নওগাঁ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে রোড ডিভাইডারের রড চুরি রোধে সংরক্ষণ করা হয়েছে (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৩ মে ২০২১ : নওগাঁর মহাদেবপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের রোড ডিভাইডারের বেড়ার লোহার রড চুরি করা হয়নি, বরং ছিচকে চুরি রোধে সেগুলো খুলে রেখে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মুহা: মাহবুবুর রহমান ধলু।তিনি সাংবাদিকদের জানান, রোড ডিভাইডারের বেড়া বিভিন্ন যানবাহনের ধাক্কায় স্থানে স্থানে ভেঙ্গে গেছে। সেগুলো থেকে কিছু কিছু অংশ ছিচড়ে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য ভেঙ্গে পড়া বেড়াগুলো খুলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। যেকোন সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ সেগুলো মেরামত করতে চাইলে রডগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। চেয়ারম্যান বলেন, ডিভাইডারে লাগানো গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই লোহার রডের বেড়াগুলো দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গাছগুলো ইতোমধ্যে অনেক বড় হয়েছে। ফলে রডের বেড়ার আর প্রয়োজন নাই। এছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগ এই সড়কে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছেন।চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ধলু জানান, রডগুলো অনেক পুরাতন ও মরিচা পড়ায় এগুলো দিয়ে কোনক্রমেই নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। রডগুলো সংরক্ষণের সময় খুব সামান্য কিছু রড জনসাধারণের অতীব জরুরী প্রয়োজনে বিনামূল্যে কাজে লাগানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পশ্চিমে অবস্থিত মন্দিরের বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় দীর্ঘদিনের পুরনো প্রতিমাগুলো ছাগল কুকুর ঢুকে অপবিত্র করছিল। মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের অনুরোধে ওই মন্দিরের বেড়া হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য সামান্য কিছু রড বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ যেকোন সময় চাইলে সেগুলো সাথে সাথেই ফেরৎ দিবেন বলেও তিনি জানান।এছাড়া ওই মন্দিরের দক্ষিণে আত্রাই নদীর বাঁধে ওঠার রাস্তায় ড্রেনের উপর স্লাব না থাকায় পথচারী পারাপার, সাইকেল, মটরসাইকেল, রিক্সা, ভ্যান প্রভৃতি যাতায়াতে কাদায় মাখামাখি হয়ে যেত। ওই এলাকার জনতার অনুরোধের প্রেক্ষিতে রোড ডিভাইডারের কয়েক টুকরো রড ব্যবহার করে সেখানে একটি পাকা স্লাব নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এটির খরচ বহন করেছেন ব্যক্তিগতভাবে চেয়ারম্যান নিজেই।চেয়ারম্যান জানান, মহাদেবপুর পোষ্ট অফিস মোড় থেকে কলেজ রোডে মাছ হাটির কাছে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ে সারাবছর কাদা পানিতে সয়লাব হয়ে থাকতো। স্থানীয় জনতার অনুরোধে তিনি নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে সেখানে অল্প কিছু ওই রড ব্যবহার করে ঢালাই করে দেন। ফলে পানি জমে থাকা সমস্যার সমাধান হয়। একইভাবে মহাদেবপুর কলেজ পাড়া মসজিদ থেকে লিচুতলা যাবার রাস্তায় পানি জমা হয়ে থাকতো। এতে দারুণ ভোগান্তি পোহাতে হতো স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের। তিনি সেখানেও সামান্য রড ব্যবহার করে নিজস্ব অর্থায়নে একটি ঢালাই করে দেন।চেয়ারম্যান ধলু জানান, মহাদেবপুর উপজেলা সদরে যেহেতু পৌরসভা নেই সেইহেতু সদর ইউনিয়ন পরিষদকেই পৌরসভার মত কাজ করতে হয়। উপজেলা সদরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের দুদিকের ড্রেন টয়লেটের ময়লায় প্রায়ই ভরাট হয়ে যায়। ড্রেন উপচে দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা বাইরে জমা হয়ে থাকে। এতে স্থানীয় জনতার দূর্ভোগের শেষ থাকেনা। তাদের স্বার্থে ইতিপুর্বে চেয়ারম্যান আট লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে চারবার সেই ড্রেন পরিষ্কার করেছেন। সম্প্রতি এই ড্রেন আবার উপচে পড়লে মহাদেবপুর দর্পণে লাইভ দেখানো হয়। সে লাইভ দেখে চেয়ারম্যান সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে পুরো ড্রেন আবার পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বিকেলে সরেজমিনে মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি আমলে নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের প্রয়াত এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকী বিস্তর টাকা খরচ করে মহাদেবপুর বুলবুল সিনেমা হলের কাছ থেকে ঘোষপাড়ার মোড় পর্যন্ত এবং উপজেলা কমপ্লেক্সের দক্ষিণে রেইন্ট্রিতলা থেকে পোষ্ট অফিসের মোড় পর্যন্ত প্রশস্ত ডবল ওয়ে রোড নির্মাণ করেন। সারাদেশের মধ্যে কোন উপজেলা সদরে এই প্রথম এত প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ হয়। সড়কের মাঝখানে বসানো হয় ডিভাইডার। ডিভাইডারে লাগানো হয় ঝাউ, বকুল প্রভৃতি দামী গাছের চারা। এসব গাছের চারা সংরক্ষণের জন্য রোড ডিভাইডার ঘিরে দেয়া হয় শক্ত লোহার রড দিয়ে।

কালের বিবর্তনে সেই লোহার রডের বেড়া স্থানে স্থানে বিভিন্ন যানবাহনের ধাক্কায় ভেঙ্গে পড়ে আছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ সেগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি রডের বেড়গুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোন উদ্যোগও তারা নেননি। তাদের অবহেলা আর উদাসিনতায় ডবল ওয়ে রোডের পূর্ব পাশের অংশ দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচলের কাজে ব্যবহার করা হয়না। সেটি এখন চলে গেছে সম্পূর্ণ অবৈধ হকারদের দখলে। তাদের উচ্ছেদ করে সড়কটি চালু করার ব্যবস্থা করেনি কেউ। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ডবল ওয়ে সড়কের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনে ফুলের গাছ লাগানোর জায়গা ঘিরে দেয়া হয়েছে ওই রড দিয়ে। এছাড়া ভবনের পূর্বে, পুরাতন ভবনের পশ্চিমে কাঁচা বাজারের ওয়াল সংলগ্ন স্থানে চারিদিকে স্তুপ করে রাখা হয়েছে সেসব রড। নতুন ভবনের ছাদের উপরও রাখা হয়েছে কিছু।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস এলাকায় গিয়ে মন্দিরের চারিদিকে বেড়া দেয়া আর তার দক্ষিণে রাস্তার ড্রেনের উপর একটি সামান্য ভাঙ্গা স্লাব দেখা গেলো। সেটার ভাঙ্গা দিয়ে দেখা যায় সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে রোড ডিভাইডারের রড। মাছবাজারের সামনে এখন নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশেই ফেলে রাখা হয়েছে রোড ডিভাইডারের রড দিয়ে তৈরি ঢালাই। কলেজপাড়া মসজিদ থেকে লিচুতলা যাবার রাস্তায়ও একটি ঢালাই দেখা গেল। ওইসব এলাকার মানুষদের সাথে কথা বললে তারা জানান, চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ধলু স্বত:স্ফুর্তভাবে এলাকার মানুষের অনুরোধের প্রেক্ষিতে কোন প্রকল্প ছাড়াই এগুলো তৈরি করে দিয়েছেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে রোড ডিভাইডারের রড চুরি রোধে সংরক্ষণ করা হয়েছে (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৯:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মে ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৩ মে ২০২১ : নওগাঁর মহাদেবপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের রোড ডিভাইডারের বেড়ার লোহার রড চুরি করা হয়নি, বরং ছিচকে চুরি রোধে সেগুলো খুলে রেখে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মুহা: মাহবুবুর রহমান ধলু।তিনি সাংবাদিকদের জানান, রোড ডিভাইডারের বেড়া বিভিন্ন যানবাহনের ধাক্কায় স্থানে স্থানে ভেঙ্গে গেছে। সেগুলো থেকে কিছু কিছু অংশ ছিচড়ে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য ভেঙ্গে পড়া বেড়াগুলো খুলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। যেকোন সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ সেগুলো মেরামত করতে চাইলে রডগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। চেয়ারম্যান বলেন, ডিভাইডারে লাগানো গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই লোহার রডের বেড়াগুলো দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গাছগুলো ইতোমধ্যে অনেক বড় হয়েছে। ফলে রডের বেড়ার আর প্রয়োজন নাই। এছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগ এই সড়কে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছেন।চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ধলু জানান, রডগুলো অনেক পুরাতন ও মরিচা পড়ায় এগুলো দিয়ে কোনক্রমেই নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। রডগুলো সংরক্ষণের সময় খুব সামান্য কিছু রড জনসাধারণের অতীব জরুরী প্রয়োজনে বিনামূল্যে কাজে লাগানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পশ্চিমে অবস্থিত মন্দিরের বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় দীর্ঘদিনের পুরনো প্রতিমাগুলো ছাগল কুকুর ঢুকে অপবিত্র করছিল। মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের অনুরোধে ওই মন্দিরের বেড়া হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য সামান্য কিছু রড বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ যেকোন সময় চাইলে সেগুলো সাথে সাথেই ফেরৎ দিবেন বলেও তিনি জানান।এছাড়া ওই মন্দিরের দক্ষিণে আত্রাই নদীর বাঁধে ওঠার রাস্তায় ড্রেনের উপর স্লাব না থাকায় পথচারী পারাপার, সাইকেল, মটরসাইকেল, রিক্সা, ভ্যান প্রভৃতি যাতায়াতে কাদায় মাখামাখি হয়ে যেত। ওই এলাকার জনতার অনুরোধের প্রেক্ষিতে রোড ডিভাইডারের কয়েক টুকরো রড ব্যবহার করে সেখানে একটি পাকা স্লাব নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এটির খরচ বহন করেছেন ব্যক্তিগতভাবে চেয়ারম্যান নিজেই।চেয়ারম্যান জানান, মহাদেবপুর পোষ্ট অফিস মোড় থেকে কলেজ রোডে মাছ হাটির কাছে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ে সারাবছর কাদা পানিতে সয়লাব হয়ে থাকতো। স্থানীয় জনতার অনুরোধে তিনি নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে সেখানে অল্প কিছু ওই রড ব্যবহার করে ঢালাই করে দেন। ফলে পানি জমে থাকা সমস্যার সমাধান হয়। একইভাবে মহাদেবপুর কলেজ পাড়া মসজিদ থেকে লিচুতলা যাবার রাস্তায় পানি জমা হয়ে থাকতো। এতে দারুণ ভোগান্তি পোহাতে হতো স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের। তিনি সেখানেও সামান্য রড ব্যবহার করে নিজস্ব অর্থায়নে একটি ঢালাই করে দেন।চেয়ারম্যান ধলু জানান, মহাদেবপুর উপজেলা সদরে যেহেতু পৌরসভা নেই সেইহেতু সদর ইউনিয়ন পরিষদকেই পৌরসভার মত কাজ করতে হয়। উপজেলা সদরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের দুদিকের ড্রেন টয়লেটের ময়লায় প্রায়ই ভরাট হয়ে যায়। ড্রেন উপচে দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা বাইরে জমা হয়ে থাকে। এতে স্থানীয় জনতার দূর্ভোগের শেষ থাকেনা। তাদের স্বার্থে ইতিপুর্বে চেয়ারম্যান আট লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে চারবার সেই ড্রেন পরিষ্কার করেছেন। সম্প্রতি এই ড্রেন আবার উপচে পড়লে মহাদেবপুর দর্পণে লাইভ দেখানো হয়। সে লাইভ দেখে চেয়ারম্যান সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে পুরো ড্রেন আবার পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বিকেলে সরেজমিনে মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি আমলে নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের প্রয়াত এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকী বিস্তর টাকা খরচ করে মহাদেবপুর বুলবুল সিনেমা হলের কাছ থেকে ঘোষপাড়ার মোড় পর্যন্ত এবং উপজেলা কমপ্লেক্সের দক্ষিণে রেইন্ট্রিতলা থেকে পোষ্ট অফিসের মোড় পর্যন্ত প্রশস্ত ডবল ওয়ে রোড নির্মাণ করেন। সারাদেশের মধ্যে কোন উপজেলা সদরে এই প্রথম এত প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ হয়। সড়কের মাঝখানে বসানো হয় ডিভাইডার। ডিভাইডারে লাগানো হয় ঝাউ, বকুল প্রভৃতি দামী গাছের চারা। এসব গাছের চারা সংরক্ষণের জন্য রোড ডিভাইডার ঘিরে দেয়া হয় শক্ত লোহার রড দিয়ে।

কালের বিবর্তনে সেই লোহার রডের বেড়া স্থানে স্থানে বিভিন্ন যানবাহনের ধাক্কায় ভেঙ্গে পড়ে আছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ সেগুলো মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি রডের বেড়গুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোন উদ্যোগও তারা নেননি। তাদের অবহেলা আর উদাসিনতায় ডবল ওয়ে রোডের পূর্ব পাশের অংশ দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচলের কাজে ব্যবহার করা হয়না। সেটি এখন চলে গেছে সম্পূর্ণ অবৈধ হকারদের দখলে। তাদের উচ্ছেদ করে সড়কটি চালু করার ব্যবস্থা করেনি কেউ। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ডবল ওয়ে সড়কের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সামনে ফুলের গাছ লাগানোর জায়গা ঘিরে দেয়া হয়েছে ওই রড দিয়ে। এছাড়া ভবনের পূর্বে, পুরাতন ভবনের পশ্চিমে কাঁচা বাজারের ওয়াল সংলগ্ন স্থানে চারিদিকে স্তুপ করে রাখা হয়েছে সেসব রড। নতুন ভবনের ছাদের উপরও রাখা হয়েছে কিছু।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস এলাকায় গিয়ে মন্দিরের চারিদিকে বেড়া দেয়া আর তার দক্ষিণে রাস্তার ড্রেনের উপর একটি সামান্য ভাঙ্গা স্লাব দেখা গেলো। সেটার ভাঙ্গা দিয়ে দেখা যায় সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে রোড ডিভাইডারের রড। মাছবাজারের সামনে এখন নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশেই ফেলে রাখা হয়েছে রোড ডিভাইডারের রড দিয়ে তৈরি ঢালাই। কলেজপাড়া মসজিদ থেকে লিচুতলা যাবার রাস্তায়ও একটি ঢালাই দেখা গেল। ওইসব এলাকার মানুষদের সাথে কথা বললে তারা জানান, চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ধলু স্বত:স্ফুর্তভাবে এলাকার মানুষের অনুরোধের প্রেক্ষিতে কোন প্রকল্প ছাড়াই এগুলো তৈরি করে দিয়েছেন।#