নওগাঁ ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুর আত্রাই নদের মহিষবাথান ঘাটে ব্রীজ নির্মাণের দাবি<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১২ নভেম্বর ২০২০ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের মহিষবাথান আত্রাই নদের ঘাটে একটি ব্রীজের অভাবে কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ব্রীজের অভাবে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহিষবাথান হাট এখন মরা বাজারে পরিণত হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। স্মরণাতীত কাল থেকে এলাকার মানুষ ব্রীজের অভাবে ঝুকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। সরকার আসে, সরকার যায়। ভোটের সময় প্রার্থীরা এখানে ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্ত জেতার পর কেউ আর সে কথা মনে রাখেন না।

মহিষবাথান ঘাটের পশ্চিমপাশের্^ হাতুড় ইউনিয়ন পরিষদ, মহিষবাথান হাট, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সোনালী ব্যাংক, বিভিন্ন সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারী খাদ্যগুদাম রয়েছে।

প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসেন কাজে। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পারাপারে। বর্ষায় নদী পারাপারে এক মাত্র ভরসা নৌকা। কেউ নৌকা মিস করলে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। শুকনো মওসুমে ঘাটের ইজারাদার বাঁশের সাঁকো তৈরী করে রাখেন পারাপারের জন্য। এখানে বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন নিয়ে পারাপার হতে হয় ঝুকি নিয়ে। আত্রাই নদ পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার মানুষ চলাচল করেন।

মহিষবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রীস আলী বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ শতাধিক নদের ওপারের বাসিন্দা। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ডুবির আশঙ্কা থাকে। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে। গৃহবধূ পিয়ারা বেগম (৬০) বলেন, ‘নারী ও শিশুদের নদ পারাপার হতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। একটি সেতু হলে আমাদের অনেক ভালো হবে।’

স্থানীয় প্রবীণরা জানান, বিএনপি আমলে এলাকার সাবেক এমপি জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকী এখানে একটি ফুট ব্রীজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। মান্ধাতা আমলে নদীকেন্দ্রীক সভ্যতার সময় গড়ে ওঠে এই মহিষবাথান গঞ্জ। কিন্তু কালের গর্ভে যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে তাল মেলাতে না পেরে সে গঞ্জ আজ ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। ইতিমধ্যে এখানকার ঐতিহ্যবাহী হাট ভেঙ্গে দুটুকরো হয়ে এক অংশ চলে গেছে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ছাতুনতলীতে। এখানে অবস্থিত দীর্ঘদিনের পুরনো ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ও স্থানান্তর করা হয়েছে গাহলী মোড়ে। এখনও যেসব প্রতিষ্ঠান এখানে সচল রয়েছে এখানে একটি ব্রীজ নির্মিত হলে সেগুলো আবার চাঙ্গা করা সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা।

জানতে চাইলে মহাদেবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, ‘এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সয়েল টেষ্ট করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক স্থান পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্প পরিকল্পনা প্রেরণ করা হচ্ছে। করোনার কারণে হয়তো সময় লাগছে। আশা করছি দ্রুত অনুমোদনের কাগজপত্র পাওয়া যাবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুর আত্রাই নদের মহিষবাথান ঘাটে ব্রীজ নির্মাণের দাবি<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১২ নভেম্বর ২০২০ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের মহিষবাথান আত্রাই নদের ঘাটে একটি ব্রীজের অভাবে কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ব্রীজের অভাবে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহিষবাথান হাট এখন মরা বাজারে পরিণত হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। স্মরণাতীত কাল থেকে এলাকার মানুষ ব্রীজের অভাবে ঝুকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। সরকার আসে, সরকার যায়। ভোটের সময় প্রার্থীরা এখানে ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্ত জেতার পর কেউ আর সে কথা মনে রাখেন না।

মহিষবাথান ঘাটের পশ্চিমপাশের্^ হাতুড় ইউনিয়ন পরিষদ, মহিষবাথান হাট, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সোনালী ব্যাংক, বিভিন্ন সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারী খাদ্যগুদাম রয়েছে।

প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসেন কাজে। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পারাপারে। বর্ষায় নদী পারাপারে এক মাত্র ভরসা নৌকা। কেউ নৌকা মিস করলে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। শুকনো মওসুমে ঘাটের ইজারাদার বাঁশের সাঁকো তৈরী করে রাখেন পারাপারের জন্য। এখানে বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন নিয়ে পারাপার হতে হয় ঝুকি নিয়ে। আত্রাই নদ পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার মানুষ চলাচল করেন।

মহিষবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রীস আলী বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ শতাধিক নদের ওপারের বাসিন্দা। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ডুবির আশঙ্কা থাকে। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে। গৃহবধূ পিয়ারা বেগম (৬০) বলেন, ‘নারী ও শিশুদের নদ পারাপার হতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। একটি সেতু হলে আমাদের অনেক ভালো হবে।’

স্থানীয় প্রবীণরা জানান, বিএনপি আমলে এলাকার সাবেক এমপি জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম আখতার হামিদ সিদ্দিকী এখানে একটি ফুট ব্রীজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। মান্ধাতা আমলে নদীকেন্দ্রীক সভ্যতার সময় গড়ে ওঠে এই মহিষবাথান গঞ্জ। কিন্তু কালের গর্ভে যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে তাল মেলাতে না পেরে সে গঞ্জ আজ ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। ইতিমধ্যে এখানকার ঐতিহ্যবাহী হাট ভেঙ্গে দুটুকরো হয়ে এক অংশ চলে গেছে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ছাতুনতলীতে। এখানে অবস্থিত দীর্ঘদিনের পুরনো ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ও স্থানান্তর করা হয়েছে গাহলী মোড়ে। এখনও যেসব প্রতিষ্ঠান এখানে সচল রয়েছে এখানে একটি ব্রীজ নির্মিত হলে সেগুলো আবার চাঙ্গা করা সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা।

জানতে চাইলে মহাদেবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, ‘এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সয়েল টেষ্ট করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক স্থান পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্প পরিকল্পনা প্রেরণ করা হচ্ছে। করোনার কারণে হয়তো সময় লাগছে। আশা করছি দ্রুত অনুমোদনের কাগজপত্র পাওয়া যাবে।’#