নওগাঁ ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

পোরশায় আমবাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ :

বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁর পোরশায় আম গাছ গুলোতে উঁকি মারতে শুরু করেছে সোনালী রঙ এর আমের মুকুল। এখন চলছে মাঘ মাস। ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় আসতে আসতে সোনালী মুকুলে ছেয়ে যাবে উপজেলার সমস্ত আম বাগান এমটাই মনে করছেন আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা। তাই বুক ভরা আশা নিয়ে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষীরা।

প্রতিবছর গাছে মুকুল আসার আগ মহুর্তে আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন এলাকার আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তারই ধারাবাহিতকায় এবারও গাছে মুকুল দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পোকা মাকড় দমনে বিভিন্ন রকমের কীটনাশক ব্যবহার করছেন তারা। আগাছা পরিস্কার করে সাথে সাথে আমবাগান গুলোতে সেচ দিচ্ছেন। এতে করে পোকা মাকড় দমনের পাশাপাশি স্বাস্থকর হবে আম্রমুকুল। ফলনও ভালো হবে।

উপজেলার নিতপুর বিষ্ণপুর পুলিশপাড়া গ্রামের আম চাষী ও ব্যবসায়ী মুনিরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর আমরা এই সময়ে আমের ফলন ভালো হওয়ার আশায় আম গাছে কীটনাশক স্প্রে করে গাছের যত্ন নিয়ে থাকি। ঠিক তেমনিভাবে এবারও মৌসুমের শুরু থেকে আম গাছে সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর ভালো ফলনের আশা করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর দেশে উৎপাদিত মোট আমের সিংহভাগ আম নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলের।

গত দেড় যুগ ধরে নওগাঁর এ বরেন্দ্র অঞ্চলে ফজলী, ল্যাংড়া, আম্রপালী, খিরসাপাত, হিমসাগর, মোহনভোগ, বোম্বাই খিরসা, লক্ষণা, কালি ভোগ, গোপাল ভোগ আশ্বিনা, ক্ষুদি খিরসা, বারী-৩, বারী-৪, হাড়িভাঙা সহ আরোও বেশ কিছু জাতের আমের চাষ করছেন এখানকার চাষীরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহফুজ আলম জানান, নওগাঁয় আম চাষ হচ্ছে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পোরশা এবং সাপাহার উপজেলায় আমের চাষ হচ্ছে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়াও প্রতি বছর ১ হাজার হেক্টর জমিতে নতুন করে আমবাগান তৈরি হচ্ছে। কৃষকদের পাশে থেকে সর্বাত্মক পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।#

আপলোডকারীর তথ্য

পোরশায় আমবাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৩১ জানুয়ারী ২০২১ :

বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁর পোরশায় আম গাছ গুলোতে উঁকি মারতে শুরু করেছে সোনালী রঙ এর আমের মুকুল। এখন চলছে মাঘ মাস। ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় আসতে আসতে সোনালী মুকুলে ছেয়ে যাবে উপজেলার সমস্ত আম বাগান এমটাই মনে করছেন আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা। তাই বুক ভরা আশা নিয়ে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষীরা।

প্রতিবছর গাছে মুকুল আসার আগ মহুর্তে আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন এলাকার আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তারই ধারাবাহিতকায় এবারও গাছে মুকুল দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পোকা মাকড় দমনে বিভিন্ন রকমের কীটনাশক ব্যবহার করছেন তারা। আগাছা পরিস্কার করে সাথে সাথে আমবাগান গুলোতে সেচ দিচ্ছেন। এতে করে পোকা মাকড় দমনের পাশাপাশি স্বাস্থকর হবে আম্রমুকুল। ফলনও ভালো হবে।

উপজেলার নিতপুর বিষ্ণপুর পুলিশপাড়া গ্রামের আম চাষী ও ব্যবসায়ী মুনিরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর আমরা এই সময়ে আমের ফলন ভালো হওয়ার আশায় আম গাছে কীটনাশক স্প্রে করে গাছের যত্ন নিয়ে থাকি। ঠিক তেমনিভাবে এবারও মৌসুমের শুরু থেকে আম গাছে সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর ভালো ফলনের আশা করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর দেশে উৎপাদিত মোট আমের সিংহভাগ আম নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলের।

গত দেড় যুগ ধরে নওগাঁর এ বরেন্দ্র অঞ্চলে ফজলী, ল্যাংড়া, আম্রপালী, খিরসাপাত, হিমসাগর, মোহনভোগ, বোম্বাই খিরসা, লক্ষণা, কালি ভোগ, গোপাল ভোগ আশ্বিনা, ক্ষুদি খিরসা, বারী-৩, বারী-৪, হাড়িভাঙা সহ আরোও বেশ কিছু জাতের আমের চাষ করছেন এখানকার চাষীরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহফুজ আলম জানান, নওগাঁয় আম চাষ হচ্ছে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পোরশা এবং সাপাহার উপজেলায় আমের চাষ হচ্ছে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়াও প্রতি বছর ১ হাজার হেক্টর জমিতে নতুন করে আমবাগান তৈরি হচ্ছে। কৃষকদের পাশে থেকে সর্বাত্মক পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।#