নওগাঁ ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

আত্রাই সরকারি হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স আছে, ড্রাইভার নেই<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

smart

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১১ নভেম্বর ২০২০ :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন থেকে এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। রোগীদের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে করে রোগী পরিবহণ করতে হচ্ছে। এতে করে একদিকে রোগীর স্বজনেরা লোকশানের শিকার হচ্ছেন, অপরদিকে চরম দূর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার আসলাম পারভেজ টিপুকে গত ১ সেপ্টেম্বর মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করা হয়। এরপর আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও এ হাসপাতালে নতুন কোন ড্রাইভার নিয়োগ দেয়া হয়নি। সেই থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেননি।

ড্রাইভারের অভাবে এ্যাম্বুলেন্স গাড়িটি অযত্নে পড়ে থাকায় অকেজো হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল হিসেবে জটিল ও গুরুতর রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল অথবা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা জন্য রোগীদের পরিবহণের জন্য ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট পরিবহণের দিকে। রোগীর স্বজনরা সময়মত অন্য গাড়ি না পাওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা বিশা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোল্লা বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আত্রাই হাসপাতাল ভর্তি হই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করলে আমি ঐদিন রাতে আত্রাই হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার না থাকায় আমাকে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট মাইক্রোবাসে রাজশাহী যেতে হয়েছে। এতে আমাকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা কর্মকর্তা ডা: রোখসানা হ্যাপি বলেন, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের পদটি শূন্য হওয়ার পর আমি উর্র্ধতন কর্তৃপক্ষকে এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার নিয়োগের এর জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ ছাড়াও একাধিক বার টেলিফোন ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি।#

আপলোডকারীর তথ্য

আত্রাই সরকারি হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স আছে, ড্রাইভার নেই<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১১:১৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১১ নভেম্বর ২০২০ :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন থেকে এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। রোগীদের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে করে রোগী পরিবহণ করতে হচ্ছে। এতে করে একদিকে রোগীর স্বজনেরা লোকশানের শিকার হচ্ছেন, অপরদিকে চরম দূর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার আসলাম পারভেজ টিপুকে গত ১ সেপ্টেম্বর মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করা হয়। এরপর আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও এ হাসপাতালে নতুন কোন ড্রাইভার নিয়োগ দেয়া হয়নি। সেই থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেননি।

ড্রাইভারের অভাবে এ্যাম্বুলেন্স গাড়িটি অযত্নে পড়ে থাকায় অকেজো হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল হিসেবে জটিল ও গুরুতর রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল অথবা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা জন্য রোগীদের পরিবহণের জন্য ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট পরিবহণের দিকে। রোগীর স্বজনরা সময়মত অন্য গাড়ি না পাওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা বিশা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোল্লা বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আত্রাই হাসপাতাল ভর্তি হই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করলে আমি ঐদিন রাতে আত্রাই হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার না থাকায় আমাকে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট মাইক্রোবাসে রাজশাহী যেতে হয়েছে। এতে আমাকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা কর্মকর্তা ডা: রোখসানা হ্যাপি বলেন, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের পদটি শূন্য হওয়ার পর আমি উর্র্ধতন কর্তৃপক্ষকে এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার নিয়োগের এর জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ ছাড়াও একাধিক বার টেলিফোন ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি।#