নওগাঁর ধামইরহাট থেকে হারিয়ে যাওয়ার ১৭ বছর পরে বিজিবির সহায়তায় অবশেষে বাবাকে খুঁজে পেয়েছেন তার মেয়ে। তিনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিনা এক্কার বাবা আগ্রাদ্বিগুন গ্রামের মানসিক বারসাম্যহীন যতীন্দ্রনাথ (৭০)। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাবিনা এক্কা বলেন, ২০০৬ সালে তার বড় বোন দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মিন্না এক্কা মারা সে শোক সইতে না পেরে তার বাবা মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। এক পর্যায়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। সাবিনার স্বামী নারায়ণ চন্দ্র তার চিকিৎসার জন্য প্রায়ই ভারত যান। সেখানে গিয়ে সাবিনার বাবার খোঁজ করেন। অনেককে তার ছবি দেখান। স্থানীয়দের একজন তার ছবি দেখে চিনতে পারেন। এভাবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি বালুরঘাট রায়নগর কালি মন্দিরের বারান্দায় তার বাবার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে খড়ের মধ্যে শুয়েছিলেন তিনি। সাবিনার স্বামী ভিডিও কলের মাধ্যমে সাবিনাকে তার বাবাকে দেখালে সাবিনা নিশ্চিত হন যে উনিই তার বাবা। বিষয়টি বিজিবিকে জানালে তারা তার বাবাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন।
১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন জানান, বিষয়টি জানার পর ভারতের ডাংগী বিএসএফ ক্যাম্পকে অবগত করা হয়। তারাও মানসিক ভারসাম্যহীন যতীন্দ্রনাথকে ফিরিয়ে দিতে আশ্বস্ত করেন। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টায় সীমান্তের ২৬০/৭-এস পিলারের কাছে বিএসএফ সদস্যরা তাকে হস্তান্তর করেন। এরপর যতীন্দ্রনাথকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাবিনা এক্কা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাবাকে খুঁজে পাব তা কখনো কল্পনা করিনি। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় বিজিবির সহায়তায় আমি আমার বাবাকে ফিরে পেয়েছি। সত্যিই আজ আমি খুব খুশি।’ #