নওগাঁ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সাপাহারে কলমুডাঙ্গা-চকচকি কাঁচা রাস্তা এখন কৃষকের মরণ ফাঁদ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ৩ জুন ২০২১ :

নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার সীমান্তবর্তি কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট ব্রীজ হতে চকচকির মাঠ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার উন্নয়ন না হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় ৫-৬টি গ্রামের কৃষক সাধারনকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

উপজেলার ৫ নং পাতাড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বলদিয়াঘাট ব্রীজের পশ্চিম প্রান্ত হতে সীমান্ত সংলগ্ন চকচকির মাঠে যাওয়ার একমাত্র গ্রামীণ রাস্তাটিতে বর্তমানে বড় বড় গর্ত ও কাদাপানির নর্দমায় পরিনত হয়েছে। পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলতি অর্থবছরে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির মাটি ভরাট কাজ করা হলেও অতি বর্ষণে রাস্তায় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে।

রাস্তাটি দিয়ে এলাকার কৃষক সাধারন গরু মহিষের গাড়ী, ভ্যান, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর দিয়ে চকচকির মাঠ ও আশেপাশের মাঠ থেকে তাদের জমির ফসল ঘরে তোলার কাজ করে থাকেন। বিশেষ করে চলতি বোরো মৌসুমে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত হওয়ায় রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমে গেলে সেখানে কাদা ও নর্দমা তৈরী হয়েছে। রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় চকচকির মাঠ, বসুমিধা, হাপানিয়া, কৃষ্ণসদা মাঠে উৎপাদিত কয়েক হাজার বিঘা জমির বোরো ধান মাঠের মধ্যে গাদা করে ফেলে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী মাঠের ফসল ঘরে তুলতে না পেরে অত্যন্ত দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। মাঠে গাদা (পালা) দেয়া ধানগুলো দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজে ইতোমধ্যে পঁচে যাওয়া শুরু হয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক সাধারন ওই রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সরকারের নিকট জোড় দাবি জানিয়ে আসছেন। 

কলমুডাঙ্গা গ্রামের আবদুল করিম বিশ্বাস, বলদিয়াঘাটের সমাজসেবী মোঃ আবদুল লতিফ, সিরাজুল ইসলাম, আনারুল মাস্টার, তোফাজ্জুল হোসেন, মনিরুল, আতাউর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, আরিফ হোসেনসহ মঠের অনেক কৃষক বলেন, ‘শুধু রাস্তাটির জন্য বর্তমানে আমরা চরম বেকায়দায় পড়ে আছি। রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া কঠিন। কোন প্রকার যানবাহন চলাচলের উপায় নাই। কেবলমাত্র দেড় কিলোমিটার ওই রাস্তা এলাকাবাসীর জন্য মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।’

এ বিষয়ে ৫নং পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুকুল মিঞা বলেন, ‘রাস্তার বিষয়টি সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে সাপাহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাজাহান হোসেন মন্ডলকে সাথে নিয়ে সরজমিনে ওই রাস্তার অবস্থা দেখানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনায় পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ওই মাঠের ধানগুলো ঘরে তোলার লক্ষে এলাকাবাসী সেচ্ছাশ্রমে রাস্তায় জমে থাকা কাদামাটি সরিয়ে সেখানে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে বালি এনে ভরাট করা হচ্ছে। রাস্তার যেখানে বেশি কাদামাটি বা গর্ত আছে সেখানে বালির সাথে ইট খোয়া মিশিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। দু এক দিনের মধ্যে চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ওই রাস্তাটির উন্নয়নের জন্য (পাকাকরন) তিনি ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।’

আপলোডকারীর তথ্য

সাপাহারে কলমুডাঙ্গা-চকচকি কাঁচা রাস্তা এখন কৃষকের মরণ ফাঁদ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৩:১০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ৩ জুন ২০২১ :

নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার সীমান্তবর্তি কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট ব্রীজ হতে চকচকির মাঠ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার উন্নয়ন না হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় ৫-৬টি গ্রামের কৃষক সাধারনকে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

উপজেলার ৫ নং পাতাড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বলদিয়াঘাট ব্রীজের পশ্চিম প্রান্ত হতে সীমান্ত সংলগ্ন চকচকির মাঠে যাওয়ার একমাত্র গ্রামীণ রাস্তাটিতে বর্তমানে বড় বড় গর্ত ও কাদাপানির নর্দমায় পরিনত হয়েছে। পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলতি অর্থবছরে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির মাটি ভরাট কাজ করা হলেও অতি বর্ষণে রাস্তায় খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে।

রাস্তাটি দিয়ে এলাকার কৃষক সাধারন গরু মহিষের গাড়ী, ভ্যান, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর দিয়ে চকচকির মাঠ ও আশেপাশের মাঠ থেকে তাদের জমির ফসল ঘরে তোলার কাজ করে থাকেন। বিশেষ করে চলতি বোরো মৌসুমে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত হওয়ায় রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমে গেলে সেখানে কাদা ও নর্দমা তৈরী হয়েছে। রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় চকচকির মাঠ, বসুমিধা, হাপানিয়া, কৃষ্ণসদা মাঠে উৎপাদিত কয়েক হাজার বিঘা জমির বোরো ধান মাঠের মধ্যে গাদা করে ফেলে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী মাঠের ফসল ঘরে তুলতে না পেরে অত্যন্ত দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। মাঠে গাদা (পালা) দেয়া ধানগুলো দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজে ইতোমধ্যে পঁচে যাওয়া শুরু হয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক সাধারন ওই রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সরকারের নিকট জোড় দাবি জানিয়ে আসছেন। 

কলমুডাঙ্গা গ্রামের আবদুল করিম বিশ্বাস, বলদিয়াঘাটের সমাজসেবী মোঃ আবদুল লতিফ, সিরাজুল ইসলাম, আনারুল মাস্টার, তোফাজ্জুল হোসেন, মনিরুল, আতাউর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, আরিফ হোসেনসহ মঠের অনেক কৃষক বলেন, ‘শুধু রাস্তাটির জন্য বর্তমানে আমরা চরম বেকায়দায় পড়ে আছি। রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া কঠিন। কোন প্রকার যানবাহন চলাচলের উপায় নাই। কেবলমাত্র দেড় কিলোমিটার ওই রাস্তা এলাকাবাসীর জন্য মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।’

এ বিষয়ে ৫নং পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুকুল মিঞা বলেন, ‘রাস্তার বিষয়টি সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে সাপাহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাজাহান হোসেন মন্ডলকে সাথে নিয়ে সরজমিনে ওই রাস্তার অবস্থা দেখানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দিক নির্দেশনায় পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ওই মাঠের ধানগুলো ঘরে তোলার লক্ষে এলাকাবাসী সেচ্ছাশ্রমে রাস্তায় জমে থাকা কাদামাটি সরিয়ে সেখানে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে বালি এনে ভরাট করা হচ্ছে। রাস্তার যেখানে বেশি কাদামাটি বা গর্ত আছে সেখানে বালির সাথে ইট খোয়া মিশিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। দু এক দিনের মধ্যে চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ওই রাস্তাটির উন্নয়নের জন্য (পাকাকরন) তিনি ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।’