নওগাঁ ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

ধামইরহাটে শিশু ধর্ষণে যাবজ্জীবন, নওগাঁয় অপহরণে ১৪ বছর কারাদন্ড<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ আগস্ট ২০২৩ :

নওগাঁর ধামইরহাটে আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং নওগাঁ সদর উপজেলায় ১২ বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের মামলায় সুমন হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মেহেদী হাসান তালুকদার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালাম জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে এবং সুমন হোসেন নওগাঁ সদর উপজেলার চকচাপাই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উভয় মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি মকবুল হোসেন মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানান, ২০১৯ সালের ৫ জুন ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের আট বছরের শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে আসামি তার শোবার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এব্যাপারে ওই শিশুর বাবা বাদি হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গতবছর ৫ জুলাই এই আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হয়। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া গতবছর ১৩ আগস্ট নওগাঁ সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার গেট থেকে আসামি সুমন হোসেন ওই মাদরাসার ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে জোড় করে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

ধামইরহাটে শিশু ধর্ষণে যাবজ্জীবন, নওগাঁয় অপহরণে ১৪ বছর কারাদন্ড<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ আগস্ট ২০২৩ :

নওগাঁর ধামইরহাটে আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় আব্দুস সালাম (৫০) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং নওগাঁ সদর উপজেলায় ১২ বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের মামলায় সুমন হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মেহেদী হাসান তালুকদার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালাম জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে এবং সুমন হোসেন নওগাঁ সদর উপজেলার চকচাপাই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উভয় মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি মকবুল হোসেন মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানান, ২০১৯ সালের ৫ জুন ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের আট বছরের শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে আসামি তার শোবার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এব্যাপারে ওই শিশুর বাবা বাদি হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গতবছর ৫ জুলাই এই আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হয়। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া গতবছর ১৩ আগস্ট নওগাঁ সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার গেট থেকে আসামি সুমন হোসেন ওই মাদরাসার ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে জোড় করে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন।#