মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১ মে ২০২১ :
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মাতাজী রোডে মন্দিরের পাশে কায়স্থপাড়ায় আলোচিত সেই পাকা রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে জাহাঙ্গীরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন মিঞা দুলালের কেনা জমির উপর দিয়ে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে, কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ও সরেজমিনে তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অধ্যক্ষ জানান, তিনি মহাদেবপুর বাগানবাড়ী এলাকার মরহুম আব্দুল লতিফের নিকট থেকে হাল ২০৯৯ নং খতিয়ানের ৮২৫ নং দাগে ছয় শতক সম্পত্তি কেনেন। সামনে বিস্তর ফাঁকা জায়গা রেখে সেখানে একটি বহুতল বিশিষ্ট বাসভবন নির্মাণ করেন। কিন্তু জমি মাপতে গিয়ে দেখতে পান যে, তার কেনা জমির মধ্যে থেকে চার ফুট চওড়া বিশিষ্ট জায়গার উপর দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি জানার পর তিনি পাকা রাস্তা বাদ দিয়ে বাকী জমির উপর বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে পাকা রাস্তার সাথে লাগিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। প্রশাসনও মৌখিকভাবে কাজটি বন্ধ করে দেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ। তিনি জানান, রাস্তাটি তার দপ্তর থেকে পাকাকরণ করা হয়। এলজিইডির রাস্তার জায়গা রয়েছে আরও উত্তরে। পাকাকরণের সময় নানা কারণে রাস্তার কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে নির্মাণ করা হয় বলেও তিনি জানান। এখন রাস্তার পাশ দিয়ে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করলে জোড়ালোভাবে এর বিরোধিতা করা যায়না।
অধ্যক্ষের প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক জানান, রাস্তা পাকাকরণের সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এটি এখন সংশোধন করা দুষ্কর। রাস্তা বাদে বাকী অংশে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করা দোষের কিছু হবেনা। ভবিষ্যতে রাস্তাটি প্রশস্ত করতে চাইলে সম্পূর্ণই উত্তর দিকে করা যাবে বলেও তিনি জানান।
একই কথা বলেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াছাৎ হায়দার টগর। তিনি বলেন, রাস্তা পাকাকরণের সময় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ রাস্তার জমির উপর দিয়েই করা উচিৎ ছিল।#