নওগাঁ ১২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

করোনা আপডেট : শনিবার নওগাঁর ১১ উপজেলায় আক্রান্ত ৫৯

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১২ জুন ২০২১ :

 

প্রাণঘাতি করোনা নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় হানা দিচ্ছে প্রতিদিন। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের হার। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন।

 

আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে, সদর উপজেলায় ১৬ জন, সাপাহার উপজেলায় সাত জন, পতœীতলা উপজেলায় সাত জন, মান্দা উপজেলায় ছয় জন, ধামইরহাট উপজেলায় ছয় জন, পোরশা উপজেলায় পাঁচ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় চার জন, আত্রাই উপজেলায় চার জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় দুই জন, রাণীনগর উপজেলায় এক জন ও বদলগাছি উপজেলায় এক জন।

 

নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা: এ বি এম আবু হানিফ শনিবার (১২ জুন) দুপুরে জানিয়েছেন, গত শুক্রবার (১১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (১২ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘন্টায় ২৩১ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে এই ৫৯ জনের শরীরে করেনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে ১০৩ জন ও নওগাঁ সদর হাসপাতালে এ্যন্টিজেন পরীক্ষায় ১২৮ জন। আক্রান্তের হার ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

 

এনিয়ে এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই হাজার ৮০৩ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ জন, এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১৪৫ জন। জেলায় বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন ৬০৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন। এদের মধ্যে চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে মারা গেছেন নয় জন।

 

গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেটাইনে নেয়া হয়েছে ২৯ জনকে এবং কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৮ জনকে। বর্তমানে কোয়ারাইনটেনে রয়েছেন এক হাজার ৮০৩ জন। জেলা সদরের আধুনিক হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। আক্রান্ত অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।

 

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, শনিবার (১২ জুন) এখানে এন্টিজেন টেষ্টে ১০ টি নমুনা পরীক্ষা করে তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এক জন উপজেলা সদরের চেয়ারম্যান পাড়ায়, এক জন হাসানপুরের আর এক জন হেলালপুরের।

 

নওগাঁয় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ২৩ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৮০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

 

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পারসন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে জেলায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেলেও মানুষের মধ্যে নমুনা দেওয়ার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। জেলার করোনা পরিস্থিতি জানার জন্য এবং মানুষকে নমুনা দিতে আগ্রহী করতে বিনা মূল্যে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। গত রবি ও সোমবার উন্মুক্ত স্থানে ক্যাম্প করে পথচলতি মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপরও মানুষের মধ্যে নমুনা দেওয়ার তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। যেখানে এ জেলায় প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ নমুনা সংগ্রহ হওয়া উচিত, সেখানে এখন প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৩৫০টি করে। কম পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ হওয়ায় জেলার সঠিক চিত্র বোঝা যাচ্ছে না।

#

আপলোডকারীর তথ্য

করোনা আপডেট : শনিবার নওগাঁর ১১ উপজেলায় আক্রান্ত ৫৯

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১২ জুন ২০২১ :

 

প্রাণঘাতি করোনা নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় হানা দিচ্ছে প্রতিদিন। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের হার। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন।

 

আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে, সদর উপজেলায় ১৬ জন, সাপাহার উপজেলায় সাত জন, পতœীতলা উপজেলায় সাত জন, মান্দা উপজেলায় ছয় জন, ধামইরহাট উপজেলায় ছয় জন, পোরশা উপজেলায় পাঁচ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় চার জন, আত্রাই উপজেলায় চার জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় দুই জন, রাণীনগর উপজেলায় এক জন ও বদলগাছি উপজেলায় এক জন।

 

নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা: এ বি এম আবু হানিফ শনিবার (১২ জুন) দুপুরে জানিয়েছেন, গত শুক্রবার (১১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (১২ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘন্টায় ২৩১ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে এই ৫৯ জনের শরীরে করেনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে ১০৩ জন ও নওগাঁ সদর হাসপাতালে এ্যন্টিজেন পরীক্ষায় ১২৮ জন। আক্রান্তের হার ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

 

এনিয়ে এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই হাজার ৮০৩ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ জন, এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১৪৫ জন। জেলায় বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন ৬০৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন। এদের মধ্যে চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে মারা গেছেন নয় জন।

 

গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেটাইনে নেয়া হয়েছে ২৯ জনকে এবং কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৮ জনকে। বর্তমানে কোয়ারাইনটেনে রয়েছেন এক হাজার ৮০৩ জন। জেলা সদরের আধুনিক হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন ৪১ জন। আক্রান্ত অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।

 

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, শনিবার (১২ জুন) এখানে এন্টিজেন টেষ্টে ১০ টি নমুনা পরীক্ষা করে তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এক জন উপজেলা সদরের চেয়ারম্যান পাড়ায়, এক জন হাসানপুরের আর এক জন হেলালপুরের।

 

নওগাঁয় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ২৩ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৮০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

 

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পারসন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে জেলায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেলেও মানুষের মধ্যে নমুনা দেওয়ার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। জেলার করোনা পরিস্থিতি জানার জন্য এবং মানুষকে নমুনা দিতে আগ্রহী করতে বিনা মূল্যে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। গত রবি ও সোমবার উন্মুক্ত স্থানে ক্যাম্প করে পথচলতি মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপরও মানুষের মধ্যে নমুনা দেওয়ার তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। যেখানে এ জেলায় প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ নমুনা সংগ্রহ হওয়া উচিত, সেখানে এখন প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৩৫০টি করে। কম পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ হওয়ায় জেলার সঠিক চিত্র বোঝা যাচ্ছে না।

#