নওগাঁ ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁ পার্কের দেড় কোটি টাকার সংস্কার কাজে অনিয়ম<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :

নওগাঁ শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তির মোড় এলাকায় জেলা পরিষদ পার্কের প্রায় দেড় কোটি টাকার সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে কাজ বন্ধ থাকায় এটি ব্যবহার করতে পারছেন না কেউ।

নওগাঁ জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন অব্যবস্থাপনা ও বিবর্ণ দশায় পড়ে থাকা জেলা পরিষদ পার্কটি নতুন রূপে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের শুরুর দিকে।

পরিকল্পনা করা হয় মূল ফটক নতুনভাবে তৈরি, পার্কের ভেতর পায়ে হাঁটার রাস্তা সংস্কার, পাঠাগার ও ব্যায়ামাগার সংস্কার, দর্শনার্থীদের বসার জন্য কংক্রিটের পাঁচটি ছাতা তৈরি ও সীমানাপ্রাচীরের সংস্কারকাজ। এজন্য বরাদ্দ করা হয় এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গতবছর ১০ ফেব্রুয়ারী ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দরপত্রের কার্যাদেশ দেয়া হয় মেসার্স ফাহাদ এন্টারপ্রাইজকে। সে অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ওই বছরের ১০ আগস্ট। প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস আগে শেষ হলেও কাজের তেমন অগ্রগতি নেই।

পার্কটিতে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর ও দক্ষিণ পাশের ফটকে তালা ঝুলছে। নির্মাণকাজে নিয়োজিত কোনো শ্রমিককে পার্ক এলাকায় দেখা যায়নি। উত্তর পাশে ফটকের সামনের রাস্তায় নির্মাণকাজের জন্য বালু স্তূপ করে রাখা। ফটক পুনর্নিমাণের কথা থাকলেও কাজ শুরুই হয়নি। ভেতরে পায়ে হাঁটার জন্য রাস্তাগুলোর সংস্কারকাজ ৫০ শতাংশ বাকি। ব্যায়ামাগার ও পাঠাগারে রং ও টাইলস বসানোর কাজও শেষ হয়নি। শুরু হয়নি সীমানাপ্রাচীরের সংস্কারকাজ।

পার্ক এলাকায় কথা হয় শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা ময়নুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, শহরের বাইরে শহরতলি এলাকায় কয়েকটি পার্ক থাকলেও শহরের ভেতরে একমাত্র পার্ক এটি। তাঁর মতো আরও অনেক ডায়াবেটিক রোগী পার্কটিতে প্রাত:ভ্রমণে বের হতেন। কিন্তু সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে পার্কটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ সাবিনা খাতুন বলেন, তাঁর দুই ছেলে জেলা পরিষদ পার্কে প্রতিদিন বিকেলে দোলনাসহ বিভিন্ন রাইডে খেলাধুলা করত। কিন্তু গত এক বছর বাচ্চারা আর পার্কে ঢুকতেই পারে না। শহরের অন্য কোথাও খেলাধুলার ভালো পরিবেশও নেই।

পার্কের সংস্কার প্রকল্পের কাজের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তানজিমুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর দেননি।

নওগাঁ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ ত ম আবদুল্লাহেল বাকী বলেন, করোনাসহ বেশ কিছু সমস্যার কারণে জেলা পরিষদ পার্ক সংস্কারকাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যায়নি। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরুর পর করোনার কারণে দুই মাস কাজ বন্ধ ছিল। এ ছাড়া সংস্কারকাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় পার্কের ভেতরে হাঁটার রাস্তা ও পাঠাগার সংস্কারকাজে প্রথমে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী তুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এগুলো তুলে আবারও সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। এসব করতে গিয়ে কাজ শেষ হতেও দেরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, পার্কের ভেতরে হাঁটার রাস্তার কাজ এক মাসের মধ্যেই শেষ হতে পারে। এরপর পার্কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ পার্কের দেড় কোটি টাকার সংস্কার কাজে অনিয়ম<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৫:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :

নওগাঁ শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তির মোড় এলাকায় জেলা পরিষদ পার্কের প্রায় দেড় কোটি টাকার সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে কাজ বন্ধ থাকায় এটি ব্যবহার করতে পারছেন না কেউ।

নওগাঁ জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন অব্যবস্থাপনা ও বিবর্ণ দশায় পড়ে থাকা জেলা পরিষদ পার্কটি নতুন রূপে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের শুরুর দিকে।

পরিকল্পনা করা হয় মূল ফটক নতুনভাবে তৈরি, পার্কের ভেতর পায়ে হাঁটার রাস্তা সংস্কার, পাঠাগার ও ব্যায়ামাগার সংস্কার, দর্শনার্থীদের বসার জন্য কংক্রিটের পাঁচটি ছাতা তৈরি ও সীমানাপ্রাচীরের সংস্কারকাজ। এজন্য বরাদ্দ করা হয় এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গতবছর ১০ ফেব্রুয়ারী ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দরপত্রের কার্যাদেশ দেয়া হয় মেসার্স ফাহাদ এন্টারপ্রাইজকে। সে অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ওই বছরের ১০ আগস্ট। প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস আগে শেষ হলেও কাজের তেমন অগ্রগতি নেই।

পার্কটিতে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর ও দক্ষিণ পাশের ফটকে তালা ঝুলছে। নির্মাণকাজে নিয়োজিত কোনো শ্রমিককে পার্ক এলাকায় দেখা যায়নি। উত্তর পাশে ফটকের সামনের রাস্তায় নির্মাণকাজের জন্য বালু স্তূপ করে রাখা। ফটক পুনর্নিমাণের কথা থাকলেও কাজ শুরুই হয়নি। ভেতরে পায়ে হাঁটার জন্য রাস্তাগুলোর সংস্কারকাজ ৫০ শতাংশ বাকি। ব্যায়ামাগার ও পাঠাগারে রং ও টাইলস বসানোর কাজও শেষ হয়নি। শুরু হয়নি সীমানাপ্রাচীরের সংস্কারকাজ।

পার্ক এলাকায় কথা হয় শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা ময়নুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, শহরের বাইরে শহরতলি এলাকায় কয়েকটি পার্ক থাকলেও শহরের ভেতরে একমাত্র পার্ক এটি। তাঁর মতো আরও অনেক ডায়াবেটিক রোগী পার্কটিতে প্রাত:ভ্রমণে বের হতেন। কিন্তু সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে পার্কটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ সাবিনা খাতুন বলেন, তাঁর দুই ছেলে জেলা পরিষদ পার্কে প্রতিদিন বিকেলে দোলনাসহ বিভিন্ন রাইডে খেলাধুলা করত। কিন্তু গত এক বছর বাচ্চারা আর পার্কে ঢুকতেই পারে না। শহরের অন্য কোথাও খেলাধুলার ভালো পরিবেশও নেই।

পার্কের সংস্কার প্রকল্পের কাজের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তানজিমুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর দেননি।

নওগাঁ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ ত ম আবদুল্লাহেল বাকী বলেন, করোনাসহ বেশ কিছু সমস্যার কারণে জেলা পরিষদ পার্ক সংস্কারকাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যায়নি। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরুর পর করোনার কারণে দুই মাস কাজ বন্ধ ছিল। এ ছাড়া সংস্কারকাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় পার্কের ভেতরে হাঁটার রাস্তা ও পাঠাগার সংস্কারকাজে প্রথমে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী তুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এগুলো তুলে আবারও সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। এসব করতে গিয়ে কাজ শেষ হতেও দেরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, পার্কের ভেতরে হাঁটার রাস্তার কাজ এক মাসের মধ্যেই শেষ হতে পারে। এরপর পার্কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।#