মহাদেবপুর দর্পণ, নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ), ১৩ জানুয়ারী ২০২১ :
নওগাঁর আত্রাইয়ের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে কুমড়ো বড়ি তৈরির যেন ধুুম পড়েছে। কুমড়ো বড়ি তৈরির উপযুক্ত সময় শীতকাল। শীতের শুরু লগ্ন থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুমড়োবড়ি তৈরি করে আসছেন নারীরা। কুমড়োবড়ি তরকারির একটি মুখরোচক খাদ্য। এতে তরকারির স্বাদে যোগ হয় নতুন মাত্রা।
উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শত শত নারী কুমড়োবড়ি তৈরির কাজে জড়িত রয়েছে। শীতকাল কুমড়ো বড়ি তৈরির ভরা মৌসুম। শীতের সময় কুমড়ো বড়ির চাহিদা থাকে বেশী, আর গ্রামাঞ্চলের নারীরা বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়োবড়ি তৈরি করেন। কুমড়ো বড়ি তৈরির প্রধান উপকরণ মাসকলাইয়ের ডাল আর চালকুমড়া। এর সঙ্গে সামান্য মসলা। বাজারে প্রতি কেজি মাসকলাই ১০০ থেকে ১২০ টাকা আর চাল কুমড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইজ হিসাবে চালকুমড়া ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে ক্রয় করা যায়। ৫ কেজি চালকুমড়ার সঙ্গে ২ কেজি মাসকলাইয়ের মিশ্রণে কুমড়ো বড়ি ভাল হয় বলে জানান কুমড়োবড়ি তৈরির কারিগররা।
গ্রামের পিছিয়ে পড়া অনেক মেয়েরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে শ্রম দিয়ে অনেক বছর ধরে এ কুমড়োবড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের প্রায় ৩০-৪০টি পরিবার। এ ছাড়াও পঁচুপুর, রসুলপুর, মদনডাঙ্গা, গুড়নইসহ অনেক গ্রামের নারীরা কুমড়োবড়ি তৈরির কাজে অভিজ্ঞ। সাহেবঞ্জ গ্রামের লতা মহন্ত বলেন, আগে কুমড়োবড়ি ব্যবসায়ী পরিবারগুলো অবস্থায় তেমন স্বচ্ছল ছিল না। এখন অনেকেই কুমড়ো বড়ির ব্যবসা করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এক কেজি কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে প্রায় ১২০ টাকা মত খরচ হচ্ছে। আর বাজারে ২শ থেকে আড়াইশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব হচ্ছে। তার মতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অবসর সময়ে যদি আর্থিক উন্নয়নের পেশায় নিয়োজিত হয় তাহলে সমাজে অর্থদৈন্যতা থাকবে না।#