নওগাঁ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে, বন্যা আতঙ্কে মান্দাবাসী<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, জিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ), ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ :

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নওগাঁর মান্দায় হুহু করে বাড়ছে আত্রাই নদীর পানি। এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে যেকোনো সময় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। নদীর পানি বাড়তে থাকায় বেঁড়িবাঁধের পুরাতন তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট ভেঙে যেকোনো মুহূর্তে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন নদীর দুই তীরের মানুষ। বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে নদী পাড়ের মানুষের মাঝে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে আত্রাই নদীর পানি একটু একটু করে বাড়ছে। এ অবস্থায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত দুইদিন ধরে হুহু করে বাড়তে থাকে এ নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় এ নদীর পানি ৮০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের পার নুরুল্লাবাদ গ্রামের ভাদু মকবুলের বাড়ির পূর্বপাশে এবং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি নামক স্থানে বেঁড়িবাঁধ ভেঙে যায়। পরে বেঁড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। নদীর পানি বাড়লে যেকোনো মুহূর্তে অনায়াসে হুহু করে পানি ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। আর পানি প্রবেশ করলে তলিয়ে যাবে খেতের ফসল। পানিবন্দি হয়ে পড়বে পাঁচ শতাধিক পরিবার।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ মুহুর্তে বন্যা আতঙ্কে থাকেন নদী পাড়ের মানুষ। এ সময় তাঁদের নির্ঘূম রাত কাটাতে হয়। দিনরাত পাহারা বসিয়ে রক্ষা করতে হয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ফসল ও বাড়িঘর রক্ষার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেন তাঁরা।

বন্যাকবলিত এলাকা বলে পরিচিত চকরামপুর গ্রামের বাসিন্দা খলিল হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় বেঁড়িবাঁধের দুই স্থান ভেঙে যায়। নদীর পানি বাড়লেই তা লোকালয়ে ঢুকে যায়। তলিয়ে যায় বেঁড়িবাঁধের ভেতরে থাকা বিভিন্ন ফসলের খেত। পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পড়েন কয়েক হাজার মানুষ।
বনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, আত্রাই নদীর ডানতীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি। তবে এই বার সংস্কার হয়েছে। এ অবস্থায় পানি বাড়তে শুরু করলে নদী পাড়ের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাঁধ রক্ষায় নির্ঘূম রাত কাটাতে হয় তাঁদের।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ঝুঁকির মুখে পড়বে কয়েকটি বেঁড়িবাঁধসহ দুই তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধ।

তিনি আরো বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো মনিটরিং এর কাজ চলছে। বাঁধ রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত মালামাল মজুত রাখা হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, বন্যা মোকাবেলায় এরই মধ্যে সাত সদস্যের তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জরুরী মুহুর্তের জন্য বস্তাসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুত রাখার কাজ চলছে। #

আপলোডকারীর তথ্য

আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে, বন্যা আতঙ্কে মান্দাবাসী<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৮:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, জিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ), ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ :

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নওগাঁর মান্দায় হুহু করে বাড়ছে আত্রাই নদীর পানি। এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে যেকোনো সময় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। নদীর পানি বাড়তে থাকায় বেঁড়িবাঁধের পুরাতন তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট ভেঙে যেকোনো মুহূর্তে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন নদীর দুই তীরের মানুষ। বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে নদী পাড়ের মানুষের মাঝে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে আত্রাই নদীর পানি একটু একটু করে বাড়ছে। এ অবস্থায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত দুইদিন ধরে হুহু করে বাড়তে থাকে এ নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় এ নদীর পানি ৮০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের পার নুরুল্লাবাদ গ্রামের ভাদু মকবুলের বাড়ির পূর্বপাশে এবং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি নামক স্থানে বেঁড়িবাঁধ ভেঙে যায়। পরে বেঁড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। নদীর পানি বাড়লে যেকোনো মুহূর্তে অনায়াসে হুহু করে পানি ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। আর পানি প্রবেশ করলে তলিয়ে যাবে খেতের ফসল। পানিবন্দি হয়ে পড়বে পাঁচ শতাধিক পরিবার।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ মুহুর্তে বন্যা আতঙ্কে থাকেন নদী পাড়ের মানুষ। এ সময় তাঁদের নির্ঘূম রাত কাটাতে হয়। দিনরাত পাহারা বসিয়ে রক্ষা করতে হয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ফসল ও বাড়িঘর রক্ষার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেন তাঁরা।

বন্যাকবলিত এলাকা বলে পরিচিত চকরামপুর গ্রামের বাসিন্দা খলিল হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় বেঁড়িবাঁধের দুই স্থান ভেঙে যায়। নদীর পানি বাড়লেই তা লোকালয়ে ঢুকে যায়। তলিয়ে যায় বেঁড়িবাঁধের ভেতরে থাকা বিভিন্ন ফসলের খেত। পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পড়েন কয়েক হাজার মানুষ।
বনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, আত্রাই নদীর ডানতীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি। তবে এই বার সংস্কার হয়েছে। এ অবস্থায় পানি বাড়তে শুরু করলে নদী পাড়ের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাঁধ রক্ষায় নির্ঘূম রাত কাটাতে হয় তাঁদের।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ঝুঁকির মুখে পড়বে কয়েকটি বেঁড়িবাঁধসহ দুই তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধ।

তিনি আরো বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো মনিটরিং এর কাজ চলছে। বাঁধ রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত মালামাল মজুত রাখা হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, বন্যা মোকাবেলায় এরই মধ্যে সাত সদস্যের তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জরুরী মুহুর্তের জন্য বস্তাসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুত রাখার কাজ চলছে। #