নওগাঁ ০১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সরকারী প্রণোদনায় শস্য চাষে ব্যস্ত রাণীনগরের কৃষক<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী রওশন জাহান, নওগাঁ, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ ;

নওগাঁর রাণীনগরে প্রতিবছর বিভিন্ন মৌসুমে সরকারিভাবে সহায়তা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। কোনো জমি ফেলে না রেখে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতের অধিক ফলনশীল শস্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মৌসুমে কৃষকদের নানা রকমের সহায়তা প্রদান করে আসছে। এতে করে উপজেলার হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। তাই উপজেলার কৃষকরা দিন দিন কম পরিশ্রমে ও খরচে বিভিন্ন জাতের অধিক ফলনশীল ও লাভজনক শস্য চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

সরিষা হচ্ছে রবি মৌসুমের একটি জনপ্রিয় তেল জাতীয় শস্য। একই জমিতে বছরের পর বছর স্থানীয় জাতের শস্য চাষ করে ফলন কম হওয়া ও উৎপাদনে সময় বেশি লাগায় কৃষকরা সরিষা চাষ কমিয়ে দেয়। তবে গত ৩ বছর থেকে মৌসুমের শুরুতে কৃষি বিভাগ ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’ উদ্ভাবিত অধিক ফলনশীল (উফশি) বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। উন্নত জাতের সরিষা মাত্র ৫৫-৬০ দিনে ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় প্রায় দেড় হাজার কেজি। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো ধান আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা, চলতি রবি মৌসুমের অন্যতম শস্য হচ্ছে সরিষা। উপজেলায় অধিক ফলনশীল সরিষা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে ৫শ কৃষককে ২কেজি উন্নত জাতের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ও ১০ কেজি এমওপি (মিউরেট অফ পটাশ) সার, সাইনবোর্ড সরবরাহ করা হয়েছে।

চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বাছাইকৃত কৃষকদের প্রদর্শনী ধান চাষের জন্যও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও গম, কচু, আলু, তিলসহ শীতের বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের জন্য কৃষকদের নানাভাবে সহায়তা করে আসছে সরকার। এভাবে বিভিন্ন মৌসুমে উপজেলার হাজার হাজার কৃষকরা ফসল চাষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সহায়তা পেয়ে আসছেন।

উপজেলার করজগ্রামের গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সার্বিক সহায়তায় আমি আমন ধান কাটার পর জমি তৈরি করে অধিক ফলনশীল সরিষা আবাদ করেছি। ৫৫-৬০ দিনেই সরিষা ফলন ঘরে তোলা যাবে। ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। প্রতি বিঘায় ৭-৮ মণ ফলন হয় সরিষার, যা বর্তমান বাজারে বিক্রি হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এছাড়াও এই সরিষা তুলেই ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করবো। এতে করে জমির উর্বরতা শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি ভাবে ধানের ফলনও ভালো পাওয়া যায়।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, কৃষি নিয়ে সরকারের ভিশন ও মিশনকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে আমরা বিভিন্ন ধরনের অধিক ফলনশীল ফসলের চাষ বৃদ্ধির লক্ষে সরকারি ভাবে কৃষকদের বিভিন্ন মৌসুমে সহযোগিতা দিয়ে আসছি। প্রতিবছর উপজেলার প্রায় ১০ হাজার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষককে বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি ফসলের সার্বিক বিষয় সম্পর্কে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে কৃষকদের দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা যতক্ষণ ফসল ঘরে না তুলছেন ততক্ষণ কৃষি বিভাগ তাদের পাশে থাকবে। সারা বছরই উপজেলার কয়েক হাজার কৃষককে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মৌসুমেই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।#

আপলোডকারীর তথ্য

সরকারী প্রণোদনায় শস্য চাষে ব্যস্ত রাণীনগরের কৃষক<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী রওশন জাহান, নওগাঁ, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ ;

নওগাঁর রাণীনগরে প্রতিবছর বিভিন্ন মৌসুমে সরকারিভাবে সহায়তা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। কোনো জমি ফেলে না রেখে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতের অধিক ফলনশীল শস্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মৌসুমে কৃষকদের নানা রকমের সহায়তা প্রদান করে আসছে। এতে করে উপজেলার হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। তাই উপজেলার কৃষকরা দিন দিন কম পরিশ্রমে ও খরচে বিভিন্ন জাতের অধিক ফলনশীল ও লাভজনক শস্য চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

সরিষা হচ্ছে রবি মৌসুমের একটি জনপ্রিয় তেল জাতীয় শস্য। একই জমিতে বছরের পর বছর স্থানীয় জাতের শস্য চাষ করে ফলন কম হওয়া ও উৎপাদনে সময় বেশি লাগায় কৃষকরা সরিষা চাষ কমিয়ে দেয়। তবে গত ৩ বছর থেকে মৌসুমের শুরুতে কৃষি বিভাগ ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’ উদ্ভাবিত অধিক ফলনশীল (উফশি) বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। উন্নত জাতের সরিষা মাত্র ৫৫-৬০ দিনে ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় প্রায় দেড় হাজার কেজি। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো ধান আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা, চলতি রবি মৌসুমের অন্যতম শস্য হচ্ছে সরিষা। উপজেলায় অধিক ফলনশীল সরিষা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে ৫শ কৃষককে ২কেজি উন্নত জাতের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ও ১০ কেজি এমওপি (মিউরেট অফ পটাশ) সার, সাইনবোর্ড সরবরাহ করা হয়েছে।

চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বাছাইকৃত কৃষকদের প্রদর্শনী ধান চাষের জন্যও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও গম, কচু, আলু, তিলসহ শীতের বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের জন্য কৃষকদের নানাভাবে সহায়তা করে আসছে সরকার। এভাবে বিভিন্ন মৌসুমে উপজেলার হাজার হাজার কৃষকরা ফসল চাষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সহায়তা পেয়ে আসছেন।

উপজেলার করজগ্রামের গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সার্বিক সহায়তায় আমি আমন ধান কাটার পর জমি তৈরি করে অধিক ফলনশীল সরিষা আবাদ করেছি। ৫৫-৬০ দিনেই সরিষা ফলন ঘরে তোলা যাবে। ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। প্রতি বিঘায় ৭-৮ মণ ফলন হয় সরিষার, যা বর্তমান বাজারে বিক্রি হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এছাড়াও এই সরিষা তুলেই ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করবো। এতে করে জমির উর্বরতা শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি ভাবে ধানের ফলনও ভালো পাওয়া যায়।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, কৃষি নিয়ে সরকারের ভিশন ও মিশনকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে আমরা বিভিন্ন ধরনের অধিক ফলনশীল ফসলের চাষ বৃদ্ধির লক্ষে সরকারি ভাবে কৃষকদের বিভিন্ন মৌসুমে সহযোগিতা দিয়ে আসছি। প্রতিবছর উপজেলার প্রায় ১০ হাজার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষককে বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি ফসলের সার্বিক বিষয় সম্পর্কে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে কৃষকদের দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা যতক্ষণ ফসল ঘরে না তুলছেন ততক্ষণ কৃষি বিভাগ তাদের পাশে থাকবে। সারা বছরই উপজেলার কয়েক হাজার কৃষককে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মৌসুমেই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।#