মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৩ এপ্রিল ২০২১ :
নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় এবার মোট এক লক্ষ দুই হাজার চারশ ২৮ জন কৃষকের মধ্যে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে সরকারী প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। প্রনোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ অনুযায়ী ফসলভিত্তিক পরিমাণ অনুযায়ী স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, মোট আটটি খাতে ২১টি ফসলের অনুকূলে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। খাতগুলো হচ্ছে মাসকলাই চাষে ছয়শ জন কৃষক, শাকসব্জি চাষে দুই হাজার দুইশ জন কৃষক, কৃষি পূণর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় আটটি ফসলের আওতায় ৩২ হাজার পাঁচশ জন কৃষক, কৃষি প্রণোদনা খাতে ছয়টি ফসলের আওতায় ২০ হাজার চারশ জন কৃষক, স্পেশাল পেঁয়াজ প্রণোদনা খাতে ছয়শ জন কৃষক, বোরো হাইব্রীড বীজ সহায়তা খাতে ৪৫ হাজার জন কৃষক, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ব্রি কর্ত্তৃপক্ষ প্রদত্ত বীজ সহায়তা খাতে সাতশ ৯৫ জন কৃষক এবং আমন ধানের কমিউনিটি বীজতলা তৈরী খাতে তিনশ ৩৩ জন কৃষক। প্রণোদনাপ্রাপ্ত সকলেই প্রান্তিক চাষী। প্রত্যেককে এক বিঘা জমির অনুকূলে এই প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
সূত্রমতে মাসকলাই চাষে ছয়শ জন কৃষককে জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়। শাকসব্জি চাষের ক্ষেত্রে দুই হাজার দুইশ জন কৃষকের প্রত্যেককে এক প্যাকেট করে সমন্বিত বীজ প্রদান করা হয়।
কৃষি পূণর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় মোট ৩২ হাজার পাঁচশ চাষীর প্রত্যেক সরিষা চাষীর প্রত্যেককে এক কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, গম চাষীর প্রত্যেককে ২০ কেজি করে বীজ, সূর্যমূখী চাষীর প্রত্যেককে এক কেজি করে বীজ, চিনাবাদাম চাষীর প্রত্যেককে ১০ কেজি করে বীজ, মসুর ডাল চাষীর প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার, খেসারী চাষীর প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার, টমেটো চাষীর প্রত্যেককে ৫০ গ্রাম করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার এবং মরিচ চাষীর প্রত্যেককে তিনশ গ্রাম করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ২০ হাজার চারশ জন কৃষকের মধ্যে বোরো চাষীর প্রত্যেককে এক কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, গম চাষীর প্রত্যেককে ২০ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, ভুট্টা চাষীর প্রত্যেককে দুই কেজি করে বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, সরিষা চাষীর প্রত্যেককে এক কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, সূর্যমুখী চাষীর প্রত্যেককে এক কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, চীনাবাদাম চাষীর প্রত্যেককে ১০ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার, মুগডাল চাষীর প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার এবং পেঁয়াজ চাষীর প্রত্যেককে দুইশ ৫০ গ্রাম করে বীজ, পাঁচ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার, ছয়শ জন স্পেশাল পেঁয়াজ চাষীর প্রত্যেককে সাতশ ৫০ গ্রাম করে বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হয়।
বোরো হাইব্রীড বীজ সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জেলার ৪৫ হাজার কৃষকের প্রত্যেককে শুধু দ্ইু কেজি করে বীজ প্রদান করা হয়।
মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে ব্রি কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ৭৯৫ জন কৃষকের প্রত্যেককে চার কেজি করে বীজ সহায়তা দেয়া হয়।
এ ছাড়াও আমন ফসলের জন্য কমিউনিটি বীজতলা তৈরী কর্মসূচীর আওতায় তিনশ ৩৩ জন কৃষকের প্রত্যেককে এক বিঘা জমিতে ধান রোপণের প্রয়োজনীয় বীজতলা তৈরী কের দেয়া হয়।#