নওগাঁ ০৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

রুজি রুটি বন্ধের আশংকায় রাস্তায় মান্দার ১০ হাজার মৎস্যজীবি পরিবার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ :

নওগাঁর মান্দায় উন্মুক্ত জলাশয় ‘বিলহিলনা’কে বদ্ধ জলাশয় উল্লেখ করে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মৎস্যজীবীরা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিলের আশপাশের আট গ্রামের মৎস্যজীবীরা বিলহিলনার পাড়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মৎস্যজীবী খুশবর আলী, ইমরান হোসেন, আবদুর রশিদ, সুদাস চন্দ্র হালদার, আবদুস সাত্তার, শফিকুল ইসলাম, আবদুল গফুর, মুক্তার হোসেন প্রমুখ।

চৌজা গ্রামের মৎস্যজীবী খুশবর আলী বলেন, ‘হিলনা বিলে মাছ শিকার করে চৌজা, রতনডাঙ্গা, পারিলাডাঙ্গা, বিলপৌন, হাটরা, ফরিদপুর, দমদমা ও মাঝিপাড়া গ্রামের অন্তত ১০ হাজার পরিবার রুজি রুটি নির্বাহ করেন। এটি ইজারা দেওয়া হলে এসব গ্রামের মৎস্যজীবীরা বিলে আর মাছ শিকার করতে পারবেন না। রুজি রুটি বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের পরিবারে চরম দুর্দিন নেমে আসবে।’

দমদমা গ্রামের মৎস্যজীবী সুদাস চন্দ্র হালদার বলেন, ‘হিলনা বিলে সারা বছর মাছ শিকার করে আমাদের পরিবারের ভরণ পোষণ চলে। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার স্বার্থে বিলটির ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি করছি।’

সম্প্রতি উপজেলার বিলহিলনা, বিলউথরাইল ও শালদহ বিল ইজারা দেওয়ার লক্ষে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত একটি দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি জানার পর বিলহিলনার আশপাশের আট গ্রামের মৎস্যজীবীরা ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে ফুঁসে উঠেন।

মৎস্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৎস্য নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে ২০ একর আয়তনের নিচের বিলকে বদ্ধ জলাশয় বলা হয়ে থাকে। এসব আয়তনের বদ্ধ জলাশয় ইজারাযোগ্য। কিন্তু বিলহিলনার আয়তন ৩৪৮ দশমিক ০৮ একর। এটি একটি উন্মুক্ত জলাশয়। বিলটি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের দপ্তর। এটি ইজারা দেয়া হলে মৎস্য নীতিমালা লঙ্ঘিত হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, ‘বিলহিলনা, বিলউথরাইল ও শালদহ বিল ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়া করেছে জেলা প্রশাসক স্যারের কার্যালয় থেকে। এর মধ্যে বিলহিলনার ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা মানববন্ধন করেছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।’#

আপলোডকারীর তথ্য

রুজি রুটি বন্ধের আশংকায় রাস্তায় মান্দার ১০ হাজার মৎস্যজীবি পরিবার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ :

নওগাঁর মান্দায় উন্মুক্ত জলাশয় ‘বিলহিলনা’কে বদ্ধ জলাশয় উল্লেখ করে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মৎস্যজীবীরা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিলের আশপাশের আট গ্রামের মৎস্যজীবীরা বিলহিলনার পাড়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মৎস্যজীবী খুশবর আলী, ইমরান হোসেন, আবদুর রশিদ, সুদাস চন্দ্র হালদার, আবদুস সাত্তার, শফিকুল ইসলাম, আবদুল গফুর, মুক্তার হোসেন প্রমুখ।

চৌজা গ্রামের মৎস্যজীবী খুশবর আলী বলেন, ‘হিলনা বিলে মাছ শিকার করে চৌজা, রতনডাঙ্গা, পারিলাডাঙ্গা, বিলপৌন, হাটরা, ফরিদপুর, দমদমা ও মাঝিপাড়া গ্রামের অন্তত ১০ হাজার পরিবার রুজি রুটি নির্বাহ করেন। এটি ইজারা দেওয়া হলে এসব গ্রামের মৎস্যজীবীরা বিলে আর মাছ শিকার করতে পারবেন না। রুজি রুটি বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের পরিবারে চরম দুর্দিন নেমে আসবে।’

দমদমা গ্রামের মৎস্যজীবী সুদাস চন্দ্র হালদার বলেন, ‘হিলনা বিলে সারা বছর মাছ শিকার করে আমাদের পরিবারের ভরণ পোষণ চলে। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার স্বার্থে বিলটির ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি করছি।’

সম্প্রতি উপজেলার বিলহিলনা, বিলউথরাইল ও শালদহ বিল ইজারা দেওয়ার লক্ষে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত একটি দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি জানার পর বিলহিলনার আশপাশের আট গ্রামের মৎস্যজীবীরা ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে ফুঁসে উঠেন।

মৎস্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৎস্য নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে ২০ একর আয়তনের নিচের বিলকে বদ্ধ জলাশয় বলা হয়ে থাকে। এসব আয়তনের বদ্ধ জলাশয় ইজারাযোগ্য। কিন্তু বিলহিলনার আয়তন ৩৪৮ দশমিক ০৮ একর। এটি একটি উন্মুক্ত জলাশয়। বিলটি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের দপ্তর। এটি ইজারা দেয়া হলে মৎস্য নীতিমালা লঙ্ঘিত হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, ‘বিলহিলনা, বিলউথরাইল ও শালদহ বিল ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়া করেছে জেলা প্রশাসক স্যারের কার্যালয় থেকে। এর মধ্যে বিলহিলনার ইজারা প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা মানববন্ধন করেছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।’#