নওগাঁ ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় এখনো একটি বইও পায়নি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ :

বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার কথা ছিল ওদের। কিন্তু ২৩ দিন পার হলেও আজও একটি বইও হাতে পায়নি নওগাঁর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। ছাপাখানার মালিকেরা বই ছাপতে দেরি করায় বই সরবরাহ করতে পারেননি বলেই এই অবস্থা। তবে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে এই বই পাওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। পাঠ্য বই না পাওয়ায় এ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কেউ খেলাধূলা করে, আবার কেউবা গান বাজনা করে সময় কাটাচ্ছে। লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে তারা। বই না পাওয়ায় স্কুলেও যেতে চায়না তারা। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এছাড়া অন্য শ্রেণির বইও সবগুলো বিতরণ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ১১ উপজেলায় ১ হাজার ৩৭৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১২ লাখ ৫২ হাজার ৮০৬ টি। এরমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৯ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৫ টি। এছাড়া ৬৪৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩৬ লাখ। কিন্তু বিতরণ হয়েছে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৫০৩ টি।

শহরের জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহাদেব কুমার সাহা জানান, তাদের মোট ৫৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অর্ধেক বই পাওয়া গেছে। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণির একটি বইও পাওয়া যায়নি।

নওগাঁ সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাতাফ হোসেন জানান, স্কুলের ৬২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ১৬০ জন। বই না পাওয়ায় অনলাইনে কনটেন্ট ডাউনলোড করে ক্লাস নিচ্ছেন।

নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, বই না পাওয়ায় ক্লাস হচ্ছেনা। নাচ-গান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে সময় পার হচ্ছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, বই স্বল্পতায় কয়েকটি উপজেলায় এখনো যায়নি। কিছু সিলেবাসের পরিবর্তন হয়েছে এবং নতুন কারিকুলাম আসছে। এছাড়া কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছু ছাপাখানার মালিক বই ছাপাতে দেরি করেছে।#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় এখনো একটি বইও পায়নি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৫:১০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ :

বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার কথা ছিল ওদের। কিন্তু ২৩ দিন পার হলেও আজও একটি বইও হাতে পায়নি নওগাঁর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। ছাপাখানার মালিকেরা বই ছাপতে দেরি করায় বই সরবরাহ করতে পারেননি বলেই এই অবস্থা। তবে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে এই বই পাওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। পাঠ্য বই না পাওয়ায় এ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কেউ খেলাধূলা করে, আবার কেউবা গান বাজনা করে সময় কাটাচ্ছে। লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে তারা। বই না পাওয়ায় স্কুলেও যেতে চায়না তারা। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এছাড়া অন্য শ্রেণির বইও সবগুলো বিতরণ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ১১ উপজেলায় ১ হাজার ৩৭৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১২ লাখ ৫২ হাজার ৮০৬ টি। এরমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৯ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৫ টি। এছাড়া ৬৪৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩৬ লাখ। কিন্তু বিতরণ হয়েছে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৫০৩ টি।

শহরের জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহাদেব কুমার সাহা জানান, তাদের মোট ৫৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অর্ধেক বই পাওয়া গেছে। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণির একটি বইও পাওয়া যায়নি।

নওগাঁ সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাতাফ হোসেন জানান, স্কুলের ৬২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ১৬০ জন। বই না পাওয়ায় অনলাইনে কনটেন্ট ডাউনলোড করে ক্লাস নিচ্ছেন।

নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, বই না পাওয়ায় ক্লাস হচ্ছেনা। নাচ-গান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে সময় পার হচ্ছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, বই স্বল্পতায় কয়েকটি উপজেলায় এখনো যায়নি। কিছু সিলেবাসের পরিবর্তন হয়েছে এবং নতুন কারিকুলাম আসছে। এছাড়া কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছু ছাপাখানার মালিক বই ছাপাতে দেরি করেছে।#