মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৩০ আগষ্ট ২০২০ :
নওগাঁর মান্দায় পিকেএ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। আর এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের রিরুদ্ধে।
এই নিয়োগ পরীক্ষা আগামীকাল সোমবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে।
নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিয়োগ প্রার্থী বিজন কুমার।
অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পিকেএ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন বিজন কুমার। কিন্তু নিয়োগ প্রদানের পূর্বে অপর এক প্রার্থীর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবার সেই প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নতুন করে চলতি মাসের ২৪ তারিখ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ১৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
ইতোপূর্বে বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগের জন্য শহরবাড়ি গ্রামের সুরেন্দ্রনাথের ছেলে ধনঞ্জয় দাসের কাছ থেকে অগ্রিম ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে রেখেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশ না করে এক নিয়োগ প্রার্থী জানান, গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়ে রাতে পাহারাসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে আসছি। এই পদে নিয়োগ দেবেন বলে বিভিন্ন অযুহাতে আমার কাছে টাকা চান প্রধান শিক্ষক। ওই প্রার্থী আরো বলেন, আমার সাংসারিক অবস্থা অতি সোচনীয়। গরু-ছাগল বিক্রি করে কিছু টাকা যোগাড় করেছিলোম। কিন্তু অন্য এক প্রার্থী মোটা অংকের টাকা দিতে চাওয়ায় প্রধান শিক্ষক আমার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগের খরচ হিসেবে সামান্য কিছু টাকা আমরা নিয়ে থাকি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে দফায় দফায় ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম বলেন, আগামীকাল সোমবার বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড হওয়ার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#