নওগাঁর মান্দায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দফায় দফায় সৃষ্ট সংঘর্ষে আহত ময়েজ উদ্দিন (৬৯) মারা গেছেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাগড়া গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।
থানা পুলিশ এই ঘটনায় চার জনকে আটক করেছেন। আটকরা হলেন, প্রতিপক্ষ একই গ্রামের হাফেজ উদ্দীন (৪৫), তার ছেলে নাজমুল হক (২২) , আলীম উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রকি (৩০) ও তার মা মকছেদা ওরফে জাহানার (৫০) ।
স্থানীয়রা জানান, খাগড়া গ্রামের আলিমুদ্দীনের সঙ্গে বসতভিটার জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ রেজাউল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার (৩ আগষ্ট) বিকেলে আলিমুদ্দীন পক্ষের লোকজনের মারধরে রেজাউল পক্ষের লবির উদ্দিন (৪৫) নামে একজন আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মান্দা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, একই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে বোর্ড বাজার তিনমাথার মোড়ে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন উভয়পক্ষ। একপর্যায়ে লাঠি-সোটা নিয়ে মারামারি করতে উদ্যত হলে তাঁদের হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
পরে সেখান থেকে ফিরে হাজীর মোড়ে গিয়ে উভয়পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে, খাগড়া গ্রামের মকছেদ আলী (৫০), হাফেজ উদ্দিন (৪৫), আজিজুল হক (৪০), শমসের আলী (৬০), নাজমুল হোসাইন নয়ন (১৯), ময়েজ উদ্দিন (৭০), তার ছেলে মাসুদ রানা (৪২) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রানা ইসলামকে (২২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে হাফেজ উদ্দিন ও ময়েজ উদ্দিনের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) রাতে ময়েজ উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এরইমধ্যে নিহতের পক্ষে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। #