নওগাঁ ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সাপাহারে জবই বিলে নান্দনিক উদ্যোগে প্রশংসিত ইউএনও আব্দুল্যাহ আল মামুন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মৎস্য, প্রাকৃতিক ও পর্যটন সম্ভাবনাময় ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে একটি ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরীর পরিকল্পনা করেন এলাকার এমপি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তাঁর পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল বিলটিকে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নান্দনিক কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জবই বিলের সৌন্দর্য বর্ধনে বিলে ব্রীজ ও ব্রীজের রাস্তা ধরে দুই পাশে সারি সারি পিলার সংস্কার ও নানা রঙয়ের ছোঁয়ায় রাঙিয়ে তোলা। এতে বিলের সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়েছে।

বিলের মধ্য দিয়ে রাস্তার দুধারে দর্শনার্থীদের বসার জন্য দৃষ্টিনন্দন বিশ্রামাগার নির্মাণ ও প্রবেশ মুখে কংক্রিটের উপর ইস্পাতখচিত ‘জবই বিল’ লেখা দৃষ্টিনন্দন ফলক স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিল এলাকা সুসজ্জিত করা হয়েছে। এখন দর্শনার্থীরা বিল পাড়ে বসে থেকে বিলের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে ও বিল পাড়ে বসে বিশ্রাম নিতে পারছেন। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিল এলাকায় বসানো হয়েছে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র।

জবই বিলে ইউএনও’র এ নান্দনিক উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এনিয়ে নানা প্রশংসাসূচক মন্তব্য করা হয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন আইডিতে আপলোড দেয়া হচ্ছে জবই বিলের নতুন নতুন ছবি। ছবিতে ‘জবই বিল’ ফলকের সামনে বা পাশে দাঁড়িয়ে, আবার কেউ কেউ বিল পাড়ে বিশ্রামাগারে বসে বা দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছেন। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন ক্যাপশন লিখে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই।

২০২১ সালের এপ্রিলে সাপাহারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান করেন মো. আব্দুল্যাহ আল মামুন। তখন করোনা মহামারীর প্রকোপ চলছিল। সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে সাপাহারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা ছিল চ্যালেঞ্জিং। ইউএনও’র নেতৃত্বে তার টিম করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি উপজেলার শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখা, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেন। তার নান্দনিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে, নতুনরূপে জবই বিলকে সাজানো। এছাড়া সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত গতিশীল উপজেলা প্রশাসন বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স নীতি পালন করেছেন তিনি।

জবই বিল মৎস্য সমবায় সমিতির দলনেতা মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘সাপাহারে অনেক ইউএনও এসেছেন। দায়িত্ব পালন শেষে আবার চলে গেছেন। জবই বিলকে ভালো বেসেছেন অনেকেই। হাতেগোনা কিছুসংখ্যক ইউএনও অমলিন হয়ে আছেন আমাদের হৃদয়ে। তারা ব্যতিক্রম ও নান্দনিক উদ্যোগের মাধ্যমে সাপাহারের সুনাম উজ্জ্বল করেছেন। এমনই একজন ইউএনও আব্দুল্যাহ আল মামুন। তিনি জবই বিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপ দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ‘জবই বিল কেন্দ্রিক পর্যটকদের আর্কষন বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। আরো কিছু স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিলে পাখির অভয়ারণ্য তৈরির পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এতে করে ঐতিহ্যবাহী জবই বিলের সুস্বাদু মাছ, পরিযায়ী পাখি এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’#

আপলোডকারীর তথ্য

সাপাহারে জবই বিলে নান্দনিক উদ্যোগে প্রশংসিত ইউএনও আব্দুল্যাহ আল মামুন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মৎস্য, প্রাকৃতিক ও পর্যটন সম্ভাবনাময় ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে একটি ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরীর পরিকল্পনা করেন এলাকার এমপি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তাঁর পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল বিলটিকে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নান্দনিক কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জবই বিলের সৌন্দর্য বর্ধনে বিলে ব্রীজ ও ব্রীজের রাস্তা ধরে দুই পাশে সারি সারি পিলার সংস্কার ও নানা রঙয়ের ছোঁয়ায় রাঙিয়ে তোলা। এতে বিলের সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়েছে।

বিলের মধ্য দিয়ে রাস্তার দুধারে দর্শনার্থীদের বসার জন্য দৃষ্টিনন্দন বিশ্রামাগার নির্মাণ ও প্রবেশ মুখে কংক্রিটের উপর ইস্পাতখচিত ‘জবই বিল’ লেখা দৃষ্টিনন্দন ফলক স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিল এলাকা সুসজ্জিত করা হয়েছে। এখন দর্শনার্থীরা বিল পাড়ে বসে থেকে বিলের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে ও বিল পাড়ে বসে বিশ্রাম নিতে পারছেন। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিল এলাকায় বসানো হয়েছে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র।

জবই বিলে ইউএনও’র এ নান্দনিক উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এনিয়ে নানা প্রশংসাসূচক মন্তব্য করা হয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন আইডিতে আপলোড দেয়া হচ্ছে জবই বিলের নতুন নতুন ছবি। ছবিতে ‘জবই বিল’ ফলকের সামনে বা পাশে দাঁড়িয়ে, আবার কেউ কেউ বিল পাড়ে বিশ্রামাগারে বসে বা দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছেন। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন ক্যাপশন লিখে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই।

২০২১ সালের এপ্রিলে সাপাহারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান করেন মো. আব্দুল্যাহ আল মামুন। তখন করোনা মহামারীর প্রকোপ চলছিল। সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে সাপাহারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা ছিল চ্যালেঞ্জিং। ইউএনও’র নেতৃত্বে তার টিম করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি উপজেলার শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখা, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেন। তার নান্দনিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে, নতুনরূপে জবই বিলকে সাজানো। এছাড়া সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত গতিশীল উপজেলা প্রশাসন বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স নীতি পালন করেছেন তিনি।

জবই বিল মৎস্য সমবায় সমিতির দলনেতা মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘সাপাহারে অনেক ইউএনও এসেছেন। দায়িত্ব পালন শেষে আবার চলে গেছেন। জবই বিলকে ভালো বেসেছেন অনেকেই। হাতেগোনা কিছুসংখ্যক ইউএনও অমলিন হয়ে আছেন আমাদের হৃদয়ে। তারা ব্যতিক্রম ও নান্দনিক উদ্যোগের মাধ্যমে সাপাহারের সুনাম উজ্জ্বল করেছেন। এমনই একজন ইউএনও আব্দুল্যাহ আল মামুন। তিনি জবই বিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপ দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ‘জবই বিল কেন্দ্রিক পর্যটকদের আর্কষন বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। আরো কিছু স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিলে পাখির অভয়ারণ্য তৈরির পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এতে করে ঐতিহ্যবাহী জবই বিলের সুস্বাদু মাছ, পরিযায়ী পাখি এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’#