নওগাঁ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

দূর্নীতি : মহাদেবপুরে বিদ্যালয় মেরামতের কোটি টাকা হরিলুট : প্রশাসনে তোলপাড়

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৪ মার্চ ২০২০ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য বরাদ্দকরা কোটি টাকা হরিলুটের ঘটনায় প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন বিষয়টি উত্থাপন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়। এর আগে স্থানীয় সাংবাদিকরা এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। বৃহস্পতিবার বিষয়টি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়। আগে থেকেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তারা সমন্বয় কমিটির সভায় হাজির হননি।

উপজেলা শিা অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে চতুর্থ প্রাথমিক শিা উন্নয়ন কর্মসূচি পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২৪ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য প্রতিটিতে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪৮ লাখ টাকা, রাজস্ব খাত থেকে ১৮ টি বিদ্যালয়ে বিবিধ মেরামতের জন্য মোট ২৭ লাখ টাকা এবং ৪৪ টি বিদ্যালয়ে রুটিন মেরামতের জন্য মোট ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় এজন্য প্রয়োজনীয় এষ্টিমেট তৈরী করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবার পর উপজেলা প্রকৌশলী কাজ সম্পন্ন হবার ছাড়পত্র দেন।

অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিদ্যালয়গুলোর বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কোন মেরামত না করে ভবনে নামমাত্র রঙ করে প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। সরেজমিনে কয়েকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের স্থানে স্থানে ফাটল ও প্লাষ্টার খসে পড়লেও সেগুলোতে নতুন করে প্লাষ্টার না করেই শুধু রঙ করা হয়েছে।

উত্তরগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আব্দুল খালেক জানান, বিদ্যালয় ভবনে তেমন কোন মেরামতের প্রয়োজন না থাকায় তিনি প্রকল্পের অর্থে ৩ টি দরজা ও টেবিল কিনেছেন। কিন্তু বাস্তবে এগুলো কেনার কোন প্রমাণ নেই। এমনকি নতুন দরজাও লাগানো হয়নি।

চকরাজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক রওশন আরা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশ মত তিনি বিদ্যালয় ভবনে রঙ করেছেন। এটাকেই তিনি মেরামত বলে অভিহিত করেন।

বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পুরনো কাজের উপরে হালকা রঙ করে সংস্কারের কাজ শেষ করা হয়েছে।

কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। এজন্য তাদেরকে নগদ টাকা দিতে হয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা শিা অফিসার মো: মাযহারুল ইসলাম অনৈতিক লেনদেনের বিষয় অস্বীকার করে জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর দেয়া ছাড়পত্রের ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী এব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। #

আপলোডকারীর তথ্য

দূর্নীতি : মহাদেবপুরে বিদ্যালয় মেরামতের কোটি টাকা হরিলুট : প্রশাসনে তোলপাড়

প্রকাশের সময় : ১০:২৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৪ মার্চ ২০২০ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য বরাদ্দকরা কোটি টাকা হরিলুটের ঘটনায় প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন বিষয়টি উত্থাপন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়। এর আগে স্থানীয় সাংবাদিকরা এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। বৃহস্পতিবার বিষয়টি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়। আগে থেকেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তারা সমন্বয় কমিটির সভায় হাজির হননি।

উপজেলা শিা অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে চতুর্থ প্রাথমিক শিা উন্নয়ন কর্মসূচি পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২৪ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য প্রতিটিতে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪৮ লাখ টাকা, রাজস্ব খাত থেকে ১৮ টি বিদ্যালয়ে বিবিধ মেরামতের জন্য মোট ২৭ লাখ টাকা এবং ৪৪ টি বিদ্যালয়ে রুটিন মেরামতের জন্য মোট ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় এজন্য প্রয়োজনীয় এষ্টিমেট তৈরী করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবার পর উপজেলা প্রকৌশলী কাজ সম্পন্ন হবার ছাড়পত্র দেন।

অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিদ্যালয়গুলোর বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কোন মেরামত না করে ভবনে নামমাত্র রঙ করে প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। সরেজমিনে কয়েকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের স্থানে স্থানে ফাটল ও প্লাষ্টার খসে পড়লেও সেগুলোতে নতুন করে প্লাষ্টার না করেই শুধু রঙ করা হয়েছে।

উত্তরগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আব্দুল খালেক জানান, বিদ্যালয় ভবনে তেমন কোন মেরামতের প্রয়োজন না থাকায় তিনি প্রকল্পের অর্থে ৩ টি দরজা ও টেবিল কিনেছেন। কিন্তু বাস্তবে এগুলো কেনার কোন প্রমাণ নেই। এমনকি নতুন দরজাও লাগানো হয়নি।

চকরাজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক রওশন আরা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশ মত তিনি বিদ্যালয় ভবনে রঙ করেছেন। এটাকেই তিনি মেরামত বলে অভিহিত করেন।

বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পুরনো কাজের উপরে হালকা রঙ করে সংস্কারের কাজ শেষ করা হয়েছে।

কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। এজন্য তাদেরকে নগদ টাকা দিতে হয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা শিা অফিসার মো: মাযহারুল ইসলাম অনৈতিক লেনদেনের বিষয় অস্বীকার করে জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর দেয়া ছাড়পত্রের ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী এব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। #