখনও ফাঁকা রয়েছে অধিকাংশ। কেউবা এসে দু-একদিন থেকে আবার চলে গেছেন। আবার অনেকেই সেই শুরু থেকেই একদিনের জন্যও আসেননি ঘরগুলোতে।

আবাদপুরে বসবাসকারীদের অভিযোগ অনেক পরিবার ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর আর আসেননি একবারও। এরমধ্যে বেশকিছু মধ্যবিত্ত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ঘর। এজন্য তারা চক্ষু লজ্জায় এসব ঘরে আসেননি।

হাপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফছার আলী বলেন, ‘ঘরগুলো নির্মাণে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে আসলে ভালো ঘর নির্মাণ করা যায় না। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ ভালো ঘর নির্মাণ করার। আর ঘর দেওয়ার বিষয়ে কোনো রকম অনিয়ম হয়নি। আমরা অনেক দরখাস্ত পেয়েছি। এরমধ্যে যাচাই-বাছাই করে যাদের আসলেই ঘর নেই তাদের ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দীন বলেন, ‘গত জানুয়ারি মাসে জেলার এক হাজার ৫৬ টি ভূমিহীন পরিবারকে এসব ঘর উপহার দেওয়া হয়। ঘরগুলো নির্মাণে আমাদের কমিটির সর্বোচ্চ সহযোগিতা ছিল। যেহেতু এর তালিকা অনেক আগের করা। তারপরও আবারো যাচাই-বাছাই করে যদি কোনো অনিয়ম থাকে তাহলে আমরা সে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।’#