নওগাঁ ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মান্দার চৌবাড়িয়া হাট ইজারার টাকা পরিশোধ না করেই অতিরিক্ত টোল আদায়<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহমুদুন নবী বেলাল, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ, ২৭ এপ্রিল ২০২১ :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাটের ইজারা মূল্যের পুরো টাকা পরিশোধ না করে ইজারাদার সরকারের বেধে দেওয়া টোলের চেয়ে অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী হাট অনুমোদনের সাত দিনের মধ্যে ইজারার সমুদয় টাকা পরিশোধ করার বিধান থাকলেও রহস্যজনক কারণে ইজারা বাতিল না করে টাকা জমা দেয়ার জন্য সময় প্রদান করায় প্রথম দরদাতার ইজারা বাতিল করার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন দ্বিতীয় দরদাতা ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম।

গত ২১ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বাংলা সনের (১৪২৮) জন্য এক বছর মেয়াদি মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাট ইজারার ক্ষেত্রে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ওই দিন দরপত্র বাক্স খোলার পর সর্বোচ্চ দরদাতা হন রাজশাহীর ঠিকাদার আব্দুস সামাদ। তিনি এক বছরের জন্য হাট অনুমোদন পান। হাটের ইজারা মূল্য ওঠে ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সরকারি নিয়ম অনুসারে ওইদিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ভ্যাটসহ ইজারা মূল্য পরিশোধ করার বিধান থাকলেও রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত ইজারা মূল্য পরিশোধ করা হয়নি। হাটের ইজারা মূল্য অনুমোদন পাওয়ার দুই মাস পার হলেও ওই ইজারাদার সরকারি খাতে ইজারা মূল্য পরিশোধ করেননি। সরকারি হিসেবে গরু ও মহিষের জন্য চারশ টাকা এবং ছাগলের জন্য দেড়শ টাকা খাজনা আদায় করার কথা। কিন্তু স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, হাটে এই নিয়ম মানা হয় না। ইজারাদারের লোকেরা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। তাঁরা ক্রেতার কাছ থেকে গরু ও মহিষ প্রতি ছয়শ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিচ্ছেন। আর ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে চারশ ও বিক্রেতাকে ৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়া করোনায় সরকারী নিদের্শনাও অমান্য করা হচ্ছে এই পশুর হাটে।

নওগাঁ জেলার হাটগুলোর মধ্যে চৌবাড়িয়া হাটে পশু বেচাকেনা হয় বেশি। গত শুক্রবার সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, চৌবাড়িয়া হাটের ইজারাদারের লোকজন গরুর জন্য ক্রেতার কাছ থেকে ছয়শ টাকা ও বিক্রেতার নিকট ৫০ টাকা করে মোট ছয়শ ৫০ টাকা টোল আদায় করছেন। আর ছাগলের জন্য ক্রেতার নিকট থেকে চারশ টাকা নিচ্ছেন। তবে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে টোলের পরিমাণ রসিদে দেওয়া হচ্ছে না।

চৌবাড়িয়া হাটে আসা মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ী গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, ‘২২হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। এর জন্য ছয়শ টাকা খাজনা দিতে হলো।’

গরু বিক্রেতা শাফিউল বলেন, ‘আমাকেও এ জন্য ৫০ টাকা খাজনা দিতে হয়েছে।’

ক্রেতা মমিন হোসেন বলেন, ‘ছয় হাজার টাকা দিয়ে একটি খাসি কিনে তিনশ টাকা টোল দিতে হলো।’
খাসি বিক্রেতা গফুর বলেন, ‘আমার কাছ থেকে খাজনা নিয়েছে ২০ টাকা।

গরু ব্যবসায়ী এমদাদুল বলেন, ‘শুধু পশু ক্রেতার কাছ থেকে খাজনা নেওয়ার নিয়ম। কিন্তু হাটে ইজারাদারের লোকজন বিক্রেতার কাছ থেকেও টাকা আদায় করছেন। প্রশাসনের নজরদারি নেই এ কারণে এখানে সবাই এসে টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, ‘হাটে কেনা-বেচায় অতিরিক্ত টোল আদায় করার কোনো সুযোগ নেই। যদি হাটের ইজারাদার অতিরিক্ত টোল আদায় করে, তবে প্রমাণসহ কেউ অভিযোগ করলে তখন ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর খাজনার তালিকা টাঙানোর জন্য হাটের ইজারাদার কে বলা হয়েছে।’

অভিযোগকারী ঠিকাদার ও নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাটের ইজারা মূল্য পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ওই ইজারাদার হাটে টোল আদায় করতে পারবে না। অথচ ওই ইজারাদার গত তিন সপ্তাহ ধরে দিব্যি টোল আদায় করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে রাজশাহীর ঠিকাদার আব্দুস সামাদ হাট ইজারা পেলেও এখন পর্যন্ত তিনি সাড়ে চার কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানতে পেরেছি। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার সরকারি নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখানে তা মানা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ওই ইজারাদার অবৈধভাবে ব্যবসা করছেন। জেলা প্রশাসকের কাছে করা আবেদনে প্রথম দরদাতা নিয়ম লঙ্ঘন করায় তাঁর ইজারা বাতিল করে পাঁচ কোটি সাড়ে ৭৩ লাখ টাকার দ্বিতীয় দরদাতা হিসেবে আমাকে ওই ইজারা দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি।’

ইজারা মূল্য পরিশোধ না করা প্রসঙ্গে ইজারাদার আব্দস সামাদ জানান, ‘ইজারার মূল্যের অধিকাংশ টাকাই ইতোমধ্যে সরকারি ফান্ডে জমা দিয়েছি। এখন সামান্য যে টাকা বাকি আছে সেটা দ্রুত জমা দেওয়া হবে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ন টাকা জমা দিতে না পারায় প্রশাসনের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছি। এই সময়ের মধ্যে পুরো টাকা জমা দিয়ে দেব। অনেক ঠিকাদারই নির্দিষ্ট সময়ে টাকা পরিশোধ করতে না পারলে সময় আবেদন করে থাকেন। এটা তেমন দোষের কিছু নয়।’

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘মান্দার চৌবাড়িয়া হাট নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি, লকডাউনসহ নানা কারণ দেখিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে ওই ঠিকাদার টাকা জমাদানের জন্য সময় চেয়েছেন। আশা করি, যে সময় আবেদন করেছেন তার মধ্যেই ওই ঠিকাদার জমা দিতে পারবেন। এরপরেও টাকা জমা দিতে না পারলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

মান্দার চৌবাড়িয়া হাট ইজারার টাকা পরিশোধ না করেই অতিরিক্ত টোল আদায়<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহমুদুন নবী বেলাল, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ, ২৭ এপ্রিল ২০২১ :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাটের ইজারা মূল্যের পুরো টাকা পরিশোধ না করে ইজারাদার সরকারের বেধে দেওয়া টোলের চেয়ে অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী হাট অনুমোদনের সাত দিনের মধ্যে ইজারার সমুদয় টাকা পরিশোধ করার বিধান থাকলেও রহস্যজনক কারণে ইজারা বাতিল না করে টাকা জমা দেয়ার জন্য সময় প্রদান করায় প্রথম দরদাতার ইজারা বাতিল করার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন দ্বিতীয় দরদাতা ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম।

গত ২১ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বাংলা সনের (১৪২৮) জন্য এক বছর মেয়াদি মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাট ইজারার ক্ষেত্রে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ওই দিন দরপত্র বাক্স খোলার পর সর্বোচ্চ দরদাতা হন রাজশাহীর ঠিকাদার আব্দুস সামাদ। তিনি এক বছরের জন্য হাট অনুমোদন পান। হাটের ইজারা মূল্য ওঠে ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সরকারি নিয়ম অনুসারে ওইদিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ভ্যাটসহ ইজারা মূল্য পরিশোধ করার বিধান থাকলেও রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত ইজারা মূল্য পরিশোধ করা হয়নি। হাটের ইজারা মূল্য অনুমোদন পাওয়ার দুই মাস পার হলেও ওই ইজারাদার সরকারি খাতে ইজারা মূল্য পরিশোধ করেননি। সরকারি হিসেবে গরু ও মহিষের জন্য চারশ টাকা এবং ছাগলের জন্য দেড়শ টাকা খাজনা আদায় করার কথা। কিন্তু স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, হাটে এই নিয়ম মানা হয় না। ইজারাদারের লোকেরা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। তাঁরা ক্রেতার কাছ থেকে গরু ও মহিষ প্রতি ছয়শ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিচ্ছেন। আর ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে চারশ ও বিক্রেতাকে ৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়া করোনায় সরকারী নিদের্শনাও অমান্য করা হচ্ছে এই পশুর হাটে।

নওগাঁ জেলার হাটগুলোর মধ্যে চৌবাড়িয়া হাটে পশু বেচাকেনা হয় বেশি। গত শুক্রবার সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, চৌবাড়িয়া হাটের ইজারাদারের লোকজন গরুর জন্য ক্রেতার কাছ থেকে ছয়শ টাকা ও বিক্রেতার নিকট ৫০ টাকা করে মোট ছয়শ ৫০ টাকা টোল আদায় করছেন। আর ছাগলের জন্য ক্রেতার নিকট থেকে চারশ টাকা নিচ্ছেন। তবে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে টোলের পরিমাণ রসিদে দেওয়া হচ্ছে না।

চৌবাড়িয়া হাটে আসা মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ী গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, ‘২২হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। এর জন্য ছয়শ টাকা খাজনা দিতে হলো।’

গরু বিক্রেতা শাফিউল বলেন, ‘আমাকেও এ জন্য ৫০ টাকা খাজনা দিতে হয়েছে।’

ক্রেতা মমিন হোসেন বলেন, ‘ছয় হাজার টাকা দিয়ে একটি খাসি কিনে তিনশ টাকা টোল দিতে হলো।’
খাসি বিক্রেতা গফুর বলেন, ‘আমার কাছ থেকে খাজনা নিয়েছে ২০ টাকা।

গরু ব্যবসায়ী এমদাদুল বলেন, ‘শুধু পশু ক্রেতার কাছ থেকে খাজনা নেওয়ার নিয়ম। কিন্তু হাটে ইজারাদারের লোকজন বিক্রেতার কাছ থেকেও টাকা আদায় করছেন। প্রশাসনের নজরদারি নেই এ কারণে এখানে সবাই এসে টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, ‘হাটে কেনা-বেচায় অতিরিক্ত টোল আদায় করার কোনো সুযোগ নেই। যদি হাটের ইজারাদার অতিরিক্ত টোল আদায় করে, তবে প্রমাণসহ কেউ অভিযোগ করলে তখন ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর খাজনার তালিকা টাঙানোর জন্য হাটের ইজারাদার কে বলা হয়েছে।’

অভিযোগকারী ঠিকাদার ও নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাটের ইজারা মূল্য পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ওই ইজারাদার হাটে টোল আদায় করতে পারবে না। অথচ ওই ইজারাদার গত তিন সপ্তাহ ধরে দিব্যি টোল আদায় করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে রাজশাহীর ঠিকাদার আব্দুস সামাদ হাট ইজারা পেলেও এখন পর্যন্ত তিনি সাড়ে চার কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানতে পেরেছি। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার সরকারি নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখানে তা মানা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ওই ইজারাদার অবৈধভাবে ব্যবসা করছেন। জেলা প্রশাসকের কাছে করা আবেদনে প্রথম দরদাতা নিয়ম লঙ্ঘন করায় তাঁর ইজারা বাতিল করে পাঁচ কোটি সাড়ে ৭৩ লাখ টাকার দ্বিতীয় দরদাতা হিসেবে আমাকে ওই ইজারা দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি।’

ইজারা মূল্য পরিশোধ না করা প্রসঙ্গে ইজারাদার আব্দস সামাদ জানান, ‘ইজারার মূল্যের অধিকাংশ টাকাই ইতোমধ্যে সরকারি ফান্ডে জমা দিয়েছি। এখন সামান্য যে টাকা বাকি আছে সেটা দ্রুত জমা দেওয়া হবে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ন টাকা জমা দিতে না পারায় প্রশাসনের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছি। এই সময়ের মধ্যে পুরো টাকা জমা দিয়ে দেব। অনেক ঠিকাদারই নির্দিষ্ট সময়ে টাকা পরিশোধ করতে না পারলে সময় আবেদন করে থাকেন। এটা তেমন দোষের কিছু নয়।’

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘মান্দার চৌবাড়িয়া হাট নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি, লকডাউনসহ নানা কারণ দেখিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে ওই ঠিকাদার টাকা জমাদানের জন্য সময় চেয়েছেন। আশা করি, যে সময় আবেদন করেছেন তার মধ্যেই ওই ঠিকাদার জমা দিতে পারবেন। এরপরেও টাকা জমা দিতে না পারলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’#