নওগাঁ ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সাপাহারে কৃষিতে নতুন চমক বল সুন্দরী বরই<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ১৪ জানুয়ারী ২০২১ :

নওগাঁর ঠাঁঠা বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় আম চাষের পাশাপাশী স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা আয়ে সুমিষ্ট মৌসুমী ফল উন্নত জাতের বরই কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে বাগান থেকে ফল সংগ্রহ ও বাজারজাত করণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাজার দর ভালো থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন এলাকার বরই চাষীরা। স্বল্প মেয়াদে অধিক ফলন ও লাভবান হবার ফলে বরই চাষে এলাকার চাষীদের অধিক আগ্রহ দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছর এ উপজেলায় ৫১ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বরই। যার মধ্যে ১২ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে কাশ্মীরি বরই ও ৩৯ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বল সুন্দরী জাতের বরই। প্রতি হেক্টরে ৫ থেকে ৬ মেট্রিক টন বরই উৎপাদন হতে পারে। এছাড়া এ অঞ্চলে কাশ্মিরী বরই, বাউকূল, আপেল কূল, বল সুন্দরী জাতের বরইও চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে সুস্বাদু ও চাহিদা বেশি হবার ফলে এ উপজেলায় বল সুন্দরী জাতের বরই বেশী চাষ হচ্ছে। ফল চাষে মুনাফা অধিক ও মাটির গুণগত মান ভালো থাকায় এ উপজেলার কৃষিখাতে নতুন সম্ভাবনার আরেক নাম বরই চাষ সংযুক্ত হয়েছে।

ইতোমধ্যে সাপাহার উপজেলা আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। আম বাগানে সাথী ফল বাগান হিসেবে বরই চাষ সহ নতুন করে বরই বাগান তৈরীতে স্থানীয় কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন। আম চাষ ব্যাপক লাভজনক হলেও আম বাগান করার পর দু’বছর পর আম পাওয়া সম্ভব। কিন্তু বরই স্বল্প সময়ে পাওয়া সম্ভব এবং এটি একটি লাভ জনক চাষ পদ্ধতিও বটে। তাই অধিক লাভের আশায় কৃষকেরা বরই চাষে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকে পড়েছেন।

ঠাঁঠাঁ এই বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির গুণগত মান ভালো হবার ফলে বরই চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক ও অনুকূল। বর্তমান সময়ে অনেক চাষী আম বাগানের মধ্যেই বরই চাষ করছেন বলে জানান এলাকার চাষীরা। স্বল্প মাত্রার পরিচর্যায় সহজে বরই চাষ করা যায় বলছেন এলাকার অনেক বরই চাষী।

বরই চাষী সিরাজুল ইসলাম জানান, এবছর প্রথম বরই বাগান করেছেন তিনি। আবহাওয়া ভালো হবার ফলে চলতি বছরে বরইয়ের উৎপাদন অনেক ভালো। বাজারে এ বছরে বল সুন্দরী জাতের বরই প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ’ টাকা থেকে ২ হাজার ৬শ’ টাকায়। এরকম বাজার স্থিতিশীল থাকলে বরই চাষে অনেক লাভবান হওয়া যাবে।

বরই চাষী মামুন জানান, তিনি একজন ফল চাষী । তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বরই বাগান দেখে এসে নিজেই বরইয়ের বাগান তৈরী করার প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে কুড়ি একর জমিতে বরইয়ের বাগান করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বরই অধিক লাভজনক চাষ বলেও তিনি জানান।

বরই বাগানে তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয়না। প্রথমে গাছ লাগানো এবং জমি তৈরীর পর কীটনাশক ও যৎসামান্য পরিচর্যা ছাড়া কঠিন কোন পরিচর্যা করতে হয়না, বলছেন বাগান পরিচর্যাকারীরা।

তবে সব মিলিয়ে ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্র খ্যাত এ অঞ্চল বরই চাষে কৃষিখাতে একটি নতুন সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার অভিজ্ঞমহল।#

আপলোডকারীর তথ্য

সাপাহারে কৃষিতে নতুন চমক বল সুন্দরী বরই<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১২:১৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ১৪ জানুয়ারী ২০২১ :

নওগাঁর ঠাঁঠা বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় আম চাষের পাশাপাশী স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা আয়ে সুমিষ্ট মৌসুমী ফল উন্নত জাতের বরই কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে বাগান থেকে ফল সংগ্রহ ও বাজারজাত করণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাজার দর ভালো থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন এলাকার বরই চাষীরা। স্বল্প মেয়াদে অধিক ফলন ও লাভবান হবার ফলে বরই চাষে এলাকার চাষীদের অধিক আগ্রহ দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছর এ উপজেলায় ৫১ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বরই। যার মধ্যে ১২ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে কাশ্মীরি বরই ও ৩৯ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বল সুন্দরী জাতের বরই। প্রতি হেক্টরে ৫ থেকে ৬ মেট্রিক টন বরই উৎপাদন হতে পারে। এছাড়া এ অঞ্চলে কাশ্মিরী বরই, বাউকূল, আপেল কূল, বল সুন্দরী জাতের বরইও চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে সুস্বাদু ও চাহিদা বেশি হবার ফলে এ উপজেলায় বল সুন্দরী জাতের বরই বেশী চাষ হচ্ছে। ফল চাষে মুনাফা অধিক ও মাটির গুণগত মান ভালো থাকায় এ উপজেলার কৃষিখাতে নতুন সম্ভাবনার আরেক নাম বরই চাষ সংযুক্ত হয়েছে।

ইতোমধ্যে সাপাহার উপজেলা আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। আম বাগানে সাথী ফল বাগান হিসেবে বরই চাষ সহ নতুন করে বরই বাগান তৈরীতে স্থানীয় কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন। আম চাষ ব্যাপক লাভজনক হলেও আম বাগান করার পর দু’বছর পর আম পাওয়া সম্ভব। কিন্তু বরই স্বল্প সময়ে পাওয়া সম্ভব এবং এটি একটি লাভ জনক চাষ পদ্ধতিও বটে। তাই অধিক লাভের আশায় কৃষকেরা বরই চাষে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকে পড়েছেন।

ঠাঁঠাঁ এই বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির গুণগত মান ভালো হবার ফলে বরই চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক ও অনুকূল। বর্তমান সময়ে অনেক চাষী আম বাগানের মধ্যেই বরই চাষ করছেন বলে জানান এলাকার চাষীরা। স্বল্প মাত্রার পরিচর্যায় সহজে বরই চাষ করা যায় বলছেন এলাকার অনেক বরই চাষী।

বরই চাষী সিরাজুল ইসলাম জানান, এবছর প্রথম বরই বাগান করেছেন তিনি। আবহাওয়া ভালো হবার ফলে চলতি বছরে বরইয়ের উৎপাদন অনেক ভালো। বাজারে এ বছরে বল সুন্দরী জাতের বরই প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ’ টাকা থেকে ২ হাজার ৬শ’ টাকায়। এরকম বাজার স্থিতিশীল থাকলে বরই চাষে অনেক লাভবান হওয়া যাবে।

বরই চাষী মামুন জানান, তিনি একজন ফল চাষী । তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বরই বাগান দেখে এসে নিজেই বরইয়ের বাগান তৈরী করার প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে কুড়ি একর জমিতে বরইয়ের বাগান করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বরই অধিক লাভজনক চাষ বলেও তিনি জানান।

বরই বাগানে তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয়না। প্রথমে গাছ লাগানো এবং জমি তৈরীর পর কীটনাশক ও যৎসামান্য পরিচর্যা ছাড়া কঠিন কোন পরিচর্যা করতে হয়না, বলছেন বাগান পরিচর্যাকারীরা।

তবে সব মিলিয়ে ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্র খ্যাত এ অঞ্চল বরই চাষে কৃষিখাতে একটি নতুন সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার অভিজ্ঞমহল।#