নওগাঁ ০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

কর্মসৃজন : ২শ’ টাকা মজুরিতে চলে না, দাবি ৪শ’<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১০ এপ্রিল ২০২১ :

হতদরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের (ইজিপিপি) মাধ্যমে নওগাঁয় ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে কাজ করে প্রত্যেক শ্রমিক দৈনিক হাজিরা বাবদ ২০০ টাকা করে মজুরি পাবেন।বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েক বছর থেকে এ অবস্থা। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি রয়েছে আগের মতো। আবার প্রতি সপ্তাহে মজুরি পরিশোধের নিয়ম থাকলেও তা সময়মতো পরিশোধ করা হয় না।

গত বছর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরির হার পুনর্নির্ধারণ করা হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সময়মতো মজুরি পরিশোধসহ পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কর্মসৃজন কর্মসূচি হতদরিদ্র শ্রমিকরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ কর্মসূচির আওতায় জেলায় ১৪ হাজার ৫৩৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এর মধ্যে, সদর উপজেলায় ১ হাজার ৭৪৫ জন, রানীনগর উপজেলায় ৯৭৩ জন, আত্রাই উপজেলায় ১ হাজার ২৮ জন, মান্দা উপজেলায় ২ হাজার ১০৬ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ হাজার ২৭৮ জন, পোরশা উপজেলায় ৭৬০ জন, সাপাহার উপজেলায় ৯১৮ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৭৯৯ জন, বদলগাছী উপজেলায় ১ হাজার ১৮৯জন, পত্নীতলা উপজেলায় ১ হাজার ৫৪০ জন এবং ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ১৯৭ জন।

গত বছরের ১২ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দফতর সমূহের কর্মরত দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরির হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।’যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নিয়মিত দক্ষ শ্রমিক ৬০০ টাকা ও অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিক ৫৮৫ টাকা, বিভাগীয় শহর এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একই মজুরি ধরা হয়েছে।এছাড়া জেলা ও উপজেলা এলাকায় নিয়মিত দক্ষ শ্রমিক ৫৫০টাকা ও অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিক ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) কর্মহীন মৌসুমে সরকার এলাকার অতিদরিদ্র এবং মৌসুমী বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কর্মক্ষম দুস্থ পরিবারগুলোর সুরক্ষায় এই প্রকল্প চালু করেছে।প্রতি পরিবার থেকে একজন করে কাজ করার সুযোগ পাবে। যেখানে কর্মহীন মৌসুমে বছরে দুইটি পর্যায়ে ৪০ দিন করে কাজ হয়। এ প্রকল্পে কাজ করে প্রত্যেক শ্রমিক দৈনিক হাজিরা বাবদ মজুরি পাবেন ২০০টাকা।মজুরি থেকে ৫০ টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখা হয়। শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা হবে এবং প্রতি বৃহস্পতিবার মজুরি উত্তোলন হবে। পুরুষ এবং মহিলা সমান মজুরির অধিকারী। দৈনিক হাজিরা বাবদ ২০০ টাকা করে ৪০ দিনে প্রকল্পকালীন ৮ হাজার টাকা পারিশ্রমিকের বিধান রয়েছে।

প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের নিয়ম থাকলেও তা সময়মতো পরিশোধ করা হয় না। পারিশ্রমিক পেতে কখনো ২-৩ সপ্তাহ সময় লেগে যায়। শ্রমিকরা এমনিতেই হতদরিদ্র তার ওপর পারিশ্রমিক সময়মতো না পাওয়ায় তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামের দিনমজুর পারুল বেগম বলেন, পরিবারের চার সদস্য। স্বামীও দিনমজুর। দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থা। কর্মসৃজন কাজ করে দিনে ২০০ টাকা করে দেয়। সেখান থেকে ৫০ টাকা সঞ্চয় বাবদ কেটে রাখা হয়। বাজারে চাল, তেল ও সবজিসহ সবকিছুর দাম বেশি। আবার টাকাও দেয়া হয় ২ সপ্তাহ পর। এভাবে টাকা দেয়া হলে আমরা গরীব মানুষ চলবো কিভাবে।

একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জন। দিনমজুর ও রাজমিস্ত্রীর জোগাড় দেয়ার কাজ করেন। জোগাড়িতে সকার ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করলে মজুরি হিসেবে ৩৫০ টাকা পায়।সেখানে গত কয়েক বছর থেকে কর্মসৃজন কাজ করে ২০০ টাকা দেয়া হয়। দ্রব্যমূল্য যখন কম ছিল তখন মজুরি ২০০ টাকা হলেও সমস্যা ছিল না। গত তিন বছর থেকে দ্রব্যমূল্য বেশি। কিন্তু কর্মসৃজন কর্মসূচির মজুরি বাড়েনি। মজুরি বাড়ানো দাবি জানান তিনি।

তার মতো কর্মসৃজনের শ্রমিক দোগাছি গ্রামের সাইদ শেখ, আবুল সাইদ, এনায়েতপুর গ্রামের জমসেদ, একডালা গ্রামের খলিলুর রহমান, মোহনপুর গ্রামের বকুল হোসেন ও কুমুরিয়া গ্রামের এছ্হাক আলী বলেন, কর্মহীন সময়ে সরকার আমাদের সুবিধার জন্য কর্মের ব্যবস্থা করেছেন। সবকিছু বিবেচনা করে সরকার যেন আমাদের মজুরি অন্তত ৪০০ টাকা করে দেন।

বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর ইসলাম স্বপন বলেন, কর্মসূচি প্রকল্পে যেসব শ্রমিকরা কাজ করছেন বর্তমান বাজার হিসেবে তাদের মজুরি খুবই কম। যদি তাদের মজুরি পরিমাণটা বাড়ানো হতো তাহলে হতদরিদ্ররা অনেকটাই উপকৃত হতো।প্রতি সপ্তাহে মজুরি দেয়ার নিয়ম থাকলেও মজুরি দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়। অনেক সময় মাস্টার রোলে স্বাক্ষর পেতে দেরী হয়। তবে পরের সপ্তাহে পরিশোধ করা হয়। এছাড়া ২০০ টাকা মজুরির মধ্যে ৫০ টাকা সঞ্চয় বাবদ কেটে রাখা হয়। পরে বছর শেষে জমাকৃত সঞ্চয় শ্রমিকদের পরিশোধ করা হয়।

নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। শ্রমিকদের যে পরিমাণ মজুরি দেয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। অনতিবিলম্বে মজুরির বরাদ্দ বাড়ানো হলে শ্রমিকদের জন্য সুবিধা হবে।

নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান বলেন, কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের (ইজিপিপি) একটা বিদেশি ফান্ড। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ৪০০ টাকা করে বরাদ্দ শুরু হয়েছে। এ অর্থবছর পার হলে এখানেও ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে।#

আপলোডকারীর তথ্য

কর্মসৃজন : ২শ’ টাকা মজুরিতে চলে না, দাবি ৪শ’<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১০ এপ্রিল ২০২১ :

হতদরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের (ইজিপিপি) মাধ্যমে নওগাঁয় ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে কাজ করে প্রত্যেক শ্রমিক দৈনিক হাজিরা বাবদ ২০০ টাকা করে মজুরি পাবেন।বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েক বছর থেকে এ অবস্থা। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি রয়েছে আগের মতো। আবার প্রতি সপ্তাহে মজুরি পরিশোধের নিয়ম থাকলেও তা সময়মতো পরিশোধ করা হয় না।

গত বছর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরির হার পুনর্নির্ধারণ করা হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সময়মতো মজুরি পরিশোধসহ পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কর্মসৃজন কর্মসূচি হতদরিদ্র শ্রমিকরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ কর্মসূচির আওতায় জেলায় ১৪ হাজার ৫৩৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এর মধ্যে, সদর উপজেলায় ১ হাজার ৭৪৫ জন, রানীনগর উপজেলায় ৯৭৩ জন, আত্রাই উপজেলায় ১ হাজার ২৮ জন, মান্দা উপজেলায় ২ হাজার ১০৬ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ হাজার ২৭৮ জন, পোরশা উপজেলায় ৭৬০ জন, সাপাহার উপজেলায় ৯১৮ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৭৯৯ জন, বদলগাছী উপজেলায় ১ হাজার ১৮৯জন, পত্নীতলা উপজেলায় ১ হাজার ৫৪০ জন এবং ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ১৯৭ জন।

গত বছরের ১২ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দফতর সমূহের কর্মরত দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরির হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।’যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নিয়মিত দক্ষ শ্রমিক ৬০০ টাকা ও অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিক ৫৮৫ টাকা, বিভাগীয় শহর এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একই মজুরি ধরা হয়েছে।এছাড়া জেলা ও উপজেলা এলাকায় নিয়মিত দক্ষ শ্রমিক ৫৫০টাকা ও অনিয়মিত অদক্ষ শ্রমিক ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) কর্মহীন মৌসুমে সরকার এলাকার অতিদরিদ্র এবং মৌসুমী বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কর্মক্ষম দুস্থ পরিবারগুলোর সুরক্ষায় এই প্রকল্প চালু করেছে।প্রতি পরিবার থেকে একজন করে কাজ করার সুযোগ পাবে। যেখানে কর্মহীন মৌসুমে বছরে দুইটি পর্যায়ে ৪০ দিন করে কাজ হয়। এ প্রকল্পে কাজ করে প্রত্যেক শ্রমিক দৈনিক হাজিরা বাবদ মজুরি পাবেন ২০০টাকা।মজুরি থেকে ৫০ টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখা হয়। শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা হবে এবং প্রতি বৃহস্পতিবার মজুরি উত্তোলন হবে। পুরুষ এবং মহিলা সমান মজুরির অধিকারী। দৈনিক হাজিরা বাবদ ২০০ টাকা করে ৪০ দিনে প্রকল্পকালীন ৮ হাজার টাকা পারিশ্রমিকের বিধান রয়েছে।

প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের নিয়ম থাকলেও তা সময়মতো পরিশোধ করা হয় না। পারিশ্রমিক পেতে কখনো ২-৩ সপ্তাহ সময় লেগে যায়। শ্রমিকরা এমনিতেই হতদরিদ্র তার ওপর পারিশ্রমিক সময়মতো না পাওয়ায় তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামের দিনমজুর পারুল বেগম বলেন, পরিবারের চার সদস্য। স্বামীও দিনমজুর। দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থা। কর্মসৃজন কাজ করে দিনে ২০০ টাকা করে দেয়। সেখান থেকে ৫০ টাকা সঞ্চয় বাবদ কেটে রাখা হয়। বাজারে চাল, তেল ও সবজিসহ সবকিছুর দাম বেশি। আবার টাকাও দেয়া হয় ২ সপ্তাহ পর। এভাবে টাকা দেয়া হলে আমরা গরীব মানুষ চলবো কিভাবে।

একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জন। দিনমজুর ও রাজমিস্ত্রীর জোগাড় দেয়ার কাজ করেন। জোগাড়িতে সকার ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করলে মজুরি হিসেবে ৩৫০ টাকা পায়।সেখানে গত কয়েক বছর থেকে কর্মসৃজন কাজ করে ২০০ টাকা দেয়া হয়। দ্রব্যমূল্য যখন কম ছিল তখন মজুরি ২০০ টাকা হলেও সমস্যা ছিল না। গত তিন বছর থেকে দ্রব্যমূল্য বেশি। কিন্তু কর্মসৃজন কর্মসূচির মজুরি বাড়েনি। মজুরি বাড়ানো দাবি জানান তিনি।

তার মতো কর্মসৃজনের শ্রমিক দোগাছি গ্রামের সাইদ শেখ, আবুল সাইদ, এনায়েতপুর গ্রামের জমসেদ, একডালা গ্রামের খলিলুর রহমান, মোহনপুর গ্রামের বকুল হোসেন ও কুমুরিয়া গ্রামের এছ্হাক আলী বলেন, কর্মহীন সময়ে সরকার আমাদের সুবিধার জন্য কর্মের ব্যবস্থা করেছেন। সবকিছু বিবেচনা করে সরকার যেন আমাদের মজুরি অন্তত ৪০০ টাকা করে দেন।

বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর ইসলাম স্বপন বলেন, কর্মসূচি প্রকল্পে যেসব শ্রমিকরা কাজ করছেন বর্তমান বাজার হিসেবে তাদের মজুরি খুবই কম। যদি তাদের মজুরি পরিমাণটা বাড়ানো হতো তাহলে হতদরিদ্ররা অনেকটাই উপকৃত হতো।প্রতি সপ্তাহে মজুরি দেয়ার নিয়ম থাকলেও মজুরি দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়। অনেক সময় মাস্টার রোলে স্বাক্ষর পেতে দেরী হয়। তবে পরের সপ্তাহে পরিশোধ করা হয়। এছাড়া ২০০ টাকা মজুরির মধ্যে ৫০ টাকা সঞ্চয় বাবদ কেটে রাখা হয়। পরে বছর শেষে জমাকৃত সঞ্চয় শ্রমিকদের পরিশোধ করা হয়।

নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। শ্রমিকদের যে পরিমাণ মজুরি দেয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। অনতিবিলম্বে মজুরির বরাদ্দ বাড়ানো হলে শ্রমিকদের জন্য সুবিধা হবে।

নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান বলেন, কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের (ইজিপিপি) একটা বিদেশি ফান্ড। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ৪০০ টাকা করে বরাদ্দ শুরু হয়েছে। এ অর্থবছর পার হলে এখানেও ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে।#