মহাদেবপুর দর্পণ, এম, এ, মালেক, স্টাফ রিপোর্টার, ধামইরহাট (নওগাঁ), ১৯ এপ্রিল ২০২১ :
এক বছরের অধিক সময় কেজি স্কুল গুলো বন্ধ থাকায় দূর্ভোগে পড়েছে শিক্ষক কর্মচারীরা। কেউ পেশা বদলেছেন, অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
উপজেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুল শিক্ষক সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন জানান, সরকারি ঘোষণা মোতাবেক ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সমস্ত স্কুল বন্ধ। সরকারী বিধি মোতাবেক নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন, সেশন ফি, ভর্তি ফি, ইত্যাদি থেকে অর্জিত নামমাত্র বেতনে শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা শিক্ষকতা করে থাকেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি কোচিং, প্রাইভেট পড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে বেতন পুষিয়ে নিতেন তারা। কিন্তু অভিশপ্ত করোনাভাইরাস এর কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হওয়া সারাদেশের ন্যয় ধামইরহাট উপজেলার ২৫ টি কেজি স্কুলের ২২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বড় সংকটে দিন কাটছে।
পেশা বদলিয়ে কেউ কৃষি কাজে আত্মনিয়োাগ করেছেন। কেউ স্থানীয় ক্লিনিকে স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে পার্ট টাইম কাজ করছেন। আবার কেউ পিতা-মাতার সংসারের বোঝা হয়ে রাতদিন গালমন্দ হজম করছেন। বিদ্যালয়ের পরিচালকরা ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
ধামইরহাট কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল বারিক বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুল শিক্ষকদের দিন যাচ্ছে অত্যন্ত অর্থকষ্টে।
নওগাঁ জেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমিতির সভাপতি আল মুবিন রানা বলেন, নওগাঁ জেলায় তিন শতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক কর্মচারীরা অত্যন্ত দুঃখ কষ্টে দিনযাপন করছেন। অর্থ কষ্ট দূর করতেই কেউবা গার্মেন্টসে চাকরি করছেন, কেউবা কৃষি কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। সরকারি প্রণোদনা পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকারি সামন্য প্রণোদনা দেয়ার চেয়ে আমাদের বিদ্যালয় খুলে দিলেই বেশি উপকার।”
উপজেলা নির্বাহি অফিসার গণপতি রায় অর্থকষ্টে থাকা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আন্তরিক সাদিচ্ছা থাকলেও সরকারি কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের জন্য কোন কিছু করা সম্ভব হয়নি। সরকারি অনুদান আসলেই দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।#