নওগাঁ ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মাত্র ৩ জনকে নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মহাদেবপুর ভেটেনারী হাসপাতাল<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৬ মার্চ ২০২২ : চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আনোয়ার হোসেন-----ছবি : সাঈদ টিটো

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৬ মার্চ ২০২২ :

নওগাঁর মহাদেবপুরে মাত্র ৩ জনকে নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেনারী হাসপাতাল। এখানকার ৮টি পদে জনবল নেই দীর্ঘদিন। কোন কোনটি ফাঁকা রয়েছে এক যুগ ধরে।

ফলে এই উপজেলার সাড়ে ৩ লাখ মানুষের পশু-পাখির চিকিৎসায় দারুন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে কৃত্রিম প্রজননের মত জরুরী সেবা। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তাদের গরু-ছাগল-ভেড়া, হাস-মুরগির চিকিৎসা করাতে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। গরুর কৃত্রিম প্রজনন করাতে না পেরে দেশীয় ষাঁড় দিয়ে প্রজনন করাচ্ছেন অনেকে। ভাল জাতের ষাঁড় না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, এই অফিসে মোট পদ রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৩ জন। এরা হলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ১ জন, উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) ১ জন ও অফিস সহকারী ১ জন। ৮টি পদ দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলোতে নিয়োগদানের উদ্যোগ নেননি।

ফাঁকা পদগুলো মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভেটেনারী সার্জন বদলী হয়েছেন গত ৩১ জানুয়ারি। কৃত্রিম প্রজনন সহকারী বদলী হয়েছেন গতবছর ১৬ জানুয়ারি। এছাড়া প্রাণিসম্পদ সহকারি বদলী হয়েছেন এক যুগ আগে ২০১০ সালের ১৪ মে। ড্রেসার বদলী হয়েছেন গতবছর ১ অক্টোবর। ২ জন ভেটেনারী মাঠ সহকারির মধ্যে একজন বদলী হয়েছেন ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ও অপরজন একই বছর ১ ডিসেম্বর। বদলীর পর এখন পর্যন্ত এসব পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এছাড়া এখানকার অফিস সহায়ককে দেড়বছর আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে ওই অফিসে গেলে অফিস সহকারি কার্তিক চন্দ্র সরকার জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারিদের নিয়ে পিকনিকে জয়পুরহাট গেছেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপ-সহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আনোয়ার হোসেন একটি গরুর বাছুরকে ইনজেক্শন দিচ্ছিলেন। তিনি জানালেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজে প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ত থাকায় তিনি নিজেই পশু-পাখির চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এক মাস আগে তিনি এখানে যোগদান করেছেন। এরআগে তার পদটিও খালি ছিল। তবে একার পক্ষে এত প্রাণির চিকিৎসা সেবা দেয়া খুব কঠিন।

তিনি জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আর্টিফিসিয়াল ইনসিমেনেশন টেকনিশিয়ান রয়েছে। মাঝে মাঝে তারা এসে কৃত্রিম প্রজনন করে থাকেন।

জানতে চাইলে মোবাইলফোনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মালেক বলেন, পদ খালি থাকার বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অচিরেই এসব পদে নিয়োগ দেয়া হবে।#

আপলোডকারীর তথ্য

মাত্র ৩ জনকে নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মহাদেবপুর ভেটেনারী হাসপাতাল<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৬ মার্চ ২০২২ :

নওগাঁর মহাদেবপুরে মাত্র ৩ জনকে নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেনারী হাসপাতাল। এখানকার ৮টি পদে জনবল নেই দীর্ঘদিন। কোন কোনটি ফাঁকা রয়েছে এক যুগ ধরে।

ফলে এই উপজেলার সাড়ে ৩ লাখ মানুষের পশু-পাখির চিকিৎসায় দারুন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে কৃত্রিম প্রজননের মত জরুরী সেবা। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তাদের গরু-ছাগল-ভেড়া, হাস-মুরগির চিকিৎসা করাতে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। গরুর কৃত্রিম প্রজনন করাতে না পেরে দেশীয় ষাঁড় দিয়ে প্রজনন করাচ্ছেন অনেকে। ভাল জাতের ষাঁড় না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, এই অফিসে মোট পদ রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৩ জন। এরা হলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ১ জন, উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) ১ জন ও অফিস সহকারী ১ জন। ৮টি পদ দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলোতে নিয়োগদানের উদ্যোগ নেননি।

ফাঁকা পদগুলো মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভেটেনারী সার্জন বদলী হয়েছেন গত ৩১ জানুয়ারি। কৃত্রিম প্রজনন সহকারী বদলী হয়েছেন গতবছর ১৬ জানুয়ারি। এছাড়া প্রাণিসম্পদ সহকারি বদলী হয়েছেন এক যুগ আগে ২০১০ সালের ১৪ মে। ড্রেসার বদলী হয়েছেন গতবছর ১ অক্টোবর। ২ জন ভেটেনারী মাঠ সহকারির মধ্যে একজন বদলী হয়েছেন ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ও অপরজন একই বছর ১ ডিসেম্বর। বদলীর পর এখন পর্যন্ত এসব পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এছাড়া এখানকার অফিস সহায়ককে দেড়বছর আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে ওই অফিসে গেলে অফিস সহকারি কার্তিক চন্দ্র সরকার জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারিদের নিয়ে পিকনিকে জয়পুরহাট গেছেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপ-সহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আনোয়ার হোসেন একটি গরুর বাছুরকে ইনজেক্শন দিচ্ছিলেন। তিনি জানালেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজে প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ত থাকায় তিনি নিজেই পশু-পাখির চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এক মাস আগে তিনি এখানে যোগদান করেছেন। এরআগে তার পদটিও খালি ছিল। তবে একার পক্ষে এত প্রাণির চিকিৎসা সেবা দেয়া খুব কঠিন।

তিনি জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আর্টিফিসিয়াল ইনসিমেনেশন টেকনিশিয়ান রয়েছে। মাঝে মাঝে তারা এসে কৃত্রিম প্রজনন করে থাকেন।

জানতে চাইলে মোবাইলফোনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মালেক বলেন, পদ খালি থাকার বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অচিরেই এসব পদে নিয়োগ দেয়া হবে।#