মহাদেবপুর দর্পণ, এম, রইচ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, পোরশা (নওগাঁ), ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ :

তার কাজে সন্তুষ্ট সব্বাই। কাজ দেখে সবাই বলছেন তিনি একজন মানবতার ফেরিওয়ালা। সময় পেলে নিয়মিত যাচ্ছেন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র অসহায় মানুষকে দেখতে, তাদের সাথে কথা বলতে। তাদের চাওয়া পাওয়ার কথা শুনে সমাধান করতে। এলাকার রাস্তাঘাট ঘুরে দেখছেন, ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পারিবারিক সমস্যা মিটাচ্ছেন। কোথায় নাই তিনি! যে কারও বিপদে সবার আগে এগিয়ে তিনি। আর তাই মানুষের ভালোবাসাও কুড়িয়েছেন অফুরন্ত। এই মানবাতার ফেরিয়ালা হলেন নওগাঁর পোরশা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী।

তাকে সবসময় কাছে থেকে সবরকম পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম।

উপজেলার নিতপুর বাংগাল পাড়ায় কয়েকটি গরিব পরিবারের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের জন্য কাজ করছেন। তার মেয়াদে উপজেলার সর্বস্তরের জনতার জন্য তিনি কাজ করে যাবেন। এর ফাঁকে তিনি কিছু হতদরিদ্র অসহায়ের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসাবে তিনি বংগালপাড়ার কয়েকটি পরিবারের সাথে দেখা করেছেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

এভাবে তিনি উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে ঘুরবেন এবং খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির দিক নির্দেশনা ও সহযোগীতায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। ইতোমধ্যে তিনি কয়েকজন বিধবাকে নিজ তহবিল থেকে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে অনুদান হিসাবে দিচ্ছেন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় কোন গৃহহীন যেন না থাকে সে নিয়েও তিনি কাজ করছেন বলে জানান। উপজেলার মানুষ না খেয়ে গৃহহীন থাকবে তা যেন তাকে দেখতে না হয়। উপজেলার উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগীতা চান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় বাংগাল পাড়ার তুলা রাশি (৯০), ফিতিয়া বিবি (৫৭) ও বাবুল আক্তার রানা জানান, এর আগে কোন চেয়ারম্যানকে এভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে তারা দেখেননি। তিনি যেভাবে সহযোগীতা করছেন ভবিষ্যতে এভাবেই কাজ করবেন বলে তারা দোয়া করেন।

অন্যরা জানান, বর্তমানে আমরা শান্তিতে আছি। উপজেলা চেয়ারম্যান যে সব কাজ বাস্তবায়ন করছেন তাতে সকলেই খুশি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলায় কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একজন সৎ, যোগ্য ও খুব ভাল মানুষ। একজন অধ্যক্ষ হিসেবে তার কোন অবৈধ কার্যক্রম তারা লক্ষ করছেন না। রাজনীতিতে এরকম জনপ্রতিনিধিরই দরকার বলে তারা মনে করছেন।#