নওগাঁ ০৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

বদলগাছীতে দেশের সর্বনম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ :

শুক্রবার সকালে নওগাঁর বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত বুধবারও এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবারও তাপমাত্রা ছিল একই।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ফেরদৌস মাহমুদ জানান, সকাল ৬ টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের আবহাওয়ার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সকালে ও রাতে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা। এর সাথে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া।

তিনি বলেন, ‘দেশে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে অতি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ’।

বদলগাছী ছাড়াও নওগাঁ সদর, মহাদেবপুরসহ জেলার ১১ উপজেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েক দিন ধরে কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে।

মহাদেবপুর উপজেলার চকগোবিন্দ গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা বিবর্ণ রঙ ধারণ করছে। দূর্বল হয়ে পড়ছে বিছন। এছাড়া কনকনে শীতে ইরিবোরো রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা। পাকা সরিষা গাছ তুলে এনে রাখলেও রোদ না থাকায় তা শুকাচ্ছেনা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় জানান, কুয়াশায় যাতে বীজতলার ক্ষতি না হয় সেজন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ ব্লকের চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া রোপন করা বোরো ক্ষেতের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ও তদারকি করছেন।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের টেলি প্রিন্টার অপারেটর রিপন আহম্মেদ জানান, গত তিন দিন থেকেই এমন আবহাওয়া বইছে জেলাজুড়ে। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। #

আপলোডকারীর তথ্য

বদলগাছীতে দেশের সর্বনম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৫ জানুয়ারী ২০২১ :

শুক্রবার সকালে নওগাঁর বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত বুধবারও এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবারও তাপমাত্রা ছিল একই।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ফেরদৌস মাহমুদ জানান, সকাল ৬ টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের আবহাওয়ার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সকালে ও রাতে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা। এর সাথে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া।

তিনি বলেন, ‘দেশে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে অতি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ’।

বদলগাছী ছাড়াও নওগাঁ সদর, মহাদেবপুরসহ জেলার ১১ উপজেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েক দিন ধরে কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে।

মহাদেবপুর উপজেলার চকগোবিন্দ গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা বিবর্ণ রঙ ধারণ করছে। দূর্বল হয়ে পড়ছে বিছন। এছাড়া কনকনে শীতে ইরিবোরো রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা। পাকা সরিষা গাছ তুলে এনে রাখলেও রোদ না থাকায় তা শুকাচ্ছেনা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় জানান, কুয়াশায় যাতে বীজতলার ক্ষতি না হয় সেজন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ ব্লকের চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া রোপন করা বোরো ক্ষেতের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ও তদারকি করছেন।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের টেলি প্রিন্টার অপারেটর রিপন আহম্মেদ জানান, গত তিন দিন থেকেই এমন আবহাওয়া বইছে জেলাজুড়ে। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। #