নওগাঁ ১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

পুলিশের ব্যবস্থাপনায় দলে দলে ধান কাটার শ্রমিক এখন নওগাঁয়<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৩ এপ্রিল ২০২১ :

উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যত নওগাঁর ১১ উপজেলায় এবার বোরোধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিবছর এই মওসুমে ধানকাটার শ্রমিকের শংকট দেখা দেয় এই এলাকায়। গত বুধবারের কালবৈশাখীর পর চাষীরা শংকায় রয়েছেন ধান কাটা নিয়ে। এবার করোনা মহামারির লকডাউনের ফলে অন্য জেলা থেকে এজেলায় ধানকাটার শ্রমিকেরা আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েন চাষীরা। কিন্তু জেলা পুলিশের তৎপরতায় সে আশংকা এখন আর নেই। অন্য জেলা থেকে ধানকাটার শ্রমিকদের নওগাঁয় আসা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। এজন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।

ইতোমধ্যে রংপুর, পঞ্চগড়, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাটসহ বিভিন œজেলা থেকে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক পুলিশের সহযোগিতায় ট্রাক, মাইক্রোবাস প্রভৃতিযোগে নওগাঁয় এসেছে।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পুলিশের ব্যবস্থাপনায় গাইবান্ধা, নিলফামারি, পঞ্চগড়, রংপুর থেকে নয়শ ৬০ জন কৃষি শ্রমিক নওগাঁয় আসেন। বাইরের জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কের সান্তাহার রোড মোড়ে কৃষিশ্রমিক সহায়তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ।

কৃষিশ্রমিক সহায়তা নিয়ন্ত্রণ চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই হাফিজ বলেন, ‘বাইরে থেকে আসা এই কৃষিশ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে থার্মাল মেশিনের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য তাঁদের মধ্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় এই শ্রমিকদের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হয়।’

শ্রমিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা ১৮ জন শ্রমিক পঞ্চগড় থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে নওগাঁয় আসি। নওগাঁ পুলিশ সুপার এর সহযোগীতায় আমরা নিরাপদে পৌছাতে পারছি।’

নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো: আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, ‘দেশের অন্যতম বোরো উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁ। প্রতিবছর আমন ও বোরো মৌসুমে জেলার অভ্যন্তরীণ কৃষিশ্রমিক ছাড়াও বাইরের জেলার আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার শ্রমিক প্রয়োজন হয় এ জেলায়। যেসব জেলায় ধান উৎপাদন কম হয়, ওই সব জেলার কৃষিশ্রমিকেরা এ জেলায় ধান কাটতে আসেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এ জেলায় বাইরের জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আনা হয়েছিল। এবারও বিভিন্ন জেলা পুলিশের উদ্যোগে নওগাঁ জেলায় ধান কাটার শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে পঞ্চগড়, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার কৃষিশ্রমিক এ জেলায় আসবেন।’

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটার জন্য চার লাখ ২৫ হাজার ৪০ জন কৃষিশ্রমিকের প্রয়োজন। এর মধ্যে স্থানীয় শ্রমিক আছেন তিন লাখ ৪৬ হাজার একশ ৮৫ জন। অর্থাৎ আরও ৭৮ হাজার আটশ ৫৫ জন শ্রমিক অন্য জেলা থেকে নিয়ে আসতে হবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

পুলিশের ব্যবস্থাপনায় দলে দলে ধান কাটার শ্রমিক এখন নওগাঁয়<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৭:১০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৩ এপ্রিল ২০২১ :

উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যত নওগাঁর ১১ উপজেলায় এবার বোরোধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিবছর এই মওসুমে ধানকাটার শ্রমিকের শংকট দেখা দেয় এই এলাকায়। গত বুধবারের কালবৈশাখীর পর চাষীরা শংকায় রয়েছেন ধান কাটা নিয়ে। এবার করোনা মহামারির লকডাউনের ফলে অন্য জেলা থেকে এজেলায় ধানকাটার শ্রমিকেরা আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েন চাষীরা। কিন্তু জেলা পুলিশের তৎপরতায় সে আশংকা এখন আর নেই। অন্য জেলা থেকে ধানকাটার শ্রমিকদের নওগাঁয় আসা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। এজন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।

ইতোমধ্যে রংপুর, পঞ্চগড়, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাটসহ বিভিন œজেলা থেকে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক পুলিশের সহযোগিতায় ট্রাক, মাইক্রোবাস প্রভৃতিযোগে নওগাঁয় এসেছে।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পুলিশের ব্যবস্থাপনায় গাইবান্ধা, নিলফামারি, পঞ্চগড়, রংপুর থেকে নয়শ ৬০ জন কৃষি শ্রমিক নওগাঁয় আসেন। বাইরের জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কের সান্তাহার রোড মোড়ে কৃষিশ্রমিক সহায়তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ।

কৃষিশ্রমিক সহায়তা নিয়ন্ত্রণ চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই হাফিজ বলেন, ‘বাইরে থেকে আসা এই কৃষিশ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে থার্মাল মেশিনের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য তাঁদের মধ্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় এই শ্রমিকদের ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হয়।’

শ্রমিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা ১৮ জন শ্রমিক পঞ্চগড় থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে নওগাঁয় আসি। নওগাঁ পুলিশ সুপার এর সহযোগীতায় আমরা নিরাপদে পৌছাতে পারছি।’

নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো: আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, ‘দেশের অন্যতম বোরো উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁ। প্রতিবছর আমন ও বোরো মৌসুমে জেলার অভ্যন্তরীণ কৃষিশ্রমিক ছাড়াও বাইরের জেলার আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার শ্রমিক প্রয়োজন হয় এ জেলায়। যেসব জেলায় ধান উৎপাদন কম হয়, ওই সব জেলার কৃষিশ্রমিকেরা এ জেলায় ধান কাটতে আসেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এ জেলায় বাইরের জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আনা হয়েছিল। এবারও বিভিন্ন জেলা পুলিশের উদ্যোগে নওগাঁ জেলায় ধান কাটার শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে পঞ্চগড়, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার কৃষিশ্রমিক এ জেলায় আসবেন।’

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটার জন্য চার লাখ ২৫ হাজার ৪০ জন কৃষিশ্রমিকের প্রয়োজন। এর মধ্যে স্থানীয় শ্রমিক আছেন তিন লাখ ৪৬ হাজার একশ ৮৫ জন। অর্থাৎ আরও ৭৮ হাজার আটশ ৫৫ জন শ্রমিক অন্য জেলা থেকে নিয়ে আসতে হবে।’#