
মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৯ এপ্রিল ২০২১ :
নওগাঁর মহাদেবপুরে মোবাইলকোর্টে জরিমানা করা সেই ইটভাটায় আবারো কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে। জরিমানার পরও প্রচলিত সবরকম নিয়মকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে চলছে পরিবেশের বিপর্যয়।
উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের পাশে ফসলী জমি নষ্ট করে দীর্ঘদিন আগে গড়ে তোলা হয়েছে আল আমিন ব্রিক্স নামে একটি অবৈধ ইটভাটা। এর পাশেরই রয়েছে বাগডোব বাজার, হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল, অসংখ্য বাড়িঘর। পাশ দিয়ে চলে গেছে মহাদেবপুর-ছাতড়া-রহনপুর আঞ্চলিক পাকা সড়ক। এই ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। নেই স্থানীয় প্রশাসনের ন্যুনতম কোন অনুমোদন। এই অবস্থায় কিভাবে বছরের পর বছর এই বিশাল ইটভাটাটি চালু থাকে তা নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দেয়।
এবিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আসমা খাতুন সরেজমিনে এই ভাটা পরিদর্শন করেন। সেখানে নানা অনিয়ম ও কাঠ পোড়ানোর প্রমাণ পাওয়ায় ওই ভাটার মালিক ইউসুফ আলীর চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। কিন্তু এর পরদিন থেকেই এই ভাটায় আবারো কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ওই ভাটায় গেলে দেখা যায়, ভাটার উপরে আগুন দেয়ার চুল্লির কাছে জমা করে রাখা হয়েছে কাঠ। অল্প অল্প করে কাঠ সেখানে রেখে প্রয়োজনের সময় চুল্লিতে ওই কাঠ দেয়া হচ্ছে। বেশী করে কাঠ জমা রাখা হয়েছে ভাটা সংলগ্ন স মিলে। জানতে চাইলে ওই ভাটায় কর্মরত একজন শ্রমিক জানালেন এই ভাটায় কয়লার সাথে প্রতিবার সাতশ’ থেকে আটশ’ মণ কাঠ পোড়াতে হয়। না হলে ভাটা জ্বলবেনা।
ভাটা মালিককে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন জানান, প্রয়োজনে আবারো অভিযান চালানো হবে।#