নওগাঁ ০৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় হঠাৎ কমেছে ধানের দাম : হতাশ চাষীরা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৭ নভেম্বর ২০২০ :

নওগাঁর হাটবাজারগুলোতে হঠাৎ কমেছে ধানের দাম। ফলে প্রকৃত চাষীরা পড়েছেন বেকায়দায়। বাজারে ধান বিক্রি করতে এনে দাম কম শুনে হতাশ হয়েছেন তারা।

উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার বলে খ্যাত নওগাঁর ১১ উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুরুতে বাজারে ধানের দামও ছিল সর্বকালের সেরা। কিন্তু হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় চাষীরা এখন তাদের খরচের সংকুলান নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। অনেকে এটাকে সিন্ডিকেটের কারসাজী বলেও মনে করছেন।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় সতীহাটে ধানের সরবরাহ বাড়লেও ক্রেতা ছিল কম। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধানের দাম মণ প্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহেও জেলার বিভিন্ন হাটে কাটারী জাতের চিকন ধান ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ২১০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, গত সপ্তাহে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের দাম ছিল এক হাজার ১৫০ টাকা মণ, আর গুটি স্বর্ণা ছিল এক হাজার ৫০ টাকা। শুক্রবার সেই স্বর্ণা-৫ ধানের দাম কমে হয়েছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকা, আর গুটি স্বর্ণার দাম কমে হয়েছে এক হাজার টাকা। ধানের এই হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতভম্ব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সামসুল ওয়াদুদ জানান, চলতি আমন মওসুমে জেলায় এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির উপর নির্ভর করে আমন চাষাবাদ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ধানে পোকার আক্রমণ থাকলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। ধান কাটা ও মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। এজেলায় এবার ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৪৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ডিসেম্বর এ এলাকায় হালখাতার সময়। তাই বকেয়া পরিশোধের জন্য বাজারে ধানের আমদানি বেড়েছে। আমদানি বেশি হওয়ায় আগ্রহ কমেছে ক্রেতাদের। এ কারণে বাজারে ধানের দাম কমেছে বলে মনে করেন আড়ৎদাররা। বাজারে আমদানি বেশি এবং চালকল মালিকরা ধান কেনা কমিয়ে দেয়ায় দাম কমেছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা।

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় হঠাৎ কমেছে ধানের দাম : হতাশ চাষীরা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৭ নভেম্বর ২০২০ :

নওগাঁর হাটবাজারগুলোতে হঠাৎ কমেছে ধানের দাম। ফলে প্রকৃত চাষীরা পড়েছেন বেকায়দায়। বাজারে ধান বিক্রি করতে এনে দাম কম শুনে হতাশ হয়েছেন তারা।

উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার বলে খ্যাত নওগাঁর ১১ উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুরুতে বাজারে ধানের দামও ছিল সর্বকালের সেরা। কিন্তু হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় চাষীরা এখন তাদের খরচের সংকুলান নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। অনেকে এটাকে সিন্ডিকেটের কারসাজী বলেও মনে করছেন।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় সতীহাটে ধানের সরবরাহ বাড়লেও ক্রেতা ছিল কম। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধানের দাম মণ প্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহেও জেলার বিভিন্ন হাটে কাটারী জাতের চিকন ধান ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ২১০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, গত সপ্তাহে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের দাম ছিল এক হাজার ১৫০ টাকা মণ, আর গুটি স্বর্ণা ছিল এক হাজার ৫০ টাকা। শুক্রবার সেই স্বর্ণা-৫ ধানের দাম কমে হয়েছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকা, আর গুটি স্বর্ণার দাম কমে হয়েছে এক হাজার টাকা। ধানের এই হঠাৎ দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতভম্ব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সামসুল ওয়াদুদ জানান, চলতি আমন মওসুমে জেলায় এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির উপর নির্ভর করে আমন চাষাবাদ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ধানে পোকার আক্রমণ থাকলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। ধান কাটা ও মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। এজেলায় এবার ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৪৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ডিসেম্বর এ এলাকায় হালখাতার সময়। তাই বকেয়া পরিশোধের জন্য বাজারে ধানের আমদানি বেড়েছে। আমদানি বেশি হওয়ায় আগ্রহ কমেছে ক্রেতাদের। এ কারণে বাজারে ধানের দাম কমেছে বলে মনে করেন আড়ৎদাররা। বাজারে আমদানি বেশি এবং চালকল মালিকরা ধান কেনা কমিয়ে দেয়ায় দাম কমেছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা।