মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৩১ আগষ্ট ২০২০ :
নওগাঁয় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জেলা জুড়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে সর্বস্তরের মানুষের হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে মূল পয়েন্টগুলোতে বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের চলার পথে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
বিশেষ করে যারা দিন মজুর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ তাদের চলার পথে এবং কাজের ফাঁকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এই বেসিনগুলো ব্যাবহার করতে পারেন।
জেলার ১১ টি উপজেলার কলেজ, সরকারি কার্যালয়সহ ব্যস্ততম মোড়গুলাতে এসকল বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে সর্বস্তরের মানুষ হাত ধোয়ার সুযোগ পায়।
বেসিনগুলো স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে করে ভবিষ্যতেও এটি ব্যবহার করা যায়। বেসিন নির্মাণের পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে হাত পরিষ্কার করার জন্য সাবান সরবরাহের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে বলে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
নওগাঁয় শহরের চলার পথে এমন সুবিধা পেয়ে সবাই খুশি হবার কথা। সাধারণ জনতা জানান, বেসিন নির্মাণে সাধারণ শ্রমিক ও দিন মজুরদের আসলেই খুব উপকার হবার কথা। তারা হাত এবং মুখ ধোয়ার সুযোগ পাবেন। এতে করে তারা একদিকে জীবাণুমুক্ত থাকতে অপরদিকে নিজদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজের মধ্যে ভরসা খুঁজে পাবেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা প্রতিরোধ পরিকল্পনা অনুযায়ী সর্বপ্রথম সকলের হাত পরিষ্কার রাখার একটি ব্যবস্থা নির্ণয় করা হয়।
তিনি বলেব, করোনাভাইরাস হাতের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে বলে সর্বস্তরের মানুষের হাত ধোয়া খুব জরুরি। ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জেলা জুড়ে সর্বস্তরের মানুষের হাত পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা স্বরূপ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলা জুড়ে ৪৩ টি স্থানে হাত ধোয়ার বেসিন ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে হাত পরিষ্কার করার সাবানের বরাদ্দ থাকায় প্রতিদিন এখানে সাবান দেয়া হয় বলেও তিনি দাবী করেন।
এছাড়া পরিষ্কার থাকায় তাদের মনোবল পরিবর্তনে ব্যাপক সহায়তা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রকৌশলী।
জেলায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ। তাদের দাবি হাত ধোঁয়ার বেসিনগুলো সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী হওয়ায় এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচর্যার মাধ্যমে তা মানুষের মাঝে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করবে। #