
মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ৫ মার্চ ২০২১ :
নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিছুদিন আগেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছিলো রং-বর্ণহীন অবস্থায়। বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সেজেছে স্ব-বর্ণে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের চারিদিকে নানা রঙের ফুল, ফল, বনজ ও ঔষধী গাছের সমারোহ দেখে যেন চোখ জুিড়য়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারিপার্শ্বে হলুদ, লালসহ নানা বর্ণের ফুলের সুবাসে বাতাস যেন এক অপরূপ লীলাভূমির নিদর্শন বহন করছে। শুধু কি তাই! স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরের অবস্থাও নজরে আসার আসার মতো! এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে সেবার মান। সম্প্রতিক কালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারীর সংখ্যা আসলেই নজর কাড়ার মতো! এত সবের পিছনে যে ব্যক্তিটির অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা জড়িয়ে আছে তিনি আর অন্য কেউ নন, তিনি হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রুহুল আমিন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি মহাদেবপুর দর্পণকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ৩৩ জন, চলতি বছরের জানুয়ারীতে ৪০জন, ফেব্রুয়ারী মাসে ৪১জন প্রসূতি মায়ের নরমালে বাচ্চা ডেলিভারী হয়েছে। গত তিন মাসে মোট ডেলিভারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৫ জনের। যা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য বিরল একটি দৃষ্টান্ত।
ডেলিভারী রুম ও ডেলিভারী রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে ডা: রুহুল আমিন বলেন, এর পূর্বে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারীর জন্য একটি মাত্র রুম ছিলো যা এই হাসপাতালের জন্য যথেষ্ট নয়। পরবর্তী সময়ে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবহৃত একটি রুমকে ডেলিভারীর কাজে লাগানোর লক্ষ্যে ব্যাবহার উপযোগী করে তোলা হয়। যেখানে নির্ধারিত ছয় জন নার্সকে নির্দিষ্ট শিডিউলের মাধ্যমে ডিউটি দেয়া হয়।
এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানাবিধ উন্নয়নের অংশ হিসেবে নরমাল ডেলিভারী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করছে। এতে করে একদিকে গরীব রোগীরা যেমন পাচ্ছেন উন্নত স্বাস্থ্য সেবা অপরদিকে বেঁচে যাচ্ছেন ক্লিনিকের দালালদের নানাবিধ খপ্পর থেকে। ডা: রুহুল আমিনের এ ধরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।#