নওগাঁ ১০:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁ জেলা পরিষদে নৌকার মাঝি হতে চান ছয় নেতা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ :

১৭ অক্টোবর নওগাঁ জেলা পরিষদের নির্বাচন। এমাসের ১৫ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। রাজনৈতিক দলগুলো এখন ব্যস্ত প্রার্থী মনোনয়নে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থিতা চুড়ান্ত করবে। রোববার দেশের ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে।

দলীয় সূত্র জানায়, ৮ সেপ্টেম্বর দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। এদিন পর্যন্ত নওগাঁর ছয় জনের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এরা হলেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলে রাব্বি বকু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি শাহিন মনোয়ারা হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল ও বিভাস কুমার মজুমদার গোপাল এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট খোদাদাদ খান পিটু।

জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক এ কে এম ফজলে রাব্বি বয়সে অন্যদের চেয়ে জ্যেষ্ঠ। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ সালে তাঁকে নওগাঁ জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হন এবং একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য দলের কাছে আবার মনোনয়ন চেয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আস্থা রেখে মনোনয়ন দিলে আগামীতেও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’

চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, ‘১৯৬৮ সালে নওগাঁ সদর থানা ছাত্রলীগের প্রচার বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাই। সেই সময় আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করার সুযোগ হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় কারাবরণও করতে হয়েছে। দলের জন্য আমার ত্যাগ ও নিষ্ঠা বিবেচনা করে আশা করি নেত্রী আমাকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেবেন।’

নাটোর নওগাঁ আসনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের দুইবারের এমপি শাহিন মনোয়ারা হক। তিনি সপ্তম ও নবম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি ছিলেন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখে দুইবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করেছি। দীর্ঘ সময় ধরে জেলা আওয়ামী লীগের পদে থেকে দলকে সংগঠিত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি এবং এখনও সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে নওগাঁর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখবো।’

আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল ১৯৮৮ সালে নওগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯১ সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৪ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদকের পদ পান। ২০১৪ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমান কমিটিতে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯-২০১৪ সালে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করবেন। সেই দিক বিবেচনা করে প্রার্থী নির্বাচন করা হলে আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

মনোনয়ন প্রত্যাশী বিভাস কুমার মজুমদার গোপাল ১৯৯১-৯২ সালে নওগাঁ সরকারি কলেজে নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ২০০০ সালে জেলা ছালীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৪ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পদক হিসেবে দায়িত্ব পান। বর্তমান কমিটিতে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দলের প্রতি আমার দীর্ঘ দিনের ত্যাগ ও নিষ্ঠা এবং কর্মঠ, সৎ ও পরিচ্ছন্ন প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেই জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী নির্বাচন করবেন। দল আমার প্রতি আস্থা রাখলে এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করবো।’

এ্যাডভোকেট খোদাদদ খান পিটু ১৯৯০-৯১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ১৯৯২-৯৭ সালে নওগাঁ সদর থানা যুবলীগের সভাপতি, ২০০৩-২০০৯ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০১৩-১৯ সালে আহ্বায়ক এবং ২০১৯ সাল থেকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি নওগাঁ জেলা অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনে একবার সাধারণ সম্পাদক এবং দুইবারের নির্বচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ হলো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ সংস্থা। এই সংস্থার মাধ্যমে অনেক উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব। আমার বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই খান নওগাঁ জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান (১৯৮৮-১৯৯০) ছিলেন। তার সময়ে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে অবস্থিত জেলা পরিষদ পার্ক ও বর্তমান জেলা পরিষদ ভবন তৈরি হয়েছে। তিনি জেলায় বহু রাস্তাঘাট নির্মাণ করে গেছেন। দল থেকে মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হলে আমি জেলা পরিষদকে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই এবং নওগাঁর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ জেলা পরিষদে নৌকার মাঝি হতে চান ছয় নেতা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ :

১৭ অক্টোবর নওগাঁ জেলা পরিষদের নির্বাচন। এমাসের ১৫ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। রাজনৈতিক দলগুলো এখন ব্যস্ত প্রার্থী মনোনয়নে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থিতা চুড়ান্ত করবে। রোববার দেশের ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে।

দলীয় সূত্র জানায়, ৮ সেপ্টেম্বর দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। এদিন পর্যন্ত নওগাঁর ছয় জনের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এরা হলেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলে রাব্বি বকু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি শাহিন মনোয়ারা হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল ও বিভাস কুমার মজুমদার গোপাল এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট খোদাদাদ খান পিটু।

জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক এ কে এম ফজলে রাব্বি বয়সে অন্যদের চেয়ে জ্যেষ্ঠ। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ সালে তাঁকে নওগাঁ জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হন এবং একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য দলের কাছে আবার মনোনয়ন চেয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আস্থা রেখে মনোনয়ন দিলে আগামীতেও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’

চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, ‘১৯৬৮ সালে নওগাঁ সদর থানা ছাত্রলীগের প্রচার বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাই। সেই সময় আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করার সুযোগ হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় কারাবরণও করতে হয়েছে। দলের জন্য আমার ত্যাগ ও নিষ্ঠা বিবেচনা করে আশা করি নেত্রী আমাকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেবেন।’

নাটোর নওগাঁ আসনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের দুইবারের এমপি শাহিন মনোয়ারা হক। তিনি সপ্তম ও নবম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি ছিলেন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখে দুইবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করেছি। দীর্ঘ সময় ধরে জেলা আওয়ামী লীগের পদে থেকে দলকে সংগঠিত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি এবং এখনও সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে নওগাঁর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখবো।’

আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল ১৯৮৮ সালে নওগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯১ সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৪ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদকের পদ পান। ২০১৪ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমান কমিটিতে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯-২০১৪ সালে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করবেন। সেই দিক বিবেচনা করে প্রার্থী নির্বাচন করা হলে আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

মনোনয়ন প্রত্যাশী বিভাস কুমার মজুমদার গোপাল ১৯৯১-৯২ সালে নওগাঁ সরকারি কলেজে নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ২০০০ সালে জেলা ছালীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৪ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পদক হিসেবে দায়িত্ব পান। বর্তমান কমিটিতে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দলের প্রতি আমার দীর্ঘ দিনের ত্যাগ ও নিষ্ঠা এবং কর্মঠ, সৎ ও পরিচ্ছন্ন প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেই জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী নির্বাচন করবেন। দল আমার প্রতি আস্থা রাখলে এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করবো।’

এ্যাডভোকেট খোদাদদ খান পিটু ১৯৯০-৯১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ১৯৯২-৯৭ সালে নওগাঁ সদর থানা যুবলীগের সভাপতি, ২০০৩-২০০৯ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০১৩-১৯ সালে আহ্বায়ক এবং ২০১৯ সাল থেকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি নওগাঁ জেলা অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনে একবার সাধারণ সম্পাদক এবং দুইবারের নির্বচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ হলো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ সংস্থা। এই সংস্থার মাধ্যমে অনেক উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব। আমার বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই খান নওগাঁ জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান (১৯৮৮-১৯৯০) ছিলেন। তার সময়ে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে অবস্থিত জেলা পরিষদ পার্ক ও বর্তমান জেলা পরিষদ ভবন তৈরি হয়েছে। তিনি জেলায় বহু রাস্তাঘাট নির্মাণ করে গেছেন। দল থেকে মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হলে আমি জেলা পরিষদকে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই এবং নওগাঁর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’#